খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে ন্যায্য দাবী মেনে নিন -শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
বকেয়া মজুরির দাবিতে গত সাতদিন ধরে খুলনার ৮টি পাটকল শ্রমিকদের রাত-দিন রাস্তায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ন্যায্য দাবী মেনে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি,সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা বিভাগীয় সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম এবং খুলনা মহানগরী সভাপতি খান গোলাম রসুল।
গতকাল শনিবার দেয়া যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই আহবান জানিয়ে বলেন, শ্রমিকদের মজুরি নেই, ঘরে চাল, ডাল, তেল নেই। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার নিশ্চয়তা নেই। রাত-দিন কাটছে আন্দোলনে। পরিবারে চলছে হাহাকার! বকেয়া মজুরি আদায়ে টানা ৭ দিন আন্দোলনরত খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ব ৮ পাটকলের শ্রমিকদের পরিবারে চলছে এমন অবস্থা। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, খুলনায় শ্রমিকদের ৭ দফা দাবিতে পাট কল শ্রমিকদের যে আন্দোলন চলছে,তার সমাধান করা সরকারের দায়িত্ব। শ্রমিকদের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার নিশ্চয়তা নেই। পরিবারে চলছে হাহাকার! বকেয়া মজুরি আদায়ে আন্দোলনরত খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ব ৮ পাটকলের শ্রমিকদের পরিবারে কষ্টের শেষ নেই। নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকরা মজুরি না পেয়ে অভুক্ত অবস্থায় উৎপাদন অব্যাহত রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। নিরুপায় হয়েই তারা উৎপাদন বন্ধ করে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এ অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক আজ বকেয়া বেতন না দেওয়ায় শ্রমিক -কর্মচারী মানবতার জীবন যাপন করছে। যা সম্ভাবনাময় একটি শিল্পের জন্য হুমকি সরুপ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকরা তাদের বেতনের জন্য আন্দোলন করার করণে, জুট মিলের উৎপাদন বন্ধের আশংকা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না।
নেতৃবৃন্দ পাট শিল্পের ক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্যজনক অবস্থার জন্য দেশবাসী সরকারকেই দায়ী করছে। সরকার কিছুতেই এ নৈরাজ্যজনক অবস্থা সৃষ্টির দায়-দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। পাট শিল্পে বিরাজমান সংকট সমাধানে সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। নেতৃবৃন্দ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,
সম্ভাবনাময় পাট শিল্পের কথা বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করুন। অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার জন্য নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও মন্ত্রণালায়সহ সরকারের প্রতি নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।