শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পুলিশের মামলায় মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ ১০ জামায়াত নেতাকর্মী আসামী

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) সাংবাদদাতাঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পুলিশ হেফাজত থেকে হ্যান্ডকাপসহ আসামী ছিনতাই ও পুলিশ লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাও: রফিকুল ইসলাম খান , বেলকুচি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শু’রা সদস্য,জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মোঃ আলী আলম, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের ভাইস্ চেয়ারম্যান ও জেলা মজলিশে শু’রা-কর্মপরিষদ সদস্য,উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম সোহেল,উপজেলা আমীর অধ্যাপক নূর-উন-নবী সরকার ও ধুকুরিয়াবেড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ মাহবুবুর রশিদ শামীমসহ বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের ১০ নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়েছে এই মামলায়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক রিপন সাহা বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার মামলায় আসামী করা হয়েছে মোট ৭৪ জনকে। যার মধ্যে দশ জনই বেলকুচি উপজেলা’র স্থায়ী বাসিন্দা। মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরও দেড়’শ জনকে। ঘটনার পর সোমবার রাতে বেলকুচি সার্কেল ও থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিশ্বাসবাড়ী গ্রাম থেকে আলী মুনছুর(২৮)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আলী মুনছুর জামায়াত নেতা আলী আলমের জ্ষ্ঠ্যৈ পুত্র। তাঁর নামে কোন মামলা না থাকলেও পিতা আলী আলমকে না পেয়ে অনৈতিকভাবে পুলিশ আলী মুনছুরকে গ্রেফতার করে। সন্ধ্যায়, বেলকুচি থানা পুলিশ নানা নাটকীয়তার পর তাকে ছেড়ে দেয়। এদিকে মামলার পর থেকে বেলকুচি সার্কেল ও থানা পুলিশ আসামী ধরতে প্রতি রাতে জামায়াত নেতা-কর্মীদের বাড়ি,বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে এবং ব্যাপক তল্লাশীর করলে এলাকায় চরম গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উল্লাপাড়ার ঘটনায় বেলকুচির নেতৃবৃন্দের নামে সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট,ভিত্তিহীণ ও অনৈতিকভাবে মামলা হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন; কেন্দ্রীয় মজলিশে শু’রা সদস্য,সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওঃ শাহীনূর আলম, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম ও জেলা মজলিশে শু’রা-কর্মপরিষদ সদস্য,সিরাজগঞ্জ শহর আমীর অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন;‘ বেলকুচি-উল্লাপাড়া আসনে জামায়াতের নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতেই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাও: রফিকুল ইসলাম খান,জামায়াত নেতা আলী আলম,অধ্যাপক নূর-উন-নবী সরকার ও আরিফুল ইসলাম সোহেলসহ দু’টি উপজেলায় জামায়াতের মূল নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা,ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা অত্যান্ত উদ্বেগ ও দুঃখজনক। নেতৃবৃন্দ,সরকারের এহেনো স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক মনোভাব এবং পুলিশের নিষ্ঠুর পক্ষপাতিত্বমূলক,অনৈতিক আচরণ কোন অবস্থায় কাম্য নয় বলে বিবৃতি উল্লেখ করেন। সেইসাথে অবিলম্বে মিথ্যা ,বানোয়াট ও হয়রানিমূলক,সাজানো মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ