বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মীমাংসার নামে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা, ৫ ডিসেম্বর: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শিক্ষককে মারধরের মামলা মীমাংসার জন্য ইউপি সদস্য আসামীদের কাজ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে। তার পরেও আসামীরা পুলিশী গ্রেফতার থেকে রেহাই পায়নি। ইউপি সদস্য ও মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে ধর্ণা দিচ্ছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের মো. শামীম, ইসাহাক ও আমীন ফকিরসহ অন্যান্যরা স্থানীয় আমিনুল বালীর দোকানে ক্যারাম বোর্ড খেলার সময় গত ২০ নভেম্বর ওই ক্যারাম বোর্ড ভেঙ্গে ফেলে একই এলাকার আবুল কাশেম ঘরামীর ছেলে ও রাজিহার ইউনিয়নের কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির ঘরামী। ক্যারাম বোর্ড ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় বিক্ষুব্ধরা শিক্ষক জাকির ঘরামীকে মারধর করে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই মারধরের ঘটনায় আহত শিক্ষকের চিকিৎসা করানো ও ঘটনা মীমাংসার করার জন্য গৈলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা কুদ্দুস মোল্লা ও স্থানীয় মাতুব্বর মজিদ বালি হামলাকারী শামীম ফকিরের বাবা হাকিম ফকিরের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ নেয়। তার পরেও শিক্ষকের স্ত্রী নাসরিন বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় শামীম ফকিরের তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু ঘটনা মীমাংসার জন্য ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা কুদ্দুস মোল্লা বা স্থানীয় মাতুব্বর মজিদ বালি কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি। ইউপি সদস্য কুদ্দুসের নেয়া ওই ৫০ হাজার টাকা চাইতে গেলে হাকিম ফকির ও তার ছেলে শামীমের সাথে কুদ্দুস টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করে। এ ব্যাপারে হামলার শিকার হওয়া ওই শিক্ষক জাকির ঘরামী জানান, ইউপি সদস্য কুদ্দুস মোল্লা বা শামীম বালী তাকে এক টাকাও দেয়নি। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কুদ্দুস মোল্লা শামীমদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার ব্যাপারে বলেন, আমাদের উপস্থিতে শামীম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সোহরাব হোসেন বাবুলের কাছে মিমাংসার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। কি কারণে মীমাংসা হয়নি বা মামলা হয়েছে তা আমাদের জানা নেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্বাস উদ্দিন জানান, টাকা লেনদেনের ঘটনা তিনি শুনলেও আইনগতভাবে তার কিছুই করার নেই। তদন্তাধীন ওই মামলায় চার্জশীট প্রদান করবেন বলেও জানান তিনি। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হাসেন বলেন, টাকা দেয়া নেয়ার ব্যপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে মেম্বার বা অন্যকেউ টাকা নিয়ে প্রতারণা করলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ