নিজ সন্তানের প্রতি যত্নবান হওয়া, সন্তানকে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে দুরে রাখার তাগিদ দিলেন সিটি মেয়র
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন অভিভাবকগণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বর্তমানে ছেলে মেয়ের অপরাধের জন্য অভিভাবকদের সমাজের কাছে হেয় প্রতিপণ্য হতে হয়। এ জন্য নিজ নিজ সন্তানের প্রতি আন্তরিক,যত্নবান হওয়া এবং সন্তানকে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে দুরে রাখার দায়িত্ব নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের উদ্যোগে আয়োজিত বর্ষপূতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক বিরোধী সমাবেশে এলাকাবাসীর সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১২,২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভা পরিচালনা করেন ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক । মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র প্রায় ৩ঘন্টা সময় ধরে এলাকাবাসীর বিভিন্ন অভিযোগ ও সমস্যার কথা শুনেন। অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র,চসিক প্রকৌশলী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত অতিরিক্ত কমিশনার (এসি) উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে এলাকাবাসীকে আশ্বাস প্রদান ও করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করেন। এলাকাবাসীর পক্ষে সভায় নজরুল ইসলাম,রফিক আহমদ,ইব্রাহিম হোসেন বাবুল,মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান,প্রফেসর আবদুল বারেক, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ, আবদুল হাই কুতুবী ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ইসরাত জাহান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আইন শৃংখলা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর এইচ.এম সোহেল,কাউন্সিলর এস.এম এরশাদুল্লাহ,সাবেক কমিশনার জাবেদ নজরুল ইসলাম এবং আইন শৃংখলা স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার এবং ডবলমুরিং থানার এসি আশিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবীদের অনৈতিক কর্মকান্ড, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি এবং এলাকার জলাবদ্ধতা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানিসরবরাহ, কবরস্থান স¦ল্পতা সমস্যাসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
সিটি মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এলাকায় কোন মাদক ব্যবসায়ীর তথ্য পেলে আপনারা সরাসরি আমাকে কিংবা সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করবেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাদকের সাথে সন্ত্রাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মাদকাসক্ত ব্যক্তি মাদকের টাকা জোগাড়ের জন্য সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করবে এটাই বাস্তবতা। কোন মাদকাসক্ত ব্যক্তি সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নিরাময়ের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তাছাড়া মাদক প্রতিরোধ বা সচেতনতা সৃষ্টির ব্যাপারে পরিবার,অভিভাবকদেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সিটি মেয়র এলাকাবাসীদের আশ্বস্ত করে বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের এই তিন বছর সময়ে আমরা পুরো নগরীতে শতভাগ কার্পেটিং সড়ক করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতি ওয়ার্ড এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।