শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

নতুন রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ বিলিয়ন ডলার

স্টাফ রিপোর্টার: নতুন রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪৪০০ কোটি ডলার) বিশ্বপরিস্থিতি পর্যালোচনা ও উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বুঝে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা গত অর্থবছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।
গতকাল বুধবার চলতি অর্থবছরে (২০১৮-১৯ ) পণ্য ও সেবা খাত থেকে এ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি রফতানি আয়ের এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা দেন। এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু ছাড়াও কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পণ্য রফতানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের (২০০১৭-১৮) চেয়ে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। আর সেবা খাতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে পাঁচ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থ বছরের চেয়ে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মর্কিন ডলার রফতানি আয় হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার এসেছে পণ্য রফতানি থেকে। সেবা খাত থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৪ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছিল ৪১ বিলিয়ন ডলার।
গত অর্থবছরের রফতানি পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। একমাত্র চামড়া ছাড়া সব খাতে রফতানি ভালো হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এবার দেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক খাত থেকে ৩২ হাজার ৬৮৯ কোটি ডলার আসবে বলে ধরা হয়েছে, যা মোট রফতানি লক্ষ্যমাত্রার ৮৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। আশা করি তৈরি পোশাকে এবার আরও ভাল করতে পারবো। আশা করছি রফতানি আরও বাড়বে।
তিনি জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওভেন পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৫৩৯ কোটি ডলার, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চেয়ে ৭ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। আর নিটওয়্যার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ১৫০ কোটি ডলার; এতে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, গত অর্থবছর তৈরি পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৩০ হাজার ৬১৪ কোটি ডলার, যা মোট রফতানি আয়ের ৮৮ দশমকি ৪৯ শতাংশ। এর মধ্যে নিট পণ্য রফতানি থেকে আয় হয়েছে ১৫ হাজার ৪২৬ কোটি ডলার। আর ওভেন পণ্যে রফতানি থেকে আয় হয়েছে ১৫ হাজার ১৮৮ কোটি ডলার।
এবার ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ৮৫ কোটি ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ১২৪ কোটি ডলার (প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ)। কৃষিজাত পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭১১ কোটি ডলার (প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ)।
অন্যদিকে ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ওষুধে ১১২ কোটি ডলার এবং ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে হোম টেক্সটাইলে ৯৪০ কোটি ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫২ কোটি ডলার। যা গতবারের চেয়ে ১ দশমিক ১১ শতাংশ কম।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ