বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আন্দোলনেই সমাধান দেখছেন বিশিষ্টজনরা

মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের দুইটি প্রাপ্তিকে মামুলি আখ্যা দিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা যে দুইটি বিষয়কে প্রাপ্তি মনে করছেন, তা আসলে কোনো প্রাপ্তিই না। সংলাপে সমাধান দেয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। তার মতে, সংলাপের পূর্ব থেকে সরকারের মনোভাব খুবই পরিস্কার ছিল। সংলাপ আপত দৃষ্টিতে শেষ। এখন সবাই গণভবনের চা চক্রে আমন্ত্রিত। ফলাফল আসলে শূণ্য। গতকাল শুক্রবার মহাখালীতে তার নিজ বাসায় সংলাপ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
আলাপকালে জানা গেছে, ড. কর্নেল অলি আহমেদ এর সুরেই কথা বলছেন বিএনপিসহ দেশের বিশিষ্টজনা। তারাও বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ কার্যত ব্যর্থ। ৭ দফার একটি দফাও মানেনি ক্ষমতাসীনরা। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সরকার, সংসদ ভেঙে নির্বাচন কিংবা খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে কোনো আশ্বাস মেলেনি। এ জন্য আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করার তাগিদ বিশ্লেষকদের। তারা বলছেন, এত সহজেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দাবি মেনে নিবেনা। তাদের দাবি আদায় করতে বাধ্য করতে হবে। আর এটি কেবল আন্দোলনের মাধ্যমেই সম্ভব। এক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাশাপাশি সবার আগে ২০ দলীয় জোটকেই শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন একসাথে আন্দোলন করা ইতিহাস ঐতিহ্য রয়েছে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের।
জানতে চাইলে ঢাবির সাবেক ভিসি ও বিশিষ্ট রাজনীতিক বিশ্লেষক এমাজউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে দেশের প্রধান বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হলো সেটির দিকেই তাকিয়ে ছিল সবাই। গত বশে কয়েক বছরই দেশে একটি অস্থিরতা চলছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়ত সংলাপের মাধ্যমে এর একটা সমাধান হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সংলাপ শেষে সরকার ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বক্তব্য আমিসহ দেশবাসীকে হতাশ করেছে। বিরোধী পক্ষ বলেছে, সরকার কোনো দাবিই মেনে নেয়নি। সরকার বলেছে, তারা সংবিধানের বাইরে যাবেনা। তিনি বলেন, যদি সরকার তার অবস্থানের কোনো পরিবর্তনই না ঘটায় তাহলে সংলাপের কি প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, বিরোধী জোটকেই এখন তাদের দাবি আদায়ের মাধ্যম ঠিক করতে হবে। এ সময় তিনি আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি অদায় সম্ভব বলে মত দেন।
পর্যায়ক্রমে সরকার পক্ষের সাথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন দলের সংলাপ বৈঠক চলছে। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বস্তি যেমন দেখা দিয়েছে তেমনি কিছুটা শঙ্কাও রয়েছে জনমনে। কারণ শেষপর্যন্ত সমঝোতা হবে তো? সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে বাধা থাকবে নাতো! সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সংসদ ভেঙে নির্বাচন দেয়াটা কয়েকটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এ বিষয়ে সংবিধান সংশোধন করে একটি আইন পাস করা হয়েছে। কিন্তু আমি বলবো সেটি প্রচলিত রীতিনীতির এক ধরনের ব্যত্যয়। সংসদ ভেঙে নির্বাচন দেয়াটা বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার দৃষ্টিকোণ থেকে এ বিষয়টি সাইকোলজিক্যাল বা মনস্তাত্ত্বিক একটি পদক্ষেপ বলে মনে করি। কেননা ২০১৪ সালের নির্বাচন যেহেতু অংশগ্রহণমূলক হয়নি, সেহেতু ওই নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে একটি আস্থাহীনতার আবহ তৈরি হয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর অনেকটা প্রভাব পড়বে। এ আস্থাহীনতার বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে হলে একটি অন্যতম পদক্ষেপ হচ্ছে সংসদ ভেঙে দেয়া। এটা নির্বাচনের নানা ধরনের অনিশ্চয়তার বিষয়গুলোকে অনেকটা কমিয়ে আনবে।
জানা গেছে, আন্দোলনের সূচনা হিসেবে আগামী ৬ নবেম্বর ঢাকায় জনসভার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে আন্দোলনের একটি দিক নির্দেশনা আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের পরদিন শুক্রবার দিনব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল কি পেল বিএনপি। সংলাপের পর নেতাদের মধ্যে রাতেই আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে কথা হয়েছে। লন্ডনে দলের শীর্ষ নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও জানানো হয়েছে। এসব আলোচনায় নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ কার্যত ব্যর্থ হয়েছে ধরে নিয়েই আন্দোনের মাধ্যমে দাব আদায়ের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আন্দোলনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট নেতাদের এরই মধ্যে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
সংলাপ ব্যর্থ হওয়ার কারণ সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, ৭ দফার মধ্যেই বিএনপির প্রধান দাবি হচ্ছে, নির্বাচনকালীন সরকার, সংসদ ভেঙে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি। এই তিনটি বিষয়ে সুরাহার কোনো লক্ষণও দেখা যায়নি সংলাপে। নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে সংবিধানসম্মতভাবেই ঐক্যফ্রন্ট শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বর্তমান সংকট নিরসনে একাধিক বিকল্প তুলে ধরেন। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ারও একটি রূপরেখা দেন। জবাবে সংবিধানের দোহই দিয়েই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা কোনো ভাবে সম্ভব নয় বলে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ১/১১ প্রসঙ্গ টেনে এদেশে নিরপেক্ষ কে তা জানতে চেয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া হয় ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে। এ সময় বিএনপি নেতারা ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথাও বলেন। জবাবে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সে সময়ের প্রেক্ষপট ভিন্ন ছিল। এখন ঐধরনের কোন পরিস্থিতি নেই। যদি পরিস্থিতি থাকতো তাহলে জনগণ আন্দোলন করতো। এখনও প্রয়োজন হলে জনগণ আন্দোলন করবে। পারলে আন্দোলন করেই এই দাবি আদায় করে নেয়ার চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেয়া হয় ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির নেতারা প্রশ্ন করলে জবাবে ক্ষমতাসীনরা জানায় এটি পুরোপুরি আদালতের বিষয়। তবে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা গায়েবি রাজনৈতিক মামলার বিষয়ে তদন্ত করে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা জানান, ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেননি শুধু তার ওপর আস্থা রাখার কথা বলেছেন। নিরপেক্ষ সরকার, সংসদ ভেঙে দেয়া ও খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়েই কোনো সুরাহা না হলে প্রধানমন্ত্রীর ওপর কি জন্য আস্থা রাখতে হবে তা এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রশ্ন। সঙ্গত কারণে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে সংলাপের পর থেকে গতকাল দিনব্যাপী উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে একেবারে তৃণমূলের কর্মীরাও সংলাপের প্রকৃত বিষবস্তু জানতে আগ্রহী ছিল। ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতাদের কার কি ভূমিকা ছিল তাও নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছে অনেকে। তারা জানতে পেরেছে, ৭টির একটি দাবিও মানেনি ক্ষমতাসীনরা। এরপরেও কেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা সংলাপ ভাল হয়েছে বলে মন্তব্য করা এবং বিএনপির শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুধু সন্তুষ্ট হতে পারেননি মন্তব্যের মধ্যে কেন সীমাবদ্ধ ছিলেন এনিয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ। নেতাকর্মীদের ক্ষোভ কমাতে সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিক ভাবে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির শীর্ষ নেতা যে মন্তব্য করেছেন তা কৌশলগত কারণে। সংঘাত নয় সমঝোতার মাধ্যমে বিএনপি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে এবং করবে। তবে সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা না দেখে আন্দোলনের জন্য প্রস্তত হওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছেন নেতারা।
সূত্রমতে, বিএনপির পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্টের অধিকাংশ নেতাও আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের পক্ষে। তবে ২/৩ জন নেতা আছেন তারা মনে করছেন সব দাবি আদায় সম্ভব না হলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি এখনও আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব। এজন্য আলোচনার জন্য আরো কিছু সময় নেয়া যায় কিনা তা নিয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তারা। জবাবে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, ঐক্যফ্রন্টের দাবির প্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীনরা যে আলোচনা করবে সেই আলোচনায় কোনো লাভ হবেনা। ক্ষমতাসীনরা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসবেনা। আন্দোলনের মাধ্যমে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যাতে ক্ষমতাসীনরাই আলোচনার উদ্যোগ নেয়। সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হবে।
আন্দোলনের বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, ৭ দফার কোনোটিই তো মানা হয়নি। বরং নেতিবাচক মন্তব্য করেছে সরকার দলীয় লোকজন। দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। সংলাপে না থাকলেও এর প্রাপ্তির বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সংলাপের ফলাফল শূন্যের কোঠায়। কোনো দাবি তারা মানবে না।
সূত্রমতে, সংলাপ হলেও তা সফল হবেনা ধরে নিয়েই দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। এবার সংলাপ শেষ হওয়ায় চুড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্ততি নিতে নেতাকর্মীদের এরই মধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণা করা হলে ওইদিন থেকে আন্দোলন শুরু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে দেশব্যাপী দলের সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের আগেই বার্তা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের তপশিলের আগে গ্রেফতার এড়িয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে তপশিলের দিনে মাঠের আন্দোলন সফল করার প্রস্তুতি রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ঢাকার জনসভা থেকে আন্দোলনের চূড়ান্ত নির্দেশনা আসবে।
সংলাপের বিষয়ে অলি আহমদ আরও বলেন, সরকার ঐক্যফ্রন্টকে সড়ক ছাড়া যেকোনো জায়গায় সভা করার অনুমতি দেওয়ার কথা বলেছে এবং রাজনৈতিক মামলার তালিকা চেয়েছে, কিন্তু এও বলেছে এসবের কোনওটাই রাজনৈতিক মামলা নয়। জোটের অনেকে ভাবছেন, এসবের মধ্যে প্রাপ্তি আছে- কিন্তু আদতে নেই। ঐক্যজোটের কোনও উল্লেখযোগ্য দাবিই সংলাপে গুরুত্ব পায়নি। সংলাপ নিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা উঁচুতে ছিল। কিন্তু তাদের আশা ধূলিসাৎ হয়েছে। অলি আহমেদ মনে করেন, আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। তাই বিরোধীপক্ষের হাতে সময় নেই। তাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেননা সরকার সংলাপে স্পষ্টভাবে বলেছে সংবিধান ও আইনের বাইরে গিয়ে তাদের কিছু করার নেই। সরকার বরাবরই বলেছে সংবিধান ববহির্ভূত কোনও কিছু আশা করা ঠিক হবে না।
ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার এক বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মান্না নিজেই বলেছেন সংলাপের ফলাফল শূণ্য। দেখা ও কথা হয়েছে- এটাই প্রাপ্তি। সরকার সংলাপের আগেই নিজেদের কর্মপন্থা স্থির করে রেখেছে। বিরোধীপক্ষকে অসহায় মনে করছে। কিন্তু জনগণ অসহায় নয়। সরকারকে উদ্দেশ্য করে অলি বলেন, সব সময় গায়ের জোরে সব আদায় সম্ভব নয়। অনেক সময় পরিবেশও অনুকূলে থাকতে হয়। জনগণও কি চায়- সরকারকেও বুঝতে হবে।
সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, সংলাপ থেকে তাৎক্ষণিক সকল বিষয়ের সমাধান পাওয়াটা খুবই কঠিন। কঠিন হওয়ার কারণ হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী তো আরো অনেক দলের সাথে বৈঠক করবেন। আরো অনেক দলের কথাও তাকে শুনতে হবে। তবে যে যাই বলুক না কেন আওয়ামী লীগ তো তার স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো ছাড় দেবে না।
সংলাপের বিষয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সরকারি জোটের সংলাপে সরকারের একগুঁয়েমি মনোভাব গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের অশনিসংকেত। সংলাপে মানুষের মনে যে আশাবাদ জেগে উঠেছিল, সংলাপ শেষে সেই আশার মুকুল ঝরে যেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, সংলাপে ৭ দফায় আওয়ামী লীগ সাড়া না দেওয়ায় এবং দলটির অনড় অবস্থানের কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অগ্রগতি তিমিরাচ্ছন্ন হলো। তিনি বলেন, সরকার অনমনীয় মনোভাব দেখাতে থাকলে মাথা উঁচু করে সাত দফা দাবি রাজপথেই আদায় করতে হবে। দুর্জয় সাহস নিয়ে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ