শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সৈয়দপুরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা:  আমরা বাচ্চা তবে রাজাকারের বাচ্চা নই। বেপরোয়া চালককে ফাঁসি দিতে হবে। নৌ পরিবহন মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নিতে পারবেন না। নীলফামারীর সৈয়দপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালনকালে উপরোক্ত মন্তব্য করে।

দাবি আমাদের একটাই, “নিরাপদ সড়ক চাই” এ প্রতিপাদ্যে ২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক। সকালে বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বর, পাঁচমাথা মোড় ঘুরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধন করে। পরে তারা সৈয়দপুর বাস টার্মিনালেও অবস্থান করে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে। এসময় মেয়াদ উত্তীর্ণ চালকদের গাড়ীসহ প্রশাসনের হাতে তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। এতে অংশ গ্রহণ করে সৈয়দপুর আর্মি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, গোলাহাট স্কুল এন্ড কলেজ, কামারপুকুর ডিগ্রী কলেজ, সৈয়দপুর ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র মুনতাকিম, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের শিশির, শাকিল, সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের রবিউল ইসলাম, আর্মি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাবেদ আক্তারী, সাব্বির আফ্রিদি, রেজাউল করিম প্রমুখ। 

মিছিলে ও মানব বন্ধনে শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে বলে, ছিনতাই করতে গিয়ে কোলের বাচ্চা পড়ে মারা যায়, স্বাধীনতা কি আছে, স্বাধীনতা কই? আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে অব্যাহত থাকবে।

 নিরাপদ সড়ক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সরকার আমাদের বাধ্য করেছে রাজপথে আন্দোলন করতে। আমরা ভয় পাইনা। প্রতিষ্ঠান বাধা দিলে আমরা মানবোনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে আমাদের আন্দোলন থামাতে পারেনি।

লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী শহরে ঢুকতে দেবোনা। ট্রাফিক পুলিশ বাঁধা দেয়না। আর কত মায়ের কোল খালি হবে? জীবনের মূল্য কি ৫ লাখ টাকা? 

৫ লাখ টাকার বিনিময়ে কি জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবে? এদেশ স্বাধীন করেছে ছাত্ররা, আন্দোলন করে দাবি আদায় করবে ছাত্ররা। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে গিয়ে সরকার পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পিটানো হয়েছে। কথায় কথায় ছাত্রদের যে কোন আন্দোলনকে সরকার ও সরকারের লোকজন রাজাকারের বাচ্চা বলে গালমন্দ করে। যা কোনভাবেই কাম্য বা গ্রহণযোগ্য নয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ