বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ব্রয়লার মুরগী ও আদা রসুনের দাম বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার: বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়তে থাকায় কমতে শুরু করেছে দাম। তবে বাড়ছে ব্রয়লার মুরগী ও আদা-রসুনের দাম। প্রতি কেজি আদা-রসুনের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিকেজি আদা ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়, রসুন ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ব্রয়লার মুরগীতে কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। তবে ইলিশ মাছের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছের দাম কিছুটা কমেছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজারে দেখা গেছে, বেশকিছু সবজির দাম কমেছে। তবে এখনো অধিকাংশ সবজির দাম ৪০-৫০ টাকার বেশি। প্রতিকেজি টমেটো ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। প্রতিকেজি শিমে ৬০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শসা। এদিকে কমেছে গাজর, ঢেঁড়স, বেগুন, কচুরলতি, ছড়া, মূলা, কাকরোল, করলার দাম। প্রতিকেজি গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৪৫, মূলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেজে ৫০ টাকা, ঝিঙা ও চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাকরোল ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এবং জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, এখন সবজির ভরা মওসুম হওয়ায় দাম কমেছে। কয়েকদিন আগে সবজির গাড়ি আসতে না পারায় দাম বেড়েছিল। এখন কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
প্রতি আঁটি কলমি শাক পাঁচ থেকে সাত টাকায়, লাল শাক আট থেকে দশ টাকায়, লাউ শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, পালং শাক ১৫ টাকায়, পুঁই শাক ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়, লেয়ার ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়, গরুর গোশত ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, খাসির গোশত ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল, তেল ও মসলার দাম। প্রতিকেজি সিরাজ মিনিকেট ও মিনিকেট চাল ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতিকেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকায়, মসুর ডাল মোটা ৭০ টাকায়, মুগ ডাল ১২০ টাকায়, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ টাকায় ও বোতলজাত ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা। প্রতিকেজি আদা ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়, রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। অন্যদিকে পেঁয়াজ (দেশি) ৪০ টাকা, ভারতীয় ৩০ টাকা, আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় অন্যান্য মাছের দামও কিছুটা কমেছে। প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জোড়া ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিজোড়া ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি ট্যাংরা মাছ ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ২৭০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, নলা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, রুই ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ ব্যবধানে এসব মাছের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
অন্যদিকে ডিমের দামেরও রয়েছে অপরিবর্তিত। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলে ১২০ টাকা। ২০ টাকা কমে প্রতি ডজন হাসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ