বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

আটকে পড়ছে বাঘাবাড়ী বন্দরমুখী মালবাহী জাহাজকার্গো

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের মাঝে জেগে উঠা চর

 

এম, এ, জাফর লিটন, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে : যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরমুখী মালবাহী জাহাজকর্গো সময়মত বন্দরে ভীড়তে পারছেনা। ফলে বাঘাবাড়ী বন্দরে জ্বালানি তেল, সার, কয়লা সরবরাহ কমে আসছে। কয়েকদিন পূর্বেও বন্দরটি কর্মচাঞ্চল্য ছিল, হঠাৎ নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বাঘাবাড়ী বন্দরমুখী যমুনা নদীর বেড়া উপজেলার পেঁচাকোলা পয়েন্টে ডুবোচর পড়ায় মালবাহী কয়েকটি জাহাজ আটকে পড়েছে। যার ফলে ড্রেজিং না করা পর্যন্ত বন্দর অভিমুখে জাহাজ সময়মত আসতে পারবেনা। নাব্যতা নিরসনে বন্দরমুখী যমুনা নদীতে ড্রেজিং করার জন্য ইতিমধ্যেই বাঘাবাড়ী বন্দর কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটি বরাবর আবেদন করেছে বলে জানায়। এ ব্যাপারে বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরের যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড এর ম্যানেজার এ কে এম, জাহিদ সারোয়ার জানান, নাব্যতা সংকটের কোন উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি তেল সংকট পড়বেনা। কারণ আগামী দুই মাস সামাল দেয়ার মত পর্যাপ্ত তেল এখানে মজুদ আছে। অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে ৭ কোটি লিটার তেল মজুদ রাখা আছে। নদী ড্রেজিং হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। উল্লেখ্য আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমকে ঘিরে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় জ্বালানি তেল, সার এই বাঘাবাড়ী বন্দরের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ১৯৮৩ সালে এরশাদ সরকার উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের বড়াল নদীর তীরে স্থাপন করেন বাঘাবাড়ী নদী বন্দর। এটি যমুনা নদী পশ্চিম তীরে অবস্থিত। পদ্মা, যমুনা ও বড়াল নদীর সাথে সংযোগ থাকায় এই নদী বন্দরের ভৌগলিক ও ব্যবসায়িক গুরুত্ব অনেক বেশি। বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জ্বালানি তেল, সার, কয়লা, পাট উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় সরবরাহ করা হয়। কুলি, শ্রমিক, মালিকদের কলরবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মুখরিত থাকে বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর। বন্দরের তীরেই রয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ৩টি তেলের ডিপো। পদ্মা, মেঘনা, যুমনা। নদীবন্দরের পেট্রোলিয়াম ডিপো থেকে পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য এবং সারসরবরাহের মধ্য দিয়ে এখানে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। বাঘাবাড়ী বন্দর হল বাংলাদেশের একটি প্রধান নদীবন্দর। এই বন্দরের দ্বারা দেশের উত্তর অংশের কৃষি কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার এই নৌবন্দর দ্বারা আনা হয়। এই বন্দর দ্বারা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কয়লা, ডিজেল, রাসায়নিক সার নদী পথে আনা হয় ছোটো জাহাজে করে। তবে শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদীতে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে বন্দরমুখী নদীতে চর জেগে মালবাহী জাহাজ কর্গো সময়মত ভীড়তে পারেনা। বাঘাবাড়ী বন্দর থেকে প্রতিদিন উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় ছেড়ে যায় শত শত সার, কয়লা ও জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংক।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ