বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

চাঁদা না দেয়ার অপরাধে মাদরাসা সুপারকে মারধর

স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদা না  দেয়ার অপরাধে এক মাদরাসা সুপারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত মাদরাসা সুপার বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেছেন সুপারের শ্বশুর আবদুস সাত্তার আজাদ। মন্ত্রণালয়ে বিচার চাওয়ায় হামলাকারীরা এখন সুপারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
অভিযোগে প্রকাশ, গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলাধীন আক্কেলপুর নুরীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার পদটি খালি হয়। নিয়ম অনুযায়ী সহ সুপার মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নানই দায়িত্ব পাওয়ার কথা। কিন্তু মাদরাসার সভাপতি রুহল আমিন হাওলাদার বড় অংকের টাকার  লেনদেনের ভিত্তিতে জুনিয়ার মৌলী মুনিরুজ্জমানকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। অনিয়মের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানালে তিনি সহ সুপার মান্নাকেই ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বলেন।
সংসদ সদস্যকে জানানোর কারণে মাদরাসা সভাপতি ক্ষিপ্ত হয়ে মাওলানা মান্নানের উপর হামলা চালায়। পরে মাওলানা মান্নান থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে মাদরাসা সভাপতি রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি কয়েকজন সন্ত্রাসীকে দিয়ে মাওলানা মান্নানের কাছে আড়াই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তা না হলে প্রাণে মেওে ফেলার হুমকি দেন। মাদরাসা সভাপতির ভয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দেন। পরে বাকি টাকা না দেয়ার কারণে গত ২১ জুলাই সভাপতির নির্দেশে জুলহাস মল্লিক, ইলিয়াস মল্লিক, আবু সালেহ খান, ফারুক মল্লিকসহ কয়েকজন মাদরাসা সুপার মান্নানের উপর হামলা চালায়। তারা এলাপাতাড়ি লাঠিসোটা দিয়ে মাওলানা মান্নানকে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, বর্তমানে মাওলানা মান্নান ও তার পরিবার চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মাদরাসা সভাপতি হাওলাদারের লোকজন প্রতিনিয়ত তাদেও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ