শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ

নাজিরপুর (পিরোজপুর) সংবাদদাতা: পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পে এলাকায় দালাল চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে উপজেলায় ৯ টি ইউনিয়ন এর প্রত্যেক ইউনিয়নে শতভাগ বিদ্যুৎ প্রকল্প হতে সকল ইউনিয়নে কম-বেশি বিদ্যুৎ লাইন দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে উপজেলার প্রত্যন্ত বিল ৩নং দেউলবাড়ি দোবড়া ইউনিয়নের বিদ্যুৎ বঞ্চিত এলাকা পদ্মডুবি, মনোহরপুর, উত্তর গাওখালী, সোনাপুর, ত্রিগ্রাম এলাকাসহ আরো অনেক গ্রাম ঐ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে যা ঐ এলাকার মানুষ আরো পঞ্চাশ বছরেও মাটির রাস্তা দিয়া চলাচল করতে পারবে না। তাদের একমাত্র চলাচলের উপায় নৌকা ও ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। ঐ এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেরাই নৌকা চালিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়া শিক্ষা অর্জন করছে। মনোহরপুর পদ্মডুবি গ্রামে প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যে শতভাগ বিদ্যুৎ বিতরণের সুযোগে ঐ এলাকার মন্টু আকন, মাষ্টার ফনিভূষণ, চান্দু মিয়া, শাহীন নামক দালালেরা ২৫০ টি ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে বিদ্ধুতের খাম্বা দিয়ে লাইনটেনেছে। চাঁদার টাকা বকেয়া থাকায় ঘরে সার্ভিস লাইন দেওয়া হচ্ছেনা বলে স্থানীয়রা জানায়। একাধিক সূত্রমতে জানা যায় ঐ দালালেরা ঘর প্রতি পাঁচ হাজার করে টাকা নিয়েছে। পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে দেড় লক্ষ টাকা জমা দিয়ে খাম্বা ও লাইন স্থাপন করেছে কিন্তু  এলাকা থেকে বারো লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরেও বকেয়া টাকার অপেক্ষায় লাইন সংযোগ দিচ্ছে না। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাষ্টার ওয়ালিউল্লাহ ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সেলিম এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ প্রতিনিধিকে জানান, নাজিরপুর পল্লীবিদ্ধুৎ অফিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করে টাকা না দিতে বলার পরেও স্থানীয় দালালচক্র টাকা নিয়েছে কিনা জানিনা তবে লোক মুখে শুনেছি টাকা নেয়ার কথ। মনহারপুর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল আকন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুত আফিসে টাকা নাদিলে লাইন পাওয়া যায়না। নাজিরপুর উপজেলা অফিসের সংগে এ বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, উপজেলা অফিসে লাইন দেওয়া না দেওয়ার কোন বিষয় নাই। ওটা জেলা অফিসের কাজ। অপর দিকে ৯ নং কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের মাদ্রাসা শিক্ষক মাষ্টার শরিফুল ইসলাম বিদ্যুতর লাইন দেওয়ার নামে এলাকা থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। ৪নং দীর্ঘা ইউনিয়নের আলাউদ্দিন ঘোষকাঠী এলাকা থেকে বিদ্যুতের লাইন টেনে দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়াগেছে। ঐ সকল এলাকার বিদ্যুৎ বঞ্চিত লোকেরা বলেন, এ দালালরা বিদ্যুৎ লাইনের দালালী করে টাকা নিয়ে টাকার পাহাড় গড়েছে কিন্তু অনেকে টাকা দিয়ে এখোনো লাইনের সন্ধান পায়নি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ