শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ফসলের কীটনাশকে ক্যান্সারের জীবাণু

সংগ্রাম ডেস্ক : বহুজাতিক এগ্রো কেমিকেল কোম্পানি মনসান্টোর কীটনাশক ব্যবহারের কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে ২৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্নেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। শীর্ষ নিউজ।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বালাইনাশক ও আগাছানাশকে ব্যবহৃত গ্লাইফসেটের কারণে ক্যান্সার ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হলেও এই প্রথম কোনো জরিমানা বা ক্ষতিপূরণের রায় এল।  
ক্যালিফোর্নিয়ার আদালত বলেছে, মনসান্টোর বালাইনাশক রাউন্ডআপ ও রেঞ্জারপ্রোতে থাকা গ্লাইফসেট যে ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে তা জানার পরও তারা এ বিষয়ে ক্রেতাদের সতর্ক না করায় ওই ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
বিবিসি লিখেছে, এ মামলার বাদী ডোযাইন জনসনের মত আরও অন্তত পাঁচ হাজার মানুষের করা একই ধরনের মামলা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন। ক্যালিফোর্নিয়ার রায় মনসান্টোর বিরুদ্ধে যাওয়ায় অন্য মামলাগুলোতেও একই ধরনের ফল দেখা যেতে পারে।  
 ডোযাইন জনসন ক্যালিফোর্নিয়ার একটি স্কুলে গ্রাউন্ডস্কিপার হিসেবে কাজ করতেন। ওই স্কুলের মাঠ পরিচর্যা করাই ছিল তার কাজ। আগাছা দমন করতে তিনি ব্যবহার করতেন মনসান্টোর রেঞ্জারপ্রো। ২০১৪ সালে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে।
গ্লাইফসেট বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আগাছানাশক, যদিও এটা জনস্বাস্থ্যের জন কতটা নিরাপদা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সার এজেন্সির এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্লাইফসেট মানবদেহে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণ দপ্তর (ইপিএ) বলে আসছে, ‘সাবধানে’ ব্যবহার করলে এর থেকে ক্ষতি হওয়ার কারণ নেই।
ইউরোপেও গ্লাইফসেটের ব্যবহার নিয়ে তুমুল আইনী লড়াই চলছে। বেশকিছু আইনপ্রণেতার বাধা সত্তে¦ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এটি নিষিদ্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যদিও ইউরোপীয় কমিশন সম্প্রতি এ বালাইনাশকটিকে আরও পাঁচ বছরের জন্য লাইসেন্স দিয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় ৮ সপ্তাহের আইনী লড়াই শেষে জুরিদের রায় জনসনের পক্ষে আসে বলে জানায় বিবিসি। রায়ে মনসান্টোর পণ্যের বিরুদ্ধে  যে প্রমাণ পাওয়া গেছে তাকে ‘অপ্রতিরোধ্য’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন জনসনের আইনজীবীও।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ