বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আজ থেকে ঢাকায় কোন গাড়ি কন্টাক্ট সিস্টেমে চলবে না

স্টাফ রিপোর্টার: আজ বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকায় কোন গাড়ি কন্টাক্ট সিস্টেমে চলবে না। যদি কেউ সমিতির নিয়ম ভঙ্গ করে গাড়ি চালায় তার নিবন্ধন বাতিল করা হবে এবং মন্ত্রিসভায় চূড়ান্তভাবে পাস হওয়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ আইনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি। বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে সময়োপযোগী একটি আইন হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর দিলকুশা বিআরটিসি ভবনে ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এই আইনে অনেকগুলো ভালো দিক রয়েছে। চালকদের আগে পয়েন্ট সিস্টেম ছিল না। এখন পয়েন্ট থাকছে আবার সেই পয়েন্ট কাটা যাবে। আগে মামলা হলে জরিমানা দিয়ে মুক্তি পাওয়া যেত। এখন তা নাই। ফলে ড্রাইভার ভয়ে থাকবে। পয়েন্ট কাটা যেতে যেতে একটা সময় লাইসেন্স বাতিল হবে। যার কারণে সড়কে শৃঙ্খলা আসবে। অন্যদিকে রেজিস্ট্রেশনের সময় ইন্সুরেন্সের টাকা একটা ট্রাস্টি বোর্ডে জমা রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমরা। কোন যাত্রী দুর্ঘটনার শিকার হলে সেই টাকা খরচ করা হবে। নতুন আইনে সেটি করা হয়েছে।
খন্দকার এনায়েত হোসেন বলেন, অনেকগুলো ভালো দিক থাকলেও কিছু জায়গায় অসংগতি রয়েছে। যেমন জরিমানার পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক বেশি করা হয়েছে। যাহোক যেখানে যেখানে অসংগতি রয়েছে সেখানে আমরা সংশোধনী প্রস্তাব পাঠাবো। সেটি যদি পাস নাও হয়, সেক্ষেত্রেও আমরা নতুন আইনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে ঢাকায় কোন গাড়ি কন্টাক্ট সিস্টেমে চলবে না। কেউ কন্টাক্ট সিস্টেমে চালালে তার নিবন্ধন বাতিল করা হবে। কন্টাক্ট সিস্টেমে চালানোর কারণে প্রতিযোগিতা বাড়ে যার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। এখন থেকে ঢাকার রাস্তায় বেতন সিস্টেমে সব গাড়ি চলবে। সেক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। যাতে আগের মতো সড়কের পাশে মালিকের পক্ষ থেকে টিকিট বিক্রি করতে পারে। তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে রাস্তায় ফিটনেস ছাড়া কোনো গাড়ি নামতে পারবে না। কারও ফিটনেস সমস্যা থাকলে ঠিক করে রাস্তায় নামবেন। এছাড়া প্রতিমাসে কোম্পানি মালিকগণ চালকদের নিয়ে বসবে। মতবিনিময় করবে। তাদের সচেতন করবে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার দরকার হলে প্রশিক্ষণ দেবেন। কোন কোন কোম্পানি এটা করছেন তা মাস শেষে প্রতিবেদন দেবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। মহাসচিব বলেন, আগামীকাল থেকে ঢাকার টার্মিনালগুলোতে ছাড়ার আগে প্রত্যেক গাড়িতে ফিটনেস সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা তা চেক করা হবে। কোনো কাগজপত্র পাওয়া না গেলে ওই গাড়িটি ডাম্পিংয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। নিবন্ধন বাতিল করা হবে। খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, যেসব কোম্পানি ঢাকার রাস্তায় রংচটা ও লক্কর-ঝক্কর ধরনের গাড়ি চালান, তাদের আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মেরামতের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করে রাস্তায় নামাবেন। মহাসচিব বলেন, টোটাল কাজগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা তা মনিটরিংয়ের জন্য একটি সেল গঠন করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামীকাল (আজ) থেকে আমরা কাজ শুরু করবো। একদিনেই সব ঠিক হয়ে আসবে। তা নয়। এজন্য হয়তো কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে, আগামীকাল (আজ) থেকে তদারকির কাজ শুরু হবে। প্রত্যেক টার্মিনালে মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়েছে। তারাই তদারকি করবে। আমাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সড়কগুলোতে যাতে দুর্ঘটনা কমে আসে আর শৃঙ্খলা ফিরে আসে। সম্প্রতি সড়ক পরিবহণ আইন মন্ত্রী সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহণ মালিক সমিতির নেতারা বৈঠক করেন। গতকাল বুধবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন পরিবহণ নেতারা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ