স্বৈরাচারী সরকারের পতনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছি -মোশাররফ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল আওয়ামী লীগকে ছাড়া জাতীয় ঐক্য কীভাবে হয়? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এটা হাস্যকর, কারণ আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের পতনের জন্য।’
গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও দলের যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মরহুম নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের সভাপতি সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, এডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করছি না। জনগণ তাদের ভোটের অধিকার আদায়ের এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে কয়েকটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরাও তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি এবং তা প্রকাশ্যেই হয়েছি।’
এখন যদি আওয়ামী লীগ জাতীয় ঐক্যে আসতে চায় জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে ৫টি দাবি মেনেই আসতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সে দাবিগুলো হলো- ‘সরকারকে তপশিল ঘোষণার আগে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে, মেরুদ-হীন নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তন করতে হবে, সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের সময় মাঠে রাখতে হবে, ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।’
সরকার অলিখিত বাকশাল দীর্ঘায়িত করতে জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘দেশের সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, যুবক, শিশু কিশোর, পেশাজীবী সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় সরকার আতংকিত হয়ে পড়েছে। কেননা জাতীয় ঐক্যের সামনে মোকাবিলা করার শক্তি তাদের নেই এবং তাদের স্বপ্নের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এই সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র পথ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু আমরা চাই তা নয় আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও তা চায়। এর আগে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে তা কোনোটাই সুষ্ঠু হয়নি, বেগম জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। দেশে আগামীতে যদি কোনো নির্বাচন হয় মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়েই হবে অন্যথায় হবে না।’
‘একই সাথে মিডিয়ার টুটি চেপে ধরতে সরকার যে কালা কানুন করছে আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে এই কালাকানুন বাতিলের আহ্বান জানান তিনি।’