বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা কাল

স্টাফ রিপোর্টার: কাল মঙ্গলবার চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। ওই দিন সকাল ১১টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে গর্বনর ফজলে কবির এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন গর্বনর। বৈঠকে দেশের সার্বিক অর্থনীতি নিয়ে ওঠে আসা বিভিন্ন পরামর্শ পর্যালোচনা করে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য নতুন এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।
গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যা প্রথমার্ধে ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ শতাংশ। আগে ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়। যা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি।
চলতি বছরে জাতীয় নির্বাচনের কারণে কালো টাকার প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজারে নগদ অথের্র প্রবাহে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল গত অর্থবছরের (জানুয়ারি-জুন) দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে।
এছাড়া ঋণ প্রবৃদ্ধি মাত্রারিক্ত বাড়ার কারণে ঋণের লাগাম টেনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণ আমানত অনুপাত হার (এডিআর) কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। তবে ব্যাংকগুলোর আপত্তির মুখে নতুন এ হার কার্যকরের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি বছর দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করা হয়। ৬ মাস পর এ মুদ্রানীতি প্রকাশ হয় একটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাইয়ে এবং জানুয়ারিতে।
দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে পরবর্তী ৬ মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ