শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আগামী ডিসেম্বরেই খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্সের নির্মাণ শেষ হচ্ছে

খুলনা অফিস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ এ বছরের ডিসেম্বরেই শেষ করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময় শেষে মেয়াদ বৃদ্ধি সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আর্থিক ব্যয়ও। একাডেমীতে নতুন নতুন আইটেম সংযোজন আর নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির কারণে ব্যয় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর শেরে বাংলা রোডের পুরাতন নার্সিং ইন্সটিটিউটের জায়গায় শিল্পকলা একাডেমীর আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। ২০১৬ সালের ১০ জুন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিসিটিএই ইলোরা জেভি খুলনার শিল্পকলা একাডেমীর নির্মাণ কাজ শুরু করে। শেরে বাংলা রোডে ৮১ শতক জমির ওপর দৃষ্টিনন্দন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের জন্য প্রাথমিক ব্যয় বরাদ্দ ছিল ১২ কোটি ৭ লাখ ৪০ হাজার ২১৯ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী ১৮ মাস সময়ে শিল্পকলা একাডেমীর কাজ সম্পন্ন করার কথা। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিসিটিএই ইলোরা জেভি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রকল্প সময় বৃদ্ধির আবেদন জানায়। যা বৃদ্ধি করা হয় ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত। তবে সময় বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি করা হয় আর্থিক ব্যয়ও। যার পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি টাকা। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া নির্মাণ কাজে দেরি হওয়া, একই জিনিস একবার নির্মাণ করে তা ভেঙে আবার নির্মাণ করা, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত গ্রহণে দেরি হওয়ার কারণেও কাজে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
খুলনা জেলা কালচারাল অফিসার সুজিত কুমার সাহা বলেন, প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের পরে শুরু করা হয়। এ কারণে প্রথমে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি। নতুন করে প্রকল্পের সময় ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে এ বছরের ডিসেম্বরেই একাডেমীর নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। এছাড়া নতুন নতুন জিনিস সংযোজন ও নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত আট কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত-১ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী সমীর কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পের ইস্টিমেটের সংযোজন ও বিয়োজনের কারণে অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একই সাথে সময়ও বাড়ানো হয়েছে। তবে এ বছরের ডিসেম্বরেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ