খুলনায় লাইসেন্স ছাড়াই চলছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা
খুলনা অফিস : কোন ধরনের লাইসেন্স ছাড়াই খুলনা মহানগরীতে চলছে অধিকাংশ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা। যাদের লাইসেন্স আছে তার মধ্যে এক তৃতীয়াংশের লাইসেন্স নবায়ন করা নেই। আর যাদের লাইসেন্স নবায়ন করা আছে তাদের মধ্যে আবার ক্লিনিকের লাইসেন্স নিয়ে বেআইনিভাবে হাসপাতাল চালাচ্ছেন অনেকে। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে বেশির ভাগ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মূল্য তালিকা টাঙ্গানো হলেও তাতে পরীক্ষা নিরীক্ষার ফি এর বদলে স্থান পেয়েছে বেড ভাড়া, ডাক্তার ফি, ওটি চার্জ ইত্যাদি। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে চলতি মাসেই অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ তালিকা থেকে জানা যায়, নগরীতে লাইসেন্সকৃত বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১৮০টি। তবে সিনিয়র একাধিক চিকিৎসকের সাথে আলাপ করে এবং নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে ২৫০ এর বেশি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের খোঁজ পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী ১৮০টি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করলেও এর মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন করেনি। আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য আবেদন দেয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। এদিকে দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার মূল্য টাঙ্গিয়ে রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও তা পালন করছে না বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান। আর অনেক প্রতিষ্ঠান মূল্য তালিকা টাঙ্গিয়ে রাখলেও তা পরিপূর্ণ নয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার মূল্যের পরিবর্তে বেড ভাড়া, কনস্যালটেন্ট ফি, ওটি চার্জ ইত্যাদি স্থান পেয়েছে সেখানে।
খুলনা বিপিএমপিএ সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক স্টোরের নবায়ন ফি ৫০ গুণ বৃদ্ধি করেছে। আগে যে প্রতিষ্ঠান ৩০ হাজার টাকায় নবায়ন করতো এখন তাতে আড়াই লাখ টাকা প্রয়োজন হবে। এছাড়া বিভিন্ন অমূলক দাবি চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আর সেবা দিতে পারবে না। তাই এসব বিষয়ে সুরহা না হওয়া পর্যন্ত অনেক প্রতিষ্ঠান নবায়ন করতে পারছে না।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেছেন, অন্যায় ও অবৈধভাবে কেউ হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামীকাল ২২ সেপ্টেম্বর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে সভা আছে, সেখানে অনেক বিষয় তুলে ধরা হবে।