বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

যক্ষ্মা চিকিৎসায় ভালো হয়

যক্ষ্মা এক মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধি। “মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস” নামক একটি ব্যাকটেরিয়া এই যক্ষ্মার জন্য দায়ী। অতীতে যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষ মারা যেত। কারণ এর প্রতিষেধক কোন টিকা কিংবা ওষুধ ছিলনা।
প্রচলিত ছিল, যার হয় যক্ষ্মা তার নাই রক্ষা।
আজ আর সেই দিন নেই। সঠিক রোগ নিরুপন এবং নিয়মিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে যক্ষ্মা সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়। সাধারণত যক্ষা বলতে আমরা ফুসফুসের যক্ষ্মাকেই বুঝে থাকি। ফুসফুস ছাড়াও মস্তিষ্ক, অন্ত্র, কিডনী, লসিকাগ্রন্থি, হার্ট ইত্যাদি অঙ্গ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে যক্ষ্মার জীবাণু দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো: ওজন কমে যাওয়া, ক্ষুধামন্দা, তিন সপ্তাহের অধিক শুকনো কাশি, কফের সাথে রক্ত যাওয়া, জ্বর বিশেষ করে সন্ধ্যায় সাধারণত ফুসফুসের যক্ষ্মায় এই লক্ষণগুলো দেয়া যায়। তবে অঙ্গ ভেদে যক্ষ্মার লক্ষণ বিভিন্ন হতে পারে।
কোন সুস্থ লোকের দেহে যক্ষার জীবানু প্রবেশের তিন থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে সাধারণত রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কফ পরীক্ষা, বুকের এক্স-রে, সিটি স্ক্যান,  ইত্যাদি পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়। বাংলাদেশে ডটস বা ডিরেক্টলি অবজারভড ট্রিটমেন্ট শর্টকোর্স পদ্ধতির মাধ্যমে যক্ষ্মার চিকিৎসা করা হয় যা দুই মাস থেকে চব্বিশ মাস মেয়াদি হতে পারে।যক্ষ্মা বায়ুবাহিত রোগ হওয়ায় তা আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই এই রোগের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা একান্ত জরুরী। পাশাপাশি যক্ষা প্রতিরোধে শিশুকে জন্মের পর অবশ্যই বিসিজি টিকা দেয়া উচিত।
-ডা. তানজিয়া নাহার তিনা

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ