শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাজশাহীতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মকর্তা কারাগারে

রাজশাহী অফিস : স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগের এক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল। এই কর্মকর্তার নাম এবিএম সাদিকুর রহমান সোহেল। তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার রিফিউজি হাইকমিশনের সহযোগি ওয়াস অফিসার হিসেবে চাকরি করেন। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় তার বাড়ি।

স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় বুধবার দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এ আত্মসমর্পণ করেন এবিএম সাদিকুর রহমান সোহেল। এ সময় তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। তবে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। বিকেলে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার আইনজীবী সরকার হাসিবুল আলম জানান, গত রোজার ঈদের দিনে আসামি যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেন। এ নিয়ে তার স্ত্রী বাগমারা থানায় মামলা করেন। এই মামলায় আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। পরে উচ্চ আদালত তাকে নির্ধারিত হাজিরার দিনে রাজশাহীর আদালতে আত্মসমর্পন করে স্থায়ী জামিন চাইতে বলেন। সোহেল আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। হাসিবুল আলম বলেন, সোহেলের অতীতের রেকর্ড খারাপ। অতীতে তিনি অনেকবার স্ত্রীকে নির্যাতন করেছেন। তিনি বড় মানবাধিবার সংস্থায় কাজ করলেও নিজের পরিবারের কাছেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে তিনি জড়িত। বিভিন্ন নারীর সঙ্গেও তার সম্পর্ক। এসব অভিযোগ মামলার এজাহারেই আছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের নুর হোসেনের মেয়ে সানজিদা মুনমুন লিপির সঙ্গে পাশের বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জের মজিবুর রহমানের ছেলে সাদিকুর রহমান সোহেলের সঙ্গে। বিয়ের পর ২০১৩ সালে সোহেল জাতিসংঘ মানবাধিকার রিফিউজি হাইকমিশনে সহযোগউ ওয়াস অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এরই মধ্যে সানজিদা একটি ছেলে সন্তানেরও জন্ম দেন। কিন্তু সোহেল যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতে থাকেন। মামলার বাদী সানজিদা মুনমুন লিপি জানান, জাতিসংঘে চাকরি পেয়ে তার স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়। একইসঙ্গে প্লট ও গাড়ি কেনার জন্য তার কাছে যৌতুক দাবি করে নির্যাতন বাড়াতে থাকেন। গত ১৬ জুন ঈদুল ফিতরের দিন সোহেল তাকে ব্যাপক নির্যাতন করেন। এতে সহযোগিতা করেন সাদিকুরের দুই বোন, এক ভাই ও বাবা। এ নিয়ে গত ৯ জুলাই তিনি মামলা করেন। এ মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ