বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শাহজাদপুরে শীতকালীন সবজি বেগুন চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক কৃষক

এম,এ, জাফর লিটন, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে ০৪ জানুয়ারী: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় শীতকালীন সবজি হিসেবে বেগুন চাষ করা হয় প্রায় ২শত হেক্টর জমিতে। অন্যান্য সবজির চাষের পাশাপাশি বেগুন চাষ করে কৃষকরা শীতের মৌসুমে আর্থিকভাবে বেশ স্বাবলম্বী হচ্ছে। এবার অন্য সবজির পাশাপাশি কৃষকরা বেগুন চাষ করে তাদের উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে এক মৌসুমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছে। এই মৌসুমে বেগুন চাষ করে লাখপতি হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা  অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বেগুন চাষে ঝুঁকে পড়ছে অনেকে। গাড়াদহ ইউনিয়নের টেপড়ি, নবীপুর, চর নরিনা এলাকায় প্রায় শতাধিক কৃষক বেগুন চাষ করছে। নবীপুর গ্রামের বেগুন চাষী কৃষক ইসমাইল বলেন, আমি অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ৩ হেক্টর জমিতে বেগুনের চাষ করেছি। ১ হেক্টর জমিতে বারি ৬ জাতের বেগুন উৎপাদন হয়েছে প্রায় হাজার কেজি প্রতি কেজি বেগুন আমি ৩০ হতে ৩৫ টাকা ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছি। প্রথম দুই দফা বিক্রি করে আমার উৎপাদন খরচ উঠে যায়। পরবর্তীতে বাকি বেগুন বিক্রি করে আমার সংসারে খরচ বাদ দিয়ে ১ লক্ষ টাকা আয় হয়। এই আয়ের ফলে আমার পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। এই এলাকার বেগুন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে শাহজাদপুরসহ পাশের উপজেলাগুলোর চাহিদা মেটাচ্ছে। মশিপুর গ্রামের  বাসিন্দা আশরাফ আলী বলেন, প্রতিদিন ভোর সকালে কৃষকরা টেপড়ি ও চর নরিনা জমি থেকে বেগুন নিয়ে মশিপুর পাইকারী বাজারে সারিবদ্ধ ভাবে ভিড় জমায়। এখানে বিভিন্নস্থানের ব্যবসায়ীরা এসে এলাকার বেগুন কিনে শাহজাদপুরসহ পাশের বিভিন্ন উপজেলায় পাইকারি হাটে নিয়ে যায়। এই এলাকায় অন্য সবজির পাশাপাশি বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা আরও জানান ভালো বীজ সরবরাহ হওয়ায় সবগুলো বেগুন গাছ ঠিকভাবে উঠায় তার ৪ হেক্টর জমিতে বারি ও বারি ৬ জাতের বেগুনের ফলন সবচেয়ে বেশি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, করতোয়ার  চরে আমরা প্রত্যেক বছর বিভিন্ন সবজি ক্ষেত করে থাকি কিন্তু এবার বেগুন চাষ করে আমার উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রায় লক্ষ টাকা আয় করে থাকি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এসে তদারকি করলে আমাদের ফলন আরো ভালো হত। আমার বেগুন খেত লাল হয়ে যাওয়ায় রোগ চিহ্নিত সময় লেগে যায় যার কারণে ফলন ভাল হয়নি। 
বেগুন চাষ হচ্ছে উপজেলার পোরজনা, কায়েমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও যমুনার দুর্গম চরের গ্রাম গুলিতেও। শাহজাদপুর উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন এই উপজেলা সবজি উৎপাদনে আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় এখানে বেগুনসহ অন্যান্য সবজির ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দুইশত হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ