অধরাই আছে রাঘব বোয়াল উলিপুরে ভিজিএফের ১শ বস্তা চাল আটক
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের উলিপুরে চৌমুহনী বাজারে ভিজিএফের চাল গুদাম থেকে বের করার সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এর তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টার ফলে হত দরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত ১শ বস্তা চাল জব্দ করা হলেও আসামী গ্রেফতার হয়নি। এদিকে ট্রাক্টর মালিক ফরিজ উদ্দিনসহ চালক মিলু ও জসিমকে গ্রেফতার করলে ঘটনার আসল রহস্য বের হবে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।
গত রোববার সন্ধ্যায় উলিপুর খাদ্য গুদাম হতে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বরাদ্ধকৃত চালের বিপরীতে ফরিজ উদ্দিনের ট্রাক্টরে ২শ বস্তা চাল ছাড় দেন উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মনোয়ারুল ইসলাম। ওই চাল নিয়ে বুড়াবুড়ি যাওয়ার পথে উপজেলার চৌমুহনী বাজারে আব্দুল মালেকের গুদামে ১শ বস্তা চাল নামিয়ে দিলেও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ২শ বস্তা চাল তাদের গুদামে দিয়ে আসে। এমতাবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সংবাদ পেয়ে আব্দুল মালেকের গুদামে রাখা ভিজিএফের চাল গুলো আটক করেন। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, মিল মালিক সাজেদুল ইসলাম সাজু তার পঁচা ও খুদযুক্ত চালের বস্তা বদল করে নিতে ফরিজ উদ্দিনের সাথে লেন দেন করেন। ফলে বুড়াবুড়ির নির্দিষ্ট বস্তা পৌছলেও ১শ বস্তা ভিজিএফের চাল শশুরের গুদামে রাখতে বললে চালগুলো সেখানে নামিয়ে দেয় ট্রাক্টর চালক জসিম উদ্দিন। পরে চাল গুলো সরিয়ে ফেলার আগেই স্থানীয় জনতা প্রশাসনকে জানালে তা আটক হয়। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বাদী হয়ে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম একটি মামলা করেন। যার নং ১৫/১৮। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তাধীন এই চাঞ্চল্যকর মামলাটির যথাযথ তদন্তের মাধ্যমের রাঘব বোয়ালদের গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছেন এলাকার সচেতন মহল। এ ব্যাপারে মিল মালিক সাজুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার চাল সুটারের (প্রক্রিয়াজাত) জন্য কুড়িগ্রাম না নিয়ে ট্রাক্টর মালিক ও চালক চক্রান্ত করে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে পৌছে দিয়ে তাদের মজুদ ঠিক রাখে। ফলে আমার চাল আদায়ের জন্য আমি উলিপুর মিল মালিক সমিতির নিকট একটি আবেদন করেছি।