শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ধ্বংসাত্মক করার বিষয়ে অনেক তথাকথিত দায়িত্বশীল নেতার অডিও পুলিশের হাতে -ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে যারা নাশকতা করেছে, যারা গুজব ছড়িয়ে দেশকে অশান্ত করা চেষ্টা করেছে তাদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, অনেককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘আপনারা অনেক তথাকথিত দায়িত্বশীল নেতার অডিও-ভিডিও রেকর্ড শুনেছেন। এমন আরও কয়েকজন তথাকথিত দায়িত্বশীল নেতার অডিও রেকর্ড পুলিশের হাতে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে নিজেদের লোকজন অনুপ্রবেশ করিয়ে ধংসাত্মক পরিবেশ তৈরি করার অপচেষ্টা সেসব তথাকথিত দায়িত্বশীল নেতার অডিওতে  উঠে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা এসব ধরনের ইস্যুকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
‘শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যৌক্তিক বলে সরকারের তরফ থেকে বারবার স্বীকার করা করা হয়েছে। সরকার সমর্থন দিয়েছে। আর যৌক্তিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা ট্রাফিক সপ্তাহ ঘোষণা করেছি। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। কিন্তু এই আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নানা ধরনের  প্রোপাগান্ডা ও অপপ্রচার করা হয়েছে। মরক্কোর এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে আন্দোলনে নারীদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। কলকাতার ছবি দিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে। এছাড়াও ২০১৩-১৪ সালের বিভিন্ন সময়ের ছবি প্রকাশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রচার করা হয়েছে। এসব অপপ্রচারকারীদের সন্ধান করার কাজ চলছে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি বলতে চাই, কোটা আন্দোলনে বিশৃঙ্খল ও অপপ্রচার, ভ্যাট আন্দোলন, ২০১৩-১৪ সালের নৈরাজ্য,  ২০১৫ সালের টানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, বোমাবাজি, অগ্নি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সব কিছুই এক সূত্রে গাঁথা।’ তিনি বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। তাই আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করছি।’
তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় বিষয়ে মালিক, চালক ও হেলপারদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৩০৪ এর বি ধারায় মামলা হয়েছে। জামিন না দিয়ে আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। প্রশ্ন হলো এটি কি দুর্ঘটনা না কি হত্যাকা-? উত্তর হচ্ছে, সেটি এখনও তদন্তাধীন বিষয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ