কোহলি-তামিমের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করতে চাইনা-মুমিনুল

স্পোর্টস রিপোর্টার : চলতি বছরটা ভালো কাটছে মুমিনুল হকের। বছর শেষ করার আগেই করেছেন চারটি সেঞ্চুরি। আছে একটি ডাবল সেঞ্চুরি। এখনও সামনে সুযোগ আছে সংখ্যাটা আরো বাড়িয়ে নেয়ার। গতকাল চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে বিরাট কোহলি আর তামিমেম সমস্থানে পৌছেছেন। তবে এটা নিয়ে মোটেও ভাবেননা মুমিনুল। তিনি মনে করেন কোহলি বা তামিমের সমকক্ষ নয় তিনি। গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মনে হচ্ছিল রান করা ভুলে গেছেন মুমিনুল হক। আর এবার সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে কী দাপুটে সেঞ্চুরিই না করলেন গতকাল। আর এই সেঞ্চুরির পথে ছুঁয়েছেন এমন কিছু রেকর্ড, যা অনেকের জন্যই স্বপ্ন। তবে তামিম ইকবাল ও বিরাট কোহলির পাশে বসেও মুমিনুল বলছেন, নিজেকে এখনো ওই উচ্চতায় চিন্তা করেন না। চলতি বছর চট্টগ্রামেই শ্রীলংকার বিপক্ষে করেছিলেন জোড়া সেঞ্চুরি। সেই চট্টগ্রামেই গতকা পেলেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি, এই বছরে যা তার চতুর্থ। এই বছর সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি ছিল বিরাট কোহলির (চারটি), মুমিনুল ছুঁয়ে ফেললেন তাকে। আর কোনো ব্যাটসম্যানের এই বছর তিনটি সেঞ্চুরিও নেই। এছাড়া টেস্ট ক্যারিয়ারে আটটি সেঞ্চুরি হয়ে গেল। বাংলাদেশের হয়ে যে রেকর্ডটি তামিম ইকবালের। একটা জায়গায় অবশ্য তামিম-কোহলি দু’জনের চাইতেই এগিয়ে মুমিনুল। চারটি সেঞ্চুরি এই বছর ১৩ ইনিংসেই করে ফেলেছেন এই ব্যাটসম্যান, সেজন্য কোহলির খেলতে হয়েছে ১৮ ইনিংস। অন্যদিকে, ৫৮ ইনিংসে আটটি সেঞ্চুরি হয়ে গেছে মুমিনুলের, সেজন্য তামিমকে খেলতে হয়েছে ১০০ ইনিংসের বেশি। তবে এমন অর্জনের সামনে দাঁড়িয়েও মুমিনুল অনেকটাই বললেন,‘তামিম ভাইয়ের সাথে আমার তুলনা করার প্রশ্নই ওঠে না। বিশ্ব ক্রিকেটে তার অবস্থান অন্যরকমের, তিনি অন্য উচ্চতার একজন ব্যাটসম্যান। আর বিরাট কোহলি তো আরও ওপরে। আমি আসলে এসব নিয়ে ভাবি না।’ এই বছর শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান এমন প্রশ্নের উত্তরে মুমিনুল বললেন,‘বছর তো এখনও শেষ হয় নি। এখনও সেকেন্ড ইনিংস বাকি আছে, সেকেন্ড টেস্ট বাকি আছে। ওইভাবে চিন্তা না করে সবসময় চিন্তা করি একটু ইম্প্রুভ করার, দলের জন্য ভালো করার চেষ্টা করবো।’ ইনিংসটা বড় করা নিয়ে অবশ্য কোনো আক্ষেপ নেই তার, ‘সবসময় আক্ষেপ থাকবে। আগের টেস্টেও যেমন ১৬০ করে আউট হয়েছি, তখনও ছিল। যখনই আক্ষেপ থাকবে না, তখন আপনি ওই একই জায়গায় থেকে যাবেন। আপনার যদি ক্ষুধা না থাকে পারফর্ম করার তাহলে আপনি একই জায়গায় থেকে যাবেন। আক্ষেপ সবসময় থাকে। যখন শূন্য করে আউট হই, এক’শ করি তখনও আক্ষেপ থাকে।’