বিএনপির প্রার্থীদেরকে ডেকে নিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়ার পরও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা গায়েবি মামলায় গ্রেফতার এবং জামিন না দেয়ার প্রবণতা আরো বেড়েছে। বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনে বিরোধী দলের যে সব প্রার্থীর জয় লাভের সম্ভাবনা বেশি তাদেরকে গ্রেফতার করে আটক করা হচ্ছে এবং জামিন দেয়া হচ্ছে না। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, নি¤œ আদালতে তাদের জামিন শুনতে নানা বিলম্ব করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে এবং নির্বাচনের লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করা হচ্ছে না। সরকারি দলকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য এই গ্রেফতার আটক ও হয়রানি চলছে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, টেলিফোনে বিভিন্ন সংস্থার নামে হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং কোনো কোনো বিশেষ প্রার্থীকে ডেকে নিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। এতে নির্বাচনের সকল পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এই ঘটনাগুলোতে প্রমাণিত হয় না যে, এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশন একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তরিক।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক। বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন পাওয়ার পরও অন্যায়ভাবে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দেয়ার পর জামিন বিলম্ব করা হচ্ছে। সিনিয়র নেতা সাবেক হুইপ, সংসদ সদস্য মুনিরুল হক চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী এফ.সি.এ, হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুবদলেরর সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দকে অটক করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এটা অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের জন্য অনুকূল নয়। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন ও সরকারের এবং এর দায়দায়িত্ব তাদের ওপরই বর্তায়। আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ আটককৃত সকল নেতৃবৃন্দকে মুক্তি প্রদানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।