বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সেনাবাহিনীর ওপর অর্পণের দাবি মঞ্জুর

খুলনা অফিস: সেনাবাহিনী মোতায়েন হওয়ায় জনগণের মনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে নির্বাচনকালীন সময়ের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পুরোপুরি দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পণের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-২ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
পুলিশ ও ডিবি আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জেতানোর মিশন বাস্তবায়নে কাজ করছে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ভোটের মাত্র পাঁচ দিন আগেও ধানের শীষের কর্মীদের গণগ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশির নামে ভাংচুর-তান্ডব চালানো, হুমকি ভয়ভীতি প্রদান, গায়েবী মামলায় তাড়াহুড়া করে চার্জশিট দিয়ে শত শত নেতাকর্মীকে আসামী করা হচ্ছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে আসা বিজিবিকে বিভ্রান্ত করে তাদেরকে সাথে নিয়ে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
খুলনা থেকে বিদায় নেয়া পুলিশ কমিশনারের দেয়া উদ্দেশ্যমূলক তালিকা নয়, সেনা গোয়েন্দাদের হাতে থাকা তালিকা ধরে আসামী গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমার যেন নির্বাচনে মূল পক্ষ হয়ে কাজ করতে পারি নির্বাচন কমিশন ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করছি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে মিডিয়া কর্মীদেরকে অবহিত করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট খুলনা মহানগর শাখা আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মঞ্জু এসব কথা বলেন। সোমবার ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিফিংয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সেনাবাহিনী নামার পরে জনগন উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে। ভোট ডাকাতরা আর তাদের পথ আগলে দাড়াবে না। হুমকি দেবেনা, চড়াও হবেনা। পুলিশ ও প্রশাসনের তিন কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, কেসিসি নির্বাচনের মতো এই তিন চক্রের খুলনা মডেলের আর একটি ভোট ডাকাতির নির্বাচন খুলনাবাসী দেখতে চায়না। কিন্ত জনগন আশ্বস্ত হলের বিএনপির নেতাকর্মীদের মনের শঙ্কা কাটছেনা। মঞ্জু অভিযোগ করেন, মাত্র দেড় মাস আগে খুলনার ৭ থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৯ টি গায়েবী মামলা দায়ের হয়। কেএমপির সদ্য বিদায় নেয়া কমিশনার যাওয়ার আগে ওসিদের নিয়ে বৈঠক করে সব মামলায় চার্জশিট দেয়ার অনুমতি দিয়ে যান। এরপর একের পর এক চার্জশিট দিয়ে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীকে আসামী করা হচ্ছে। আর তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য চলছে পুলিশ ও ডিবির অভিযান। ডিবি পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আজিজুল হাসান দুলুকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান, আনসার আলী হাওলাদার, মোহাম্মদ আলী, আজাদ হোসেন, বনি আমিন। এদের মধ্যে কয়েকজন রয়েছেন যাদের বয়স ৭০ এর উর্ধে। সোনাডাঙ্গা থানার দারোগা এমদাদ অতি উৎসাহী ভূমিকায় রয়েছেন। রাতে ডিবি পুলিশের সদস্যরা বিজিবিকে নিয়ে ১৮ ও ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি অফিসের সামনে গিয়ে অফিস ও স্থানীয় দোকানপাট ভাংচুর করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। আওয়ামী লীগের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী পুলিশের করা তালিকা বিজিবির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। সে তালিকায় শহরের চিহ্নিত খুনী, সন্ত্রাসীদের নাম নেই। সেখানে রয়েছে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মীদের নাম।
শুধুমাত্র খুলনা-২ আসনেই নয়, একই ভাবে খুলনা-১, ৩ ও ৪ আসনেও একই চিত্র বিরাজ করছে। প্রার্থীরা এক হয়ে পড়ছেন নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করার কারনে। পোস্টার ছিড়ে ফেলা, ক্যাম্প ভাংচুর, প্রচারনায় বাঁধা দান, প্রচার মাইকের মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়া হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ