দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ছিলেন সমাজের আলোকবর্তিকা
স্টাফ রিপোর্টার: দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, অধ্যাপক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সমাজের আলোকবর্তিকা ছিলেন। জাগতিক ও আধ্যাত্মিক চেতনার মধ্য দিয়ে মানুষ জীবন যাপন করে। মানুষ স্বাপ্নিক। তার অন্তদৃষ্টিতে কিছু দেখে বলেই সে দার্শনিক। জাতীয় অধ্যাপক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ আমাদের জাতীয় জীবনে এক নক্ষত্র পুরুষ এবং উপমহাদেশের অন্যতম দার্শনিক ছিলেন। তিনি যে সামগ্রিক জীবন দর্শনের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তা হচ্ছে ইসলামী বিশ্বজনীন জীবন দৃষ্টি। এ দৃষ্টিভঙ্গিতে মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল কর্মকান্ডে একাগ্রচিত্তে মনোনিবেশ করেন। তিনি স্বীয় সম্প্রীতি ও উদারতার মাধ্যমে সকল ধর্মাবলম্বী মানুষকে তাঁর আলিঙ্গনে আনেন। ইসলামের প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ তাঁকে সংকীর্ণতার উর্ধ্বে এনে সর্বজন শ্রদ্ধেয় করে তুলেছিল। তাঁর জীবন দর্শন সচেতন মানুষের মানবিক কল্যাণের আলোকবর্তিকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ এর ১১২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এইসব কথা বলেন। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্য নের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক আব্দুল গফুর, ড. কাজী নুরুল ইসলাম, মোকাম্মেল হোসেন চৌধুরী মেনন, মরতুজা আহমদ প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষন ছিলেন কবি গবেষক ও দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ’র কন্যা সাদিয়া চৌধুরী পরাগ।
সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয় অধ্যাপক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ আমাদের জাতীয় জীবনে এক নক্ষত্র পুরুষ এবং উপমহাদেশের অন্যতম দার্শনিক ছিলেন। তিনি যে সামগ্রীক জীবন দর্শনের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তা হচ্ছে ইসলামী বিশ্বজনীন জীবন দৃষ্টি। তিনি স্বীয় স¤প্রীতি ও উদারতার মাধ্যমে সকল ধর্মাবলম্বী মানুষকে তাঁর আলিঙ্গনে আনেন। ইসলামের প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ তাঁকে সংকীর্ণতার উর্ধ্বে এনে সর্বজন শ্রদ্ধেয় করে তুলেছিল। তাঁর জীবন দর্শন সচেতন মানুষের মানবিক কল্যাণের আলোকবর্তিকা। বিশ্বের অনেক দেশেই দার্শনিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন অধ্যাপক আজরফ। তার লেখনী ছাপা হয়েছে বিশ্বের কমপক্ষে দশটি দেশে। কিন্তু আমাদের অনেকের কাছেই এই মহান ব্যক্তিটি এখনো অপরিচিত। মোহাম্মদ আজরফ ছিলেন সার্বজনীন চিন্তার কীর্তিমান পুরুষ। এমন প্রতিভাধর ব্যক্তিরাই জাতির অহমিকা হতে পারেন।