বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বেকার যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা

মুহাম্মদ নূরে আলম : আজকাল অনেকেই দৈনন্দিন ব্যস্ততার কারণে কিংবা কাজের চাপ থেকে মুক্ত থাকতে বড় কোনো পারিবারিক বা অফিসিয়াল উৎসব বা অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব পেশাদার কোনো প্রতিষ্ঠানকে দেন। বিশেষ করে, অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তো কাজ করতেই চায় না। এসুযোগ কাজে লাগাতে অর্থাৎ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বা অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনার কাজে এগিয়ে আসছেন অনেকেই। বছরজুড়ে প্রাতিষ্ঠানিক এবং ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। সেসব আয়োজন সুন্দর ও রুচিশীল করতে অনেকেই মুখোমুখি হন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের। গায়ে হলুদ, বৌভাত, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, কনসার্ট, ডিজেপার্টি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, করপোরেট অনুষ্ঠান, মেলা, প্রদর্শনী, ফ্যাশন শো, অফিশিয়াল মিটিংসহ ছোট-বড় সব ধরনের অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের কাজটি করেন তারা। বর্তমানে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট শৈল্পিকতার ছোঁয়ায় অনেক সুন্দর ও নান্দনিক একটা শিল্প হয়ে উঠেছে। ফলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে অনেকেই ক্যারিয়ার গড়তে ছুটছেন। এই পেশাটা যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনি ক্যারিয়ার লাইফ উপভোগ করারও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে এখানে। সুযোগ রয়েছে নিজেকে প্রমাণেরও। এসব বিবেচনা করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পেশা হিসেবে লোভনীয় হয়ে উঠেছে। কাজের ক্ষেত্র হিসেবেও এখানে রয়েছে ব্যাপক সুযোগ।
বাংলাদেশে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ইতিহাস ও বিকাশ সম্পর্কে গ্রে অ্যাডভারটাইজিংয়ের মার্কেটিং সার্ভিস পরিচালক (অপারেশন) সাইফুল আজিম বলেন, ‘বাংলাদেশে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রচলন শুরু হয় ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে। মূলত ২০০২ সালের পর থেকেই এটি ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করতে শুরু করে। বর্তমানে সারা দেশে কাজ করছে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান। দেশে পেশা বা কাজ হিসেবে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। আর স্বাবলম্বী হতে বা ভালো আয় করতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে আপনিও নিতে পারেন পেশা হিসেবে। খুলতে পারেন একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান।
উদ্যোগের জন্য দরকার একটু সাহসী, বুদ্ধিমান ও আত্মবিশ্বাসী হলে নিজ উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠা করে ফেলতে পারেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম। শুরুর আগে সরাসরি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবসায় না নেমে কিছুদিন জব করে নিতে পারেন। তবেই প্রকৃত অর্থে নিজেকে চিনতে পারবেন। আর নিজেকে চিনতে পারার মাধ্যমেই নিজের অবস্থান আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। অফিস না নিয়ে অল্প পুঁজিতেও আপনি শুরু করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে লাখখানেক টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। প্রথমেই বড় কাজ না ধরে ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করতে হবে। এতে চাপ থাকবে কম এবং বেশি বিনিয়োগও করতে হবে না। তবে অফিস নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে স্থানভেদে বিনিয়োগ করতে হবে ১৫-২০ লাখ টাকা। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম শুরু করতে আপনাকে দুটি পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হবে। ব্যবসা শুরু করবেন, তবে আগ্রহের পাশাপাশি পরিশ্রমী হতে হবে আপনাকে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম যত বেশি স্মার্ট এবং দক্ষ হবে তত উন্নত মানের এবং লাভজনক কাজের কন্ট্রাক্ট পাওয়া যাবে এবং বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কাজ নেওয়ার সুযোগ হবে। প্রতিটি ব্যবসার মতো এখানেও ঝুঁকি আছে। এ জন্য অবশ্যই আপনার মধ্যে ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস থাকতে হবে, থাকতে হবে অধিক যোগাযোগ দক্ষতা ও মানুষকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা। এ কাজে সাফল্যের বড় মাধ্যম হলো কাজের মান। কোনো গ্রাহকের সঙ্গে কাজের মানের সমস্যা না করলে বাড়তে থাকবে কাজের পরিমাণ। সঠিকপথে দক্ষতার সঙ্গে ফার্ম প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করতে পারলে এ ব্যবসায় ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। দক্ষতা, আন্তরিকতা ও চেষ্টার মাধ্যমেই আপনার ফার্মকে সাফল্যের পথে নিয়ে যেতে পারবেন।
শুরুটা যেভাবে: যারা এ পেশায় আসতে চান, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ওপর শর্টকোর্স করতে পারেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ওপর শর্টকোর্সের আয়োজন করে থাকে। অল্প টাকার বিনিময়ে তাদের থেকে কোর্স করতে পারেন। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পরিচালনায় আয়োজিত বড় বড় প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করুন। অনুষ্ঠান উপভোগ করার চেয়ে আড়ালে যারা কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের কর্মপ্রক্রিয়া ভালো করে লক্ষ্য করুন। দেখুন, জানুন ও শিখুন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালীন চাকরি করতে পারেন। এতে অভিজ্ঞতা বাড়বে।
আয়-রোজগার: ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পেশায় আয় ও বেতনের অঙ্কটাও নেহাত কম নয়। শুরুতেই ১৫-২০ হাজার টাকা দিয়ে এ পেশায় আপনি ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। এর পর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন বাড়বে। খন্ডকালীন চাকরিতে ৬ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত সহজেই রোজগার করা যায়। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট নিজস্ব ব্যবসা হলে আয় নির্ভর করে বিনিয়োগ, কাজের সংখ্যা ও পরিমাণের ওপর। তবে খুব অল্প পুঁজিতে শুরু করেও আপনি প্রথম দিকেই প্রতি মাসে আয় করতে পারেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
দায়িত্ব: শাব্দিক অর্থে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বলতে যে কোনো ঘটনার যাবতীয় ব্যবস্থাপনাকে বোঝায়, বাস্তবিক ধারণাও তাই। সুষ্ঠু ও সুন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কোনো ঘটনা, অনুষ্ঠান বা কোনো আয়োজন পরিচালনা করাই হচ্ছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। আরেকটু বিস্তারিতভাবে বললে বলা যায়, অনুষ্ঠানের সব ব্যবস্থাপনা যেমনÑ ভেন্যু নির্বাচন, খাবার, পরিবহন, ক্যাটারিং, সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং, পোস্টারিং, ব্যানার, ফুল, মিডিয়া কভারেজ, বিজ্ঞাপন, আমন্ত্রণপত্র ছাপানো, আমন্ত্রণ জানানো, ডেকোরেশন, অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো, অনুষ্ঠান উপস্থাপনাসহ সব বিষয় নিখুঁতভাবে আয়োজন করে থাকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম।
চাকরির ধরন: সময়ের ভিত্তিতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মে চাকরি দুই ধরনের: পার্টটাইম ও ফুলটাইম। পার্টটাইম আর অস্থায়ী ভিত্তিতে খন্ডকালীন সময়ের জন্য কাজ করে। সাধারণ, গ্র্যাজুয়েশনে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম জব করে। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ফুলটাইম জবে প্রবেশ করতে পারে। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞাপনী ফার্মগুলোয় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। সেগুলো হলো:-
প্রডাকশন বিভাগ: এ বিভাগের কাজ মূলত প্রাথমিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা, ইভেন্টের কাঠামো তৈরি করা এবং গ্রাহকদের সঙ্গে সব রকম যোগাযোগ রেখে অতিথিদের আপ্যায়ন ও চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করা। ভিজ্যুয়ালাইজেশন বিভাগ : কায়েন্টদের পছন্দ বুঝে তার সঠিক রূপায়ণ তথা কায়েন্টরা ঠিক কী ধরনের সেবা চাচ্ছেন এবং ফার্ম কীভাবে তা ম্যানেজ করবে সে বিষয়গুলো কম্পিউটারে ফুটিয়ে তোলাই হচ্ছে ভিজ্যুয়ালাইজেশন বিভাগের কাজ।
লজিস্টিক বিভাগ: এ বিভাগের কাজ হলো, বড় কোনো ইভেন্টের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দরকারি জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম সময়মতো সঠিক জায়গায় সরবরাহ করা। জনশক্তি বিভাগ: ইভেন্ট আয়োজনে অতিরিক্ত জনবল দরকার হয়। এ দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করাই জনশক্তি বিভাগের কাজ। মার্কেটিং বিভাগ: স্পন্সর জোগাড় থেকে শুরু করে জনসংযোগ সামলানো তথা ফার্মের সুনাম রক্ষা করা, পাশাপাশি সারা বছর যাতে কাজের শিডিউল লেগেই থাকে সেটা দেখা মার্কেটিং বিভাগের দায়িত্ব।
সম্ভাবনা : ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য রয়েছে প্রচুর কাজের ক্ষেত্র। কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দেশে দিন দিন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চাহিদা বাড়ছে। প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যক্তিগত ও উৎসবীয় আয়োজন। এ কাজে আয়টাও বেশ ভালো। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এখন সব ধরনের আয়োজনে সাহায্য নিচ্ছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের। এমনকি বড় বড় ফার্ম নিজস্ব ইভেন্ট আয়োজনে নিজস্ব বিভাগই চালু করেছে। বর্তমানে ঢাকার বাইরেও বেশকিছু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম গড়ে উঠেছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানের মোট বিলের ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে হয় এবং অবশিষ্ট টাকা অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর পরিশোধ করতে হয়। নতুনত্ব, সৃজনশীলতা, সচেতনভাবে গ্রাহকের চাহিদা ও বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মগুলো কাজ করে থাকে।
মেয়েদের জন্য সুযোগ : ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট মেয়েদের জন্য খুব সম্ভাবনাময় একটা পেশা। কারণ মেয়েরা এখন আর ট্রাডিশনাল পেশার বাইরে বিভিন্ন ধরনের পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করছেন। এর মধ্যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট একটি। এ পেশায় আসতে হলে কী গুণ থাকা চাই: কমিউনিকেশন স্কিল যাদের ভালো তারা এ পেশায় দ্রুত ভালো করেন। তাই ক্যারিয়ার গ্রাফটাকে দ্রুত বাড়াতে হলে যোগাযোগ এবং থাকতে হবে চমৎকার বাচনভঙ্গি ও ব্যক্তিত্ব। অনেকের কাছে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এক ধরনের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট। অর্থাৎ যিনি এ পেশায় সংকট ডিঙিয়ে যেতে পারবেন, তিনিই সফল হবেন।
শুরুটা করবেন যেভাবে: অফিস না নিয়ে অল্প পুঁজিতেও আপনি শুরু করতে পারেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ। তবে অফিস নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে স্থানভেদে বিনিয়োগ করতে হবে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। অফিস না নিলে আপনাকে লাখ খানেক টাকা বিনিয়োগ করলেই চলবে। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই বড় কাজ না ধরে ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করতে হবে। এতে চাপ থাকবে কম এবং বেশি বিনিয়োগও করতে হবে না।
যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ: এই পেশায় আসতে হলে অবশ্যই আপনার মধ্যে ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস থাকতে হবেÍথাকতে হবে অধিক যোগাযোগ দক্ষতা ও মানুষকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা। এ প্রসঙ্গে অ্যাকটিভ কমিউনিকেশনের ম্যানেজিং পার্টনার খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমার কাছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট মানে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট। অর্থাৎ যিনি এ পেশায় সংকট ডিঙিয়ে যেতে পারবেন, তিনিই সফল হবেন।’ এ সম্পর্কে সাইফুল আজিম বলেন, ‘এ কাজে সাফল্যের আরেকটি বড় মাধ্যম হলো কাজের মান। কোনো গ্রাহকের সঙ্গে কাজের মানের সমস্যা না করলে বাড়তে থাকবে আপনার কাজের পরিমাণ।’ তাই কাজ বাড়াতে হলে যোগাযোগ এবং থাকতে হবে চমৎকার বাচনভঙ্গি ও ব্যক্তিত্ব।
কাজের ক্ষেত্র ও আয়: ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য রয়েছে প্রচুর কাজের ক্ষেত্র। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এখন সব ধরনের আয়োজনে সাহায্য নিচ্ছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের। প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যক্তিগত ও উৎসবীয় আয়োজন। এ কাজে আয়টাও বেশ ভালো। কোনো কাজের ব্যয়ের খরচের শতকরা ৫০ ভাগ পাওয়া যায় অনুষ্ঠানের আগে, আর বাকি অর্ধেক পাওয়া যায় কাজ সম্পন্ন হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে। আয় নির্ভর করে বিনিয়োগ, কাজের সংখ্যা ও পরিমাণের ওপর। তবে খুব অল্প পুঁজিতে শুরু করেও আপনি প্রথম দিকেই প্রতি মাসে আয় করতে পারেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। তো আর দেরি কেন? বসে না থেকে আজই শুরু করুন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। চাইলে অনেকের মতো আপনিও এ কাজটিকে নিতে পারেন খণ্ডকালীন কাজ হিসেবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ