বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

স্থিতিশীলতার মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন নির্বাচনের কারণে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ বলেন, জনগণেরও এ নির্বাচন নিয়ে অনেক আগ্রহ। তাই স্থিতিশীলতার মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক।
গতকাল বুধবার এডিবির ঢাকা অফিসে আয়োজিত বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে প্রকাশিত এডিবির বার্ষিক প্রতিবেদন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৮ প্রকাশ উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
 এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ, ঢাকা অফিসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সন চ্যাং হং, এডিবির টিম লিডার অ্যান্ড এক্সটারনাল রিলেশনস গোবিন্দ বার, প্রিন্সিপাল কান্ট্রি স্পেশালিস্ট জয়তসানা ভার্মা প্রমুখ।
এডিবি জানায়, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মোট বাংলাদেশের দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অর্থবছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এডিবির ঢাকা অফিসের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সন চ্যাং হং এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ বলেন, সরকারি বিনিয়োগের চেয়ে বেসরকারি বিনিয়োগে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে পিছিয়ে আছে। তিনি বলেন, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি পেতে পারে বলে আমরা মনে করছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের কারণে মনে হয় না অর্থনীতিতে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে। এর অনেক কারণ রয়েছে, প্রথমত আপনাদের শক্তিশালী অর্থনৈতিক পলিসি রয়েছে। দ্বিতীয়ত, তা স্থিতিশীল এবং তৃতীয়ত জনগণেরও এই নির্বাচন নিয়ে অনেক আগ্রহ। মনমোহন বলেন, যদি এই স্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়, তাহলে তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর রফতানির অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে, তবে আমদানির গতি কিছুটা ধীর হবে। এছাড়া, শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বাড়বে এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে।
সন চ্যাং হং বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ধারাবাহিক অগ্রগতি হচ্ছে। জিডিপি গ্রোথ ২০১৪ সালে ছিল ৬ দশমিক ১ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৭ দশমিক ২৮, ২০১৭ সালে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত দুই অর্থবছরে ৭ শতাংশ ছাড়ানো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পর চলতি অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশ সরকার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ঠিক করেছে। প্রায় এক দশক ৬ শতাংশের বৃত্তে ‘আটকে’ থাকার পর গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রথমবারের মত ৭ শতাংশের ‘ঘর’ অতিক্রম করে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ