বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় তারেককে ফিরিয়ে আনতে কষ্ট হবে না -অ্যাটর্নি জেনারেল

 

স্টাফ রিপোর্টার: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কষ্ট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে মাহবুবে আলম বলেন, মৃত্যুদণ্ড হলে বিদেশে পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম (রাজনৈতিক আশ্রয়) দেওয়া হয়। তবে তারেক রহমানের তো যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়া সমর্থন করে না। তাই তাকে ফিরিয়ে আনতে কষ্ট হবে না।

রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রায়ে যাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে তাদের আদালত থেকে বিনা খরচে রায়ের কপি দেওয়া হয়। আর তারা যদি আপিল করেন তবে সেটা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসবে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব শুনানির জন্য পদক্ষেপ নেবে। তবে এটাতে পেপারবুক তৈরির বিষয় রয়েছে, সেগুলো আদালতের বিষয়। মামলার আপিল শুনানিতে আমাদের পদক্ষেপগুলো আমরা নেবো।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় তারেক রহমানকে যদি নাটের গুরু বলা হয়ে থাকে, তবে সেটা রায় পর্যালোচনা করে দেখবো। রায় পড়ে যদি দেখি তারও মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল, তবে তার দণ্ড বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করবো। কিন্তু সবটাই নির্ভর করবে রায়টি পড়ার পর।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই মামলায় একজন পাকিস্তানী নাগরিকেরও সাজা হয়েছে। এখানে আমরা অনুমান করছি বাংলাদেশের ক্ষতি করতে, নেতৃত্বশূন্য করতে পাকিস্তান এখনও নিবৃত হয়নি। পাকিস্তান এরইমধ্যে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা সেক্ষেত্রে জেএমবিসহ জঙ্গিদের দমন করতে সফল হয়েছি। সাজাপ্রাপ্ত ওই পাকিস্তানী নাগরিকের বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। দেশটিকে অস্থিতিশীল করতে পাকিস্তানের ইন্ধন থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, জুলফিকার আলী ভুট্টো নিজে খুন করেননি। কিন্তু খুন করিয়েছেন, সেজন্যও তার ফাঁসি হয়েছে। তাই আমারও মনে হয় তারেকের অন্যদের মতো ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। আজকের (বৃহস্পতিবার) বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছে রাষ্ট্রীয় সমর্থন, প্ররোচনা ও অর্থায়নে এসব কাজ করেছে সাজাপ্রাপ্তরা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ