বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ঐক্যফ্রন্ট যাদের প্রত্যাহার চেয়েছে তাদের দিয়েই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন করেছে পুলিশ প্রশাসন

তোফাজ্জল হোসেন কামাল : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৭০ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গত ২২ নবেম্বর বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের কাছে চিঠির মাধ্যমে যে তালিকা দিয়েছে, সেই তালিকায় থাকা শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়েই আসন্ন নির্বাচনের আইনশৃংখলা মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ জন্য একটি সেলও খোলা হয়েছে পুলিশ সদর দফতরে। বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে ওই ৭০ পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল সরকারবিরোধী জোটটি। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি)সহ পুলিশের শীর্ষ ৭০ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি কেন জানানো হয়েছে তারও ব্যাখ্যা দেয়া হয় ওই চিঠিতে। চিঠিতে তাদের প্রত্যাহারকে ‘জরুরি’ বলেও উল্লেখ করা হয়। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ওই চিঠি নির্বাচন কমিশনে জমা দেন যাতে পুলিশের শীর্ষ পর্যায় থেকে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭০ জন কর্মকর্তার নাম রয়েছে। তাঁদের অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছিল সেই চিঠিতে।
সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং সেল গঠন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। সারাদেশকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করে আট ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেলকে (মহাপরিদর্শক) সভাপতি করে ছয় সদস্যের আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, পুলিশ সদর দফতরের অফিস আদেশ অনুযায়ী রাজশাহী মেট্রোপলিটন, রংপুর মেট্রোপলিটন, রাজশাহী ও রংপুর রেঞ্জে দায়িত্ব পালন করবেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ এবং হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম। ঐক্যফ্রন্টের দেয়া তালিকায় র‌্যাবের ডিজির নাম ছিল। ঢাকা মেট্রোপলিটন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন, ঢাকা রেঞ্জ ও ময়মনসিংহ রেঞ্জে দায়িত্ব পালন করবেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এবং ডিএমপি সিটিটিসি স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের উপ-পুলিশ কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। ঐক্যফ্রন্টের তালিকায় এই দুই কর্মকর্তারই নাম ছিল। খুলনা মেট্রোপলিটন, বরিশাল মেট্রোপলিটন, খুলনা ও বরিশাল রেঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুজন হলেন এসবি’র অতিরিক্ত আইজি মীর শহীদুল ইসলাম এবং ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম। ঐক্যফ্রন্টের তালিকায় মনিরুল ইসলামের নাম ছিল। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন, সিলেট মেট্রোপলিটন, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ও সিলেট রেঞ্জে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যান্টি টেররিজম ইউনিউটের অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (এঅ্যান্ডডি) হাবিবুর রহমান। ঐক্যফ্রন্টের দেয়া তালিকায় হাবিবুর রহমানের নাম ছিল।
গত ১১ নবেম্বর পুলিশ সদর দফতরের একটি অফিস আদেশে এই আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং সেল গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ইন্সপেক্টর জেনারেলকে (মহাপরিদর্শক)। সহ-সভাপতি অতিরিক্ত আইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড অপারেশনস), সদস্য অতিরিক্ত আইজি (ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট), সদস্য অতিরিক্ত আইজি (টিঅ্যান্ডআইএম), সদস্য-সচিব ডিআইজি (অপারেশনস) ও সদস্য এআইজি (অপারেশনস)। ঐক্যফ্রন্টের দেয়া তালিকায় তাদের নামও দেয়া আছে।
পুলিশ সদর দফতরের ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স উল্লিখিত সেলকে সব ধরনের দাফতরিক, প্রশাসনিক ও লজিস্টিকস্ সহায়তা দেবে। এ ছাড়া কমিটি সেল প্রয়োজনে যেকোনো কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে। রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনাররা তাদের এলাকার জন্য গঠিত মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন সেলে পদাধিকারবলে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
এলাকাভিত্তিক সেলের কার্যপরিধি
পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সই করা অফিস আদেশে এলাকাভিত্তিক সেলের কার্যপরিধি তুলে ধরা হয়েছে। সে অনুযায়ী কার্যপরিধি হলো- নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালন; নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর থেকে এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান; শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনানুগ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ের কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান; বিভিন্ন সংস্থার (নির্বাচন কমিশন, সিভিল প্রশাসন, নির্বাচন অফিস, গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, আনসার ইত্যাদি) সঙ্গে সমন্বয় সাধন; নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে সম্পৃক্ত সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধনে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শ-সহায়তা প্রদান; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে আইনানুগ বিধিবিধান প্রতিপালন, পেশাদারিত্ব ও যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন এবং যথাসম্ভব দলবদ্ধভাবে অবস্থান করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান; জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং সভা, ওপেন হাউজ ডে, মাদক-জঙ্গিবিরোধী সভা আয়োজনে কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান; আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনানুগ পদ্ধতিতে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান; পুলিশ সদস্যদের আচরণ-কর্মকা- মনিটরিং করা যাতে সামগ্রিকভাবে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত থাকে; নির্বাচন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়নে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান; অস্ত্র ও গোলা বারুদসহ অন্যান্য রায়ট সামগ্রীর স্টক যাচাই এবং প্রয়োজন হলে চাহিদাকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণে সমন্বয় সাধন; ফোর্সের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে নির্দেশনা প্রদান; ভোটকেন্দ্রের অবস্থান, অবকাঠামো, রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, পানির ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ঝুঁকির বিষয়ে মূল্যায়ন; সহিংসতা, নৈরাজ্য, অপতৎপরতার কাজে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর বিশেষ শাখা কর্তৃক নজরদারি বৃদ্ধি করাসহ আগাম তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম জোরদারকরণের লক্ষ্যে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান; আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অন্যান্য যেকোনও বিষয় তদারকি ও নির্দেশনা প্রদান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত অন্য যেকোনও নির্দেশনা প্রতিপালন।
অফিস আদেশে আরও বলা আছে, এলাকাভিত্তিক গঠিত সেলের সদস্যরা ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন কমিটি’-এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকের (ইন্সপেক্টর জেনারেল) নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সেলের সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করবে ও সময়ে সময়ে প্রযোজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।
অফিস আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণের জন্য এ ধরনের কমিটি গঠন করা হয়। এবার একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই কমিটি ও সেল গঠন করা হয়েছে। যার যার ওপর অর্পিত দায়িত্ব তারা পালন করবেন।’
যে ৭০ জন পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়েছিল ঐক্যফ্রন্ট
এডিশনাল আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেছুর রহমান, র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, এডিশনাল আইজি (টেলিকম) ইকবাল বাহার, ডিআইজি (নৌ পুলিশ) শেখ মো. মারুফ হাসান, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ মো. কামরুল আহাসান, ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ খন্দকার গোলাম ফারুক, ডিআইজি খুলনা রেঞ্জ মো. দিদার আহমেদ, ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ এম খুরশিদ হোসেন, কমিশনার (ডিআইজি কেএমপি) হুমায়ুন কবির, ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, কমিশনার (ডিআইজি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ মাহবুবুর রহমান রিপন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি, ঢাকা) মীর রেজাউল আলম, ডিআইজি (সিটি এসবি ঢাকা) মোহাম্মদ আলী মিয়া, ডিআইজি (রংপুর রেঞ্জ) দেবদাস ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি ডিএমপি) কৃঞ্চপদ রায়, ডিআইজি (পুলিশ হেডকোয়ার্টাস) হাবিবুর রহমান, ডিআইজি (অপারেশন পুলিশ হেডকোয়ার্টাস) আনোয়ার হোসেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাফিজ আক্তার, ডিআইজি (ট্রেনিং) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিএমপি) আবদুল বাতেন, র‌্যাব-৪ এর এডিশনাল ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, যুগ্ম কমিশনার (ডিএমপি) শেখ নাজমুল আলম, এডিশনাল ডিআইজি (খুলনা রেঞ্জ) একে এম নাহিদুল ইসলাম, এডিশনাল ডিআইজি (খুলনা রেঞ্জ) মো. মনিরুজ্জামান, এডিশনাল ডিআইজি (সিলেট রেঞ্জ) জয়দেব কুমার ভদ্র, এডিশনাল ডিআইজি (ঢাকা রেঞ্জ) মো. আসাদুজ্জামান, জয়েন কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম, এসপি মোল্লা নজরুল ইসলাম, এসপি (টুরিস্ট পুলিশ, সিলেট) আলতাফ হোসেন, ডিসি (তেজগাঁও) বিপ্লব কুমার সরকার, ডিসি ডিএমপি হারুন অর রশীদ, ডিসি রমনা মো. মারুফ হোসেন সরকার, ডিসি (সিএমপি) এস এম মেহেদী হাসান, ডিসি (ডিবি, উত্তর) খন্দকার নুরুন নবী, ডিসি (সিএমপি) মো. ফারুকুল হক, ডিসি (কাউন্টার টেররিজম, ডিএমপি) প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, ডিসি (ডিএমপি) এস এম মুরাদ আলী, এডিসি (ডিএমপি) শিবলী নোমান, এসপি (ঢাকা) শাহ মিজান শফি, এসপি (নায়ারুগঞ্জ) মো. আনিসুর রহমান, এসপি (মুঞ্জিগঞ্জ) মো. জায়েদুল আলম, এসপি (নরসিংদী) মিরাজ, এসপি (টাঙ্গাইল) সনজিত কুমার রায়, এসপি (মাদারীপুর) সুব্রত কুমার হাওলাদার, এসপি (ময়মনসিংহ) শাহ আবিদ হোসেন, এসপি (শেরপুর) আশরাফুল আজিম, এসপি (সিলেট) মো. মনিরুজ্জামান, এসপি (বরিশাল) সাইফুল ইসলাম, এসপি (ভোলা) মোক্তার হোসেন, এসপি (খুলনা) এস এম শফিউল্লাহ, এসপি (সাতক্ষীরা) মো. সাজ্জাদুর রহমান, এসপি (বাগেরহাট) পঙ্কজ চন্দ্র রায়, এসপি (যশোর) মঈনুল হক, এসপি (ঝিনাইদহ) হাসানুজ্জামান, এসপি (কুষ্টিয়া) আরাফাত তানভির, এসপি (চট্টগ্রাম) নূর এ আলম মিনা, এসপি (নোয়াখালী) ইলিয়াস শরীফ, এসপি (ফেনী) এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, এসপি (কুমিল্লা) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এসপি (রংপুর) মিজানুর রহমান, এসপি (দিনাজপুর) সৈয়দ আবু সায়েম, এসপি (ঠাকুরগাঁও) মনিরুজ্জামান, এসপি (রাজশাহী) মো. শহিদুল্লাহ, এসপি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) মোজাহিদুল ইসলাম, এসপি (নওগাঁ) ইকবাল হোসেন, এসপি (নাটোর) সাইফুল্লাহ, এসপি (বগুড়া) আশরাফ আলী, এসপি (সিরাজগঞ্জ) টুকুল চক্রবর্তী ও এসপি (পাবনা) রফিক ইসলাম।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ