রোহিঙ্গাদের সেবা দেয়ার অজুহাতে স্থানীয়দের জায়গা-জমি দখল
শাহনেওয়াজ জিল্লু, (কক্সবাজার): রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদানের অজুহাতে স্থানীয়দের জায়গা জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে বেসরকারি সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ। পালংখালী মৌজার শফিউল্যাকাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় জনৈক মুফিজ উদ্দিনের খতিয়ানভূক্ত জায়গাটি জোরপূর্বক দখল এবং জমির মালিককে বলপ্রয়োগে উচ্ছেদ করে সেখানে কেয়ার বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে অভিযোগে জানা যায়।
বিষয়টি নিয়ে বিগত এক সপ্তাহ ধরে অভিযুক্তদের বিভিন্নভাবে অবগত করা হলেও তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে সেখানে বেপরোয়া তান্ডব চালিয়ে জমির মালিক মুফিজ উদ্দিনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও করেছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক মুফিজ উদ্দিন জানিয়েছেন, বিরোধীয় উক্ত জমিতে একটি খামার ঘর ও একটি বসতঘরসহ প্রচুর চারা গাছ ছিলো। জমিটিতে অবস্থিত বসত ঘরে তার মা থাকতো। কিন্তু হঠাৎ করে এনজিও কেয়ার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদানের অজুহাতে তার উক্ত বসত ঘর ও খামারে ভাঙচুর চালায়। অতপর উচ্ছেদ করে দেয়। মুফিজ উদ্দিন আরো দাবী করেন, উক্ত জমিটি অত্র রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৬ ও বি-৭ এর মধ্যস্থানে স্থিত জোত জমি। এই জোত জমির উপরই এনজিও কেয়ারের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। সংস্থাটির ইঞ্জিনিয়ার রুবেল, সাইড ম্যানেজার রাজিব, রফিক ও ল´ী রাণী এচারজন মিলে বিনা অনুমতিতে উক্ত জমিতে বে-আইনীভাবে গত ২২ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে হামলা চালায়। বিষয়টি ক্যাম্প ইনচার্জকে অবহিত করা হলে তিনিও এবিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে জানান। এসময় তাদের প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলেও দাবী করেন মুফিজ। এছাড়াও উচ্ছেদের সময় ঘরে অবস্থান নেওয়া মহিলাদেরও শ্লীলতাহানী করেছে অভিযুক্ত এনজিওর লোকজন, এমন অভিযোগ মুফিজের পরিবারের। এবিষয়ে জানতে চাইলে নাম ও পদবী প্রকাশে অনিচ্ছুক কেয়ারের একজন কর্মকর্তা জানান, তারা বনবিভাগের জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করছে। একাজ করতে গিয়ে তারা কাউকে উচ্ছেদও করেনি বলে দাবী করেন।উল্লেখ্য, বিরোধীয় এ বিষয়ে ৩০ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি সুরাহা দিবেন এমনটি কথা দিয়েছেন বলেও জানা যায় অভিযোগ দাতাদের পক্ষ থেকে।