মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

পুঠিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ জামায়াত ও শিবিরের ৬ জন আটক

রাজশাহী অফিস : পুঠিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ উল্লাহসহ রাজশাহীর পুঠিয়া ও বাগমারায় জামায়াত ও শিবিরের ৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজশাহী জেলা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক খান জানান, পুঠিয়া জামায়াতের আমীর ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ উল্লাহকে সরগাছি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে পুঠিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে জামায়াত কর্মী হুমায়ুন কবির ও আশরাফুল ইসলাম এবং শিবির কর্মী শামীম রেজাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া বাগমারা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামায়াত নেতা আবু সায়েম ও আবদুল করিমকে আটক করে। পুলিশের দাবী, গভীর রাতে বাগমারা উপজেলার ঝিকড়া গ্রামের একটি আম বাগানে জামায়াতের বেশ কিছু নেতাকর্মীরা বৈঠক করার  খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় জামায়াত নেতা আবু সায়েম ও আবদুল করিমকে গ্রেফতার করা হয়। একই অভিযানকালে বাগমারা বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুল খালেক ও আবদুর রউফ হিটলারকেও আটক করা হয়।

গোদাগাড়ী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ
সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে
৫ জেএমবি সদস্য আটক
গোদাগাড়ী (রাজশাহী) সংবাদদাতা : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী চর বোয়ালমারী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মার চর থেকে জেএমবির ৫ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। এদের কাছ থেকে পিস্তল ও গান পাউডার উদ্ধারের কথা জানানো হয়।
শুক্রবার দুপুরে র‌্যাব ৫-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে র‌্যাব-৫ এর একটি বিশেষ দল রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর বোয়ালমারী গ্রাম থেকে আমিনুল ও মোশারফকে আটক করে পরে তাদের দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর কোদালকাটি গ্রাম থেকে আরো তিনজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার আলীপুর বারইপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩২), চর বোয়ালমারী আদর্শ গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মোশাররফ হোসন মুরসালিন (২২), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম কোদালকাটি মধ্যচরের রুস্তুম আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩০) ও আইনুদ্দিন মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ম্যাগজিন ও চার রাউন্ড গুলীসহ একটি বিদেশী পিস্তল, ২০০ গ্রাম গানপাউডার, সাতটি হ্যান্ডনোট, চারটি বই, মোবাইল ফোন, মেমোরিকার্ড, তিনটি সিমকার্ড এবং একটি করে পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। আটককৃতপাঁচজনের মধ্যে আমিনুল ইসলাম জেএমবির গোদাগাড়ীর সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এর আগে, গত ১৩ ও ১৪ মে রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জেএমবির চার সদস্যকে আটক করা হয়।

সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর
হত্যাকারীদের শাস্তি
দাবি আরইউজে’র
রাজশাহী অফিস : পাবনায় বেসরকারি টেলিভিশন আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি ও  দৈনিক জাগ্রত বাংলার সাংবাদিক সুবর্ণা নদীকে বাসার সামনে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) নেতৃবৃন্দ। একইসঙ্গে তারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গত বৃহস্পতিবার দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সরদার আবদুর রহমান, সহসভাপতি আব্দুস সবুর, সাধারণ সম্পাদক মুহা: আব্দুল আউয়াল, যুগ্ম সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম স্বপন, কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দীন, নির্বাহী সদস্য তৌফিক ইমাম পান্না ও মাইনুল ইসলাম এই দাবি জানান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে নিজ বাসার সামনে নারী সাংবাদিক নদীকে যেভাবে কুপিয়ে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে বর্তমান সরকারের দশ বছরের কম সময়ে মোট ৩৩ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। আর চলতি ২০১৮ সালের ৮ মাসে তিনজন সাংবাদিক খুন হলেন। সাংবাদিকসহ কোন নাগরিকেরই জীবনের নিরাপত্তা যে নেই তা আবারো প্রমাণিত হয়েছে। ঢাকায় পুলিশের সামনে হেলমেট বাহিনী অন্তত ৪০ জন কর্তব্যরত সাংবাদিককে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত করার পর প্রায় মাসখানেক হতে চললো। কিন্তু কোন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়নি। বিবৃতিতে আরইউজে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সকল সাংবাদিক হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ