শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

খুলনায় নির্মাণ হবে শেখ রাসেল সিভিক সেন্টার

খুলনা অফিস: ৯ নভেম্বর, খুলনা মহানগরীর নতুন রাস্তা মোড় এলাকায় নির্মাণ হবে শেখ রাসেল সিভিক সেন্টার। ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১.৫ একর জমিতে কেডিএ নির্মাণ করবে এ সেন্টার।
যেখানে অত্যাধুনিক ক্লাব, সেমিনার হল, গেস্ট হাউজ, সুইমিং পুল, রেস্টুরেন্টসহ প্রবেশ পথে থাকবে শেখ রাসেলের ম্যুরাল। কেডিএ সূত্রে জানা গেছে, নতুন রাস্তা মোড় কবির বটতলা এলাকায় কেডিএ (খুলনা ডেভলপমেন্ট অথরিটি)র নিজস্ব জায়গায় এটি নির্মাণ হবে। শেখ রাসেল সিভিক সেন্টার নামের এ প্রকল্পটি প্রি-একনেকের সভায় কিছু সংশোধনী দেয়া হয়। তা সংশোধন করে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। যেখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা। যেখানে থাকবে অডিটোরিয়াম, এমপি থিয়েটার, কনফারেন্স হল, জিমনেশিয়াম, মাল্টিপারপাস হল, ক্লাব হাউজ, সেমিনার হল, গেস্ট হাউজ, সুইমিং পুল, আন্তর্জাতিকমানের আবাসিক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, এক্সিবিশন হল, সুবিনির শপ, সবুজায়ন, পার্কিং এবং প্রবেশপথে থাকবে শেখ রাসেলের ম্যুরাল।
প্রবীণ আইনজীবী এডভোকেট এনায়েত আলী জানান, খুলনায় যেগুলো রয়েছে সেগুলোকে আগে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এরপর নতুন কিছু করা দরকার। নতুন নতুন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু পুরানগুলো সংস্কার করা হচ্ছে না। তবে এ উদ্যোগটা ভাল। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনা জেলা সম্পাদক এডভোকেট কুদরত-ই-খুদা জানান, যেকোনো উন্নয়নে আমাদের সমর্থন রয়েছে। নগরীর ১৮ লাখ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নাম যাই হোক। উন্নয়ন যেন হয়। এ সিভিক সেন্টারের কারণে যেন আবার খুলনার মানুষের প্রয়োজনীয় জিয়া হল (পাবলিক হল)টির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত না হয়। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বর্তমানে শুনছি এটি সিটি কনভেনশন সেন্টার নামে নতুনভাবে নির্মাণ হবে। কিন্তু নামের কারণে যেন নগরীর কোনো উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত না হয়। কেডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প) মোরতোজা আল মামুন জানান, এটি খুলনায় প্রথম। একই সাথে একই জায়গায় এতসব আয়োজন আর কোথাও নেই। আন্তর্জাতিকমানের এ সিভিক সেন্টারটি খুব শিগগিরই পাস হবে বলে আশা করছি। কেডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) কাজী মো. সাবিরুল আলম জানান, খুলনার উন্নয়নে বেশ কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে সিভিক সেন্টার একটি। সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে এটি নির্মাণ করা হবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। প্রি-একনেক এর সভায় কিছু সংশোধনী ছিল। সেগুলো সেরে পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে প্রকল্পটি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ