শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নিখাদ দেশপ্রেমের অনন্য নজির তামিম ইকবাল

মোহাম্মদ জাফর ইকবাল :  ইনজুরি ছিল আগেই। সে কারণে এবার এশিয়া কাপে খেলা নিয়ে ছিল সংশয়। কিন্তু পুরোপুরি ডান হাতের আঙ্গুলের আঘাত কাটিয়ে ওঠার আগেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ উদ্বোধনী ম্যাচে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে লঙ্কান পেসার সুরাঙ্গা লাকমালের শেষ বলে বাঁ হাতের তর্জনির গোড়ার দিকে আঘাত পান। এরপর তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে। ব্যান্ডেজ বাঁধা তামিম সম্পর্কে তৎক্ষণাৎ নিশ্চিত হয়েছিল এশিয়া কাপে আর খেলা হবে না এবং ৬ সপ্তাহের বেশি থাকবেন মাঠের বাইরে। এরপরও নেমেছিলেন শেষ উইকেটে এবং এক হাতে ব্যাটিং করে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিলেন। দেশের ইতিহাসে তিনি ‘ভীর’ হয়ে থাকলেন। দেশের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা থাকলে এমন ভাঙ্গা হাত নিয়েও খেলা যায় তার প্রমাণ তামিম ইকবাল। জার্মান হাড় বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শের পর মঙ্গলবার দেশে ফিরে আসেন তামিম। তবে ভাল খবর হচ্ছে আপাতত অস্ত্রোপচার করাতে হবে না তাকে এবং খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন মাত্র ৪ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে এ ২৯ বছর বয়সী বাঁ হাতিকে। এশিয়া কাপে তামিমকে দেখা যাবেনা। তবে তামিমের অনুপ্রেরণাই মুল শক্তি হিসেবে কাজ করবে মাশরাফিদের।
‘যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই রাত হয়’ এই প্রবাদ বাক্যটির সাথে দারুণ মিল তামিমের। ভয়টা আগেই ছিল, কারণ ইনজুরি নিয়ে এবার এশিয়া কাপ খেলতে গিয়েছিলেন তামিম। দলের সঙ্গে যেতে পারেননি ভিসা জটিলতায়, দু’দিন পর গিয়ে প্রথম ম্যাচেই ইনজুরি নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন। বিধাতা হয়ত এ কারণেই তার দুবাই যাত্রায় জটিলতা এনে দিয়েছিলেন। ম্যাচ খেলতে নেমে মারাত্মক আঘাতই পেলেন, যে আঘাতে তাকে হাসপাতালে যেতে হলো। স্ক্যান করানোর পর ব্যান্ডেজ নিয়ে মাঠে ফেরেন। আবারও ব্যাট করতে নামা দূরে থাক, ওই মুহূর্তে জানা গিয়েছিল অন্তত ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। কারণ, তর্জনির গোড়ার দিকে বেশ কয়েকটি হাড়ে চিড় শনাক্ত হয়েছিল। এরপরও দলের প্রয়োজনে শেষ উইকেটে নেমে এক হাতে ব্যাট চালিয়ে তাক লাগিয়ে দেন।
তামিমের পরিস্থিতি যতটা নাজুক মনে হয়েছিল তাতে করে দীর্ঘ সময় তার বাইরে থাকার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি অস্ত্রোপচার করানো লাগতে পারে এমন শঙ্কাও দেখা দিয়েছিল। কিন্তু জার্মান হাড় বিশেষজ্ঞকে দেখানোর পর ম্যানেজার সুজন বলেন, ‘এখানকার চিকিৎসকরা বলেছেন অস্ত্রোপচার লাগবে না। তবে আমরা তামিমের রিপোর্ট অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পাঠাব। সেখানে পর্যালোচনার পরই বিসিবি তামিমের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’ তামিম একহাতে ব্যাটিং করে একটি বল মোকাবেলা করে বিস্ময়ের জন্ম দেন এবং বাংলাদেশ দলকে উজ্জীবিত করে তোলেন। সেদিনের বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই ১০ সেকেন্ডের জন্য আমার নিজেকে খুবই দুঃসাহসী মনে হচ্ছিল। স্টেডিয়ামে দর্শকদের চিৎকার শুনে আমি খুবই অনুপ্রাণিত হয়ে উঠি। আমি সঙ্গে সঙ্গেই আউট হতে পারতাম কিংবা খারাপ কিছু হতে পারত। কিন্তু সেই মুহূর্তে আমার মধ্যে শুধু দল ও জাতির প্রতি নিজেকে নিবেদন করা ছাড়া অন্যকিছু মাথায় আসেনি।’ সেই তামিম দেশে ফিরে আসেন। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি কাল (মঙ্গলবার) চলে যাব। অস্ত্রোপচার লাগবে কিনা ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া থেকে রিপোর্ট আসার পর বোঝা যাবে। আজকালের মধ্যেই রিপোর্ট পাঠানো হবে সেখানে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহীম, তবে আশ্চর্য বীরত্ব দেখিয়েছেন এক আহত সেনানী। সেই অভূতপূর্ব বীর তামিম ইকবাল খান। যে কোন লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এগিয়ে যেতে অভাবনীয় কোন চমক দেখাতে হয়, সেটি করেছেন তামিম। বাংলাদেশ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হাতের কব্জিতে আঘাত পাওয়ার পর সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে ব্যান্ডেজ করে এসেছিলেন। আবারও উইকেটে নামা দূরের কথা, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল অন্তত ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। কিন্তু নবম উইকেট পতনের পর আবারও মাঠে নেমে এক হাতে ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষকে বিমূঢ় করে দেন তিনি। দলকে ভাল অবস্থানে নিয়ে যেতে, নিখাঁদ দেশপ্রেমের অনন্য নজির স্থাপন করে এখন দেশবিদেশে আলোচিত তিনি। কারণ কোনভাবে আরেকটি আঘাত পেলেই ক্যারিয়ার পুরোপুরি শেষ হয়ে যেত। ৪ বলে ২ রান হয়তো পরবর্তীতে স্কোরকার্ড দেখলে তার এই উৎসর্গ উপলব্ধি করা যাবে না। কিন্তু শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচ যারা দেখেছেন তারাই তামিমকে বীর ঘোষণা করেছেন। তবে মারাত্মক ঘটনা ক্রিকেট ইতিহাসে আরও ছিল। তবে এক হাতেই ব্যাটিং করার এমন নজির আর নেই। এটিই এখন এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সূত্রে জানা গেছে অন্তত ২/৩ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে তামিমকে। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে সুরাঙ্গা লাকমলের শর্ট অব লেন্থের বলে পুল করতে গিয়ে বাঁ হাতের তর্জনির গোড়ায় যে আঘাত পেয়েছিলেন তারপর তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। স্ক্যানে তার তর্জনির আশেপাশে বেশ কয়েকটি চিড় ধরা পড়ে এবং একটি হাড়ও সামান্য স্থানচ্যুত হয়েছে। অবশ্য অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা জানিয়েছেন আরও ২/৩ দিন অপেক্ষা করে কয়েকটি স্ক্যান করিয়ে তামিমের চূড়ান্ত অবস্থা জানানো হবে।
এ বিষয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান জানিয়েছেন, অন্তত ২/৩ মাসের জন্য ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হবে তামিমকে। এশিয়া কাপে তো দর্শক হয়েই গেছেন, ঘরের মাটিতে আগামী মাসে জিম্বাবুইয়ে এবং নবেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও খেলা হবে না তার। কিন্তু বাংলাদেশ দলের অবস্থা খুবই নাজুক ছিল লঙ্কানদের বিপক্ষে লাসিথ মালিঙ্গার পেস তোপে। পুরোটা সময় একাই বুক চিতিয়ে লড়েছেন মুশফিক। মাঝে দীর্ঘ সময় তাকে শুধু মোহাম্মদ মিঠুন সঙ্গ দিয়েছেন। ব্যান্ডেজ বাঁধা হাত স্লিংয়ে ঝুলিয়ে সেটা দর্শক হয়ে দেখছিলেন তামিম। তবে অধিনায়ক মাশরাফি জানিয়েছিলেন, যদি মুশফিক স্ট্রাইকে থাকেন সেক্ষেত্রে নন-স্ট্রাইকিংয়ে নামানো হবে তাকে শুধু সঙ্গ দেয়ার জন্য। কিন্তু ৪৭তম ওভারের পঞ্চম বলে মুস্তাফিজুর রহমান নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে যাওয়ার পর এক হাতেই ব্যাটিং করতে নেমে যান তামিম, মোকাবেলা করেন সেই লাকমলের ওভারের শেষ বলটি। তার মোকাবেলা করা একটি বলের কারণে ৩২ রান হয়েছে বাংলাদেশের। হতবিহ্বল শ্রীলঙ্কার পরিকল্পনা ওলট-পালট হয়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে মুশফিক ব্যাট হাতে ঝলসে ওঠেন, ১৫ বলে তুলে নেন ৩২ রান।
এক হাতে একজন পেসারকে মোকাবেলা করে তামিম পুরো দলকেই অনুপ্রাণিত করেছেন। সেই অনুপ্রেরণা এখন পুরো এশিয়া কাপেই দলের সঙ্গে থাকবে। তবে ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা আগেও দেখা গেছে। ১৯৮৪ সালে লিডসে ম্যালকম মার্শাল এক হাতে আঘাত পেয়ে অন্যহাতে ব্যাটিং করেন। তারও আগে এডি পেইন্টার টনসিল নিয়ে ব্রিসবেনের হাসপাতাল থেকে গ্যাবায় গিয়ে ৮৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে লিড এনে দেন। এরপর আবার হাসপাতালে ভর্তি হন। ফিরে এসে আবার জয়সূচক রান করেন তিনি। অসি ব্যাটসম্যান রিক ম্যাককাস্কার বব উইলিসের বলে চোয়াল ভেঙ্গে রক্তাক্ত হয়েছিলেন, ঘাড়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে তিনিই পরে ১০ নম্বরে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মারভিন ডিলনের বাউন্সারে ভারতের অনীল কুম্বলের চোয়াল ভেঙ্গে গিয়েছিল। কিন্তু মাথা থেকে ঘাড় বিস্তৃত ব্যান্ডেজ নিয়েই বোলিং করে ব্রায়ান লারার উইকেট নেন। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ ইনজুরি আক্রান্ত হন অসি পেসার মিচেল জনসনের বলে। সিডনিতে এরপরও তিনি ব্যাটিংয়ে নেমে যান। ১৯৮৬ সালে ওয়াসিম আকরাম যেন অর্ধশতক করতে পারেন সে জন্য ডানহাতি সেলিম মালিক ইনজুরির কারণে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিং করেন। তামিম তাদের চেয়েও ভিন্ন কীর্তি গড়েছেন শুধু এক হাতে ব্যাট ধরে।
সে জন্য তামিম ব্যাট হাতে নামার পর শুধু প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাই নয়, বিস্মিত হয়েছেন ধারাভাষ্যকার, সাবেক ক্রিকেটার এবং বিশ্বব্যাপী ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সকলেই। এ বিষয়ে লঙ্কান অধিনায়ক এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম শেষ হয়ে গেছে ব্যাটিং, কিন্তু তামিম নেমে আমাদের অবাক করেছে।’ ধারাভাষ্যকারেরাও সে সময় তাকে প্রকৃত দেশপ্রেমিক বলে অভিহিত করেন। আর অনেক ক্রিকেট তারকাই তাকে নিয়ে টুইটারে লিখেছেন যে তামিম যা করেছেন তা যে কোন দেশের জন্যই গর্বের। তবে অনেকে এটাকে আত্মঘাতীও বলেছেন।
এর মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘এটি তো ফাইনাল নয়! এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নামা অবশ্যই ক্যারিয়ারের জন্য হুমকি।’ তবে তামিম নিজ সিদ্ধান্তেই নেমেছেন। ৪ বলে ২ রান করেছেন, কিন্তু সেটিই অনেক বড় অনুপ্রেরণা হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। ১৫০ বলে ১৪৪ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলা মুশফিকও এ বিষয়ে পরে বলেন, ‘তামিমকে দেখে খুবই বিস্মিত হয়েছি এবং আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি। তখনই উপলব্ধি করি তারজন্য এবং দেশের জন্য আমার কিছু করতে হবে।’ অধিনায়ক মাশরাফিও বলেন, ‘সবাই এ জন্য তামিমকে আজীবন মনে রাখবে। তাকে টুপি খোলা স্যালুট।’
তবে এমন অর্জনে তামিম কিন্তু একা নয়।
যারা তামিম ইকবালের আগে
এমন অর্জন খুব কম ক্রিকেটারই করতে পেরেছে। ভাঙা কবজি নিয়ে দুবাইয়ে ব্যাট করতে নেমে পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। দেশের প্রয়োজনে ব্যাটও করেছেন এক হাতে। চোট নিয়ে মাঠে নেমে পড়ার এমন আরো নজির আছে ক্রিকেটে। স্মরণ করিয়ে দেওয়া যাক এর সেরা পাঁচটি।
বার্ট সাটক্লিফ
১৯৫৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলছিল নিউজিল্যান্ড। বাউন্সি পিচে মাথায় আঘাত পেয়ে বার্ট সাটক্লিফকে যেতে হয় হাসপাতালে। সমানে রক্ত ঝরছিল কান দিয়ে। ডাক্তার পুরো বিশ্রাম নিতে বলেন তাঁকে। কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতায় মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে সাটক্লিফ নেমে পড়েন ব্যাট হাতে। খেলেন ৮০ রানের অসাধারণ ইনিংস। বব ব্লেয়ারকে নিয়ে এক ওভারে তুলেছিলেন ২৫ রানও। নিউজিল্যান্ড ১৩২ রানে হারলেও সাহসী ইনিংসটির জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন সাটক্লিফ।
ম্যালকম মার্শাল
১৯৮৪ সালে হেডিংলি টেস্টে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ভেঙে গিয়েছিল ম্যালকম মার্শালের। ক্যারিবিয়ান এই পেসারের ইজুরিটা স্বস্তি হয়ে এসেছিল ইংল্যান্ডের জন্য। তৃতীয় দিন নবম উইকেট হিসেবে জোয়েল গার্নার ফেরার সময় গোমেস অপরাজিত ৯৬ রানে। সবাইকে অবাক করে নেমে পড়েন মার্শাল। তামিমের মতো ব্যাট করেন এক হাতে। বাউন্ডারিও মারেন একটি। এরই ফাঁকে সেঞ্চুরি হয়ে যায় গোমেসের। মার্শালের সাহসের এখানেই শেষ নয়। বলও করেছেন সেই ম্যাচে। ৫৩ রানে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট!
অনিল কুম্বলে
২০০২ অ্যান্টিগা টেস্টে মারভিন ডিলনের বাউন্সারে চোয়াল ভাঙে অনিল কুম্বলের। রক্ত ঝরেছিল মাঠেই। ভারতীয় এই তারকা ব্যাট করে গেছেন তার পরও। ব্যথা আছে বুঝতে দেননি কাউকে। রাতে জানা যায় চিড় ধরা পড়েছে চোয়ালে। ডাক্তার পরামর্শ দেন অস্ত্রোপচারের। অনিল কুম্বলের খেলার আশা করেনি কেউ। কিন্তু মাথাজুড়ে ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে নেমে পড়েন মাঠে। বল করেন ১৪ ওভার। এর ৫টি ছিল মেডেন। নিয়েছিলেন ব্রায়ান লারার দামি উইকেটটাও।
গ্যারি কারস্টেন
২০০৩ সালে লাহোর টেস্টে শোয়েব আখতারের বাউন্সারে নাক ভেঙে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেনের। দল হারছে দেখে ক্রিজে নেমে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। প্রোটিয়ারা এর পরও হারে ৮ উইকেটে।
গ্রায়েম স্মিথ
২০০৯ সালে সিডনি টেস্টে মিচেল জনসনের বাউন্সারে বাঁ হাত ভেঙে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের। ম্যাচ ড্র করতে বাকি ছিল ৯ ওভার। নবম উইকেটের পতনের পর ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে ব্যাট করতে নামেন স্মিথ। খেলেন ১৭ বল। ম্যাচ শেষের ১০ বল বাকি থাকতে স্মিথ আউট হলে ১০৩ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ