শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

হামলা মামলা হয়রানির কারণে কিছু প্রার্থী প্রচার চালাতে পারছেন না

গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুজনের উদ্যোগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীগণের তথ্য উপস্থাপন বিষয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, হামলা, মামলা, বাধাদান ও হয়রানির কারণে এখনো অনেক প্রার্থী নির্বিঘ্নে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছেন না। ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও সহিংসতার কারণে ভোটারদের মধ্যে অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। আজকে মানুষের মুখে একটাই কথা- তারা ভোট দিতে পারবেন কিনা, তারা ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন কিনা। সেনাবাহিনী মাঠে নামায় আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। আমি মনে করি, সকল পক্ষ যদি সদাচারণ করে তাহলেই আমরা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে পাবো।
নাগরিক সংগঠন ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক’-এর উদ্যোগে গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীগণের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে সুজন নেতৃবৃন্দের মধ্যে ‘সুজন’ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং সুজন-এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘সুজন’-এর সহযোগী সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের জন্য তাঁরা সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। দেরিতে হলেও সংলাপ হয়। তবে সমঝোতা হয়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে বলেই তাঁদের ধারণা। কিন্তু হামলা, বাধাদান ও হয়রানির কারণে এখনো অনেক প্রার্থী নির্বিঘ্নে প্রচার চালাতে পারছেন না। তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন, তা এখনো সৃষ্টি হয়নি। ‘প্রার্থীদের অনেকেই হলফনামায় ভুল তথ্য দিয়েছেন এবং তথ্য গোপন করেছেন। এসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। হলফনামা নিয়ে সাংবাদিকরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, এবার ১ হাজার ৮৭১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬৬ জন নারী ৬৭টি নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৬৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। এসব প্রার্থীর মধ্যে স্বল্পশিক্ষিত বা এসএসসির কম আছে ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ (৪২১ জন)। মাধ্যমিকের গন্ডি না পেরোনো প্রার্থীর হার ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ (২৬৬ জন)। প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫২ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ৯৬১ জন। আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মাত্র ৮ শতাংশ বা ৫৬ জন। সুজন জানায়, প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমানে মামলা আছে ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশের (৩১৩ জন)। অতীতে মামলা ছিল ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ বা ৪২২ জনের বিরুদ্ধে। বছরে কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে ১৩৬ জন প্রার্থীর। বছরে ৫০ লাখের বেশি আয় করেন ২২৩ জন। ৫ লাখ বা তার চেয়ে বেশি আয় ৯৫১ জনের।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, নির্বাচনে ভোটদানের জন্য ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত সংঘর্ষ-সহিংসতার খবরগুলো দেখে ভোটারদের মধ্যে অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারা না পারা নিয়ে শঙ্কা ও সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে। সকল প্রার্থীর জন্য নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগসহ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে, ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আর ভোটাররা যদি অবাধে ভোটকেন্দ্রে না যেতে পারে, তবে সেই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা যাবে না। সেই নির্বাচনকে বলা যাবে না- অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু নির্বাচন।
তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক সংখ্যক মনোনয়ন ফরম (১২ হাজারেরও অধিক) বিক্রি করেছিল। সকল রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে সর্বমোট ৩০৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। নিকট অতীতের নির্বাচনগুলোর মধ্যে এটিও একটি রেকর্ড। মনোনয়নপত্র বাছাইয়েও রেকর্ড সংখ্যক ৭৮৬ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং অফিসাররা। বাতিলকৃতদের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশন থেকে আপিলে বৈধতা পেয়েছেন ২৪৩ জন এবং আমাদের জানা মতে, এখন পর্যন্ত কোর্ট থেকে বৈধতা পেয়েছেন ২২ জন। সর্বশেষ জানা গিয়েছে যে, মোট ১৮৭১ প্রার্থী এই নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
তিনি বলেন. ‘এবারের নির্বাচনে ৬৬ জন নারী প্রার্থী ৬৭টি নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন; যা অতীতের যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে বেশি। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু প্রার্থী হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৭৮ জন। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের দিক থেকে জোটগতভাবে বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং দলগতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এগিয়ে রয়েছে।’
প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য তুলে ধরে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘সর্বমোট ১৮৪২ জন প্রার্থীর (মোট প্রার্থী ১৮৭১ জন, ২৯ জনের তথ্য পাওয়া যায়নি) মধ্যে অধিকাংশই (১১৯৫ জন বা ৬৪.৮৭%) স্নাতক বা স্নাতকোত্তর। মহাজোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৮০.৯৩% (২৪২ জন), জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৮০.১৩% (২৩০ জন) বাম গণতান্ত্রিক জোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৬২.২২% (৯০ জন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৫৯.৯৩% (১৭৮ জন) অন্যান্য রাজনৈতিক দল প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৫৪.৪৬% (৩৭৮ জন) স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৬৫.২৫% (৭৭ জন)। মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার হার ৮০%-এরও বেশি।
তিনি বলেন, ‘১৮৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশের পেশা (৫২.১৭% বা ৯৬১ জন) ব্যবসা। মহাজোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৬০.২০% (১৮০ জন), জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৬৪.১১% (১৮৪ জন), বাম গণতান্ত্রিক জোট প্রার্থীদের মধ্যে  শতকরা ২৯.২৫% (৪৩ জন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৪১.৪১% (১২৩ জন) অন্যান্য রাজনৈতিক দল প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৫২.৪৫% (৩৬৪ জন), স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৫৬.৭৮% (৬৭ জন)। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ীর হার সবচেয়ে বেশি (৬৪.১১%)। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কে লিপ্ত ব্যক্তিবর্গ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার এবং  সংসদ সদস্য থাকার অযোগ্য হলেও, বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘১৮৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩১৩ জনের (১৬.৯৯%) বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে, অতীতে মামলা ছিল ৪২২ জনের (২২.৯১%) বিরুদ্ধে, অতীত ও বর্তমানে উভয় সময়ে মামলা ছিল বা রয়েছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১৬৬ জন (৯.০১%)। ৩০২ ধারায় বর্তমানে মামলা আছে ৫৮ জনের (৩.১৫%) বিরুদ্ধে, অতীতে ছিল ১২১ জনের (৬.৫৭%), উভয় সময়ে আছে বা ছিল ১২ জনের (০.৬৫%)। মহাজোট প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান মামলা রয়েছে শতকরা ৬.৬৯% (২০ জন), জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে শতকরা ৬১.৬৭% (১৭৭ জন), বাম গণতান্ত্রিক জোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ১১.৫৬% (১৭ জন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৫.৩৯% (১৬ জন), অন্যান্য রাজনৈতিক দল প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৮.৬৫% (৬০ জন), স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ১৯.৪৯% (২৩ জন)। মহাজোট প্রার্থীদের মধ্যে অতীতে মামলা ছিল শতকরা ৪০.৪৭% (১২১ জন), জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা ছিল শতকরা ৫১.৫৭% (১৪৮ জন), বাম গণতান্ত্রিক জোট প্রার্থীদের মধ্যে ছিল শতকরা ১৯.৭৩% (২৯ জন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থীদের মধ্যে ছিল শতকরা ৬.৪০% (১৯ জন), অন্যান্য রাজনৈতিক দল প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ১০.২৩% (৭১ জন), স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ২৮.৮১% (৩৪ জন)। একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, মহাজোট প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান মামলার হার মাত্র ৬.৬৯% (২০ জন) হলেও, অতীত মামলার হার ছিল ৪০.৪৭% (১২১ জন)। পক্ষান্তরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান, অতীত ও উভয় সময়ে মামলা যথাক্রমে ৬১.৬৭% (১৭৭ জন), ৫১.৫৭% (১৪৮ জন) ও ৩৮.৩৩% (১১০ জন)।’
দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘সর্বমোট ১৮৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে বাৎসরিক ৫ লক্ষ টাকা বা তার চেয়ে কম আয় করেন ৯৫১ জন (৫১.৬৩%) প্রার্থী। মহাজোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৫.৩৫% (১৬ জন), জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ২২.৩% (৬৪ জন), বাম গণতান্ত্রিক জোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৭২.১১% (১০৬ জন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৮৮.৫৫%  (২৬৩ জন), অন্যান্য রাজনৈতিক দল প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৬৪.৯৯% (৪৫১ জন), স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৪৩.২২% (৫১ জন)। বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় যে, অধিক আয়কারী প্রার্থীর সংখ্যা মহাজোটে অনেক বেশি এবং স্বল্প আয়কারী প্রার্থীর সংখ্যা বাম গণতান্ত্রিক জোটে বেশি।’
তিনি বলেন, ‘১৮৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৯৭ জনের (২৬.৯৮%) সম্পদ কোটি টাকার উপরে। মহাজোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৮০.৬০% (২৪১ জন), জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৫২.২৭% (১৫০ জন), বাম গণতান্ত্রিক জোট প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ২.৭২% (০৪ জন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ০.৩৪% (০১ জন), অন্যান্য রাজনৈতিক দল প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৯.৬৬% (৬৭ জন), স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ২৮.৮১% (৩৪ জন)। বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, মহাজোট প্রার্থীদের মধ্যে চার পঞ্চমাংশেরও অধিক কোটিপতি। উল্লেখ্য, হলফনামায় স¤পদের যে তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে, তাতে স¤পদের প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। কেননা, অনেক প্রার্থীই সম্পদের মূল্য উল্লেখ না করায় আর্থিক মূল্যে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়না। অপর দিকে বর্তমান বাজারমূল্য উল্লেখ না করার কারণেও সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘১৮৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১৭৩ জন (৯.৩৯%) ঋণগ্রহীতা। ১৭৩ জন ঋণ গ্রহীতার মধ্যে কোটি টাকার অধিক ঋণ গ্রহণ করেছেন ৮৯জন (৫১.৪৪%)। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে ঋণ গ্রহীতার হার অধিক (১৬.০৩%) এবং বামগণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে কম (৩.৪০%)।’
দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘১৮৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে আয়কর প্রদানকারীর হার ৩৮.৫৪% (৭১০ জন)। অধিক আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা মহাজোট প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬৬.৫৫% (১৯৯ জন)।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ