‘আল্লাহু আকবার’ শব্দ নিয়ে অক্সফোর্ডের শিক্ষকের বিতর্কিত টুইট
১৮ জুলাই, নিউজ উইক : প্রখ্যাত ইংরেজ নাস্তিক লেখক এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির দীর্ঘকালীন অধ্যাপক রিচার্ড ডকিন্সের বিরুদ্ধে ‘ধর্মান্ধতার’ অভিযোগ ওঠেছে। ‘আল্লাহু আকবার’ শব্দটি নিয়ে তার বিতর্কিত একটি টুইট সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা জন্ম দিয়েছে।
ডকিন্স তার দীর্ঘ কর্মজীবনে সব ধর্মকে উপহাস করে অনেক বই লিখেছেন। এই জীববিজ্ঞানীকে এখন সামাজিক মিডিয়ায় ‘বর্ণবাদী’ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
সোমবারের ওই টুইটে দেখা গেছে, তিনি ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারের উইনচেস্টার ক্যাথিড্রালের বাহিরে একটি পার্কের বেঞ্চে বসে আছেন। ছবির নিচে মুসলিমদের নামাযের তাকবির ‘আল্লাহু আকবার’ শব্দের চেয়ে খ্রিস্টান চার্চের ঘণ্টা ধ্বনি শোনা অনেক শ্রুতিমধুর বলে মন্তব্য করেন।
তার ইসলাম-বিদ্বেষী এই টুইট তাৎক্ষণিক ভাইরাল হয়ে যায় এবং তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা কুড়ায়।
রিচার্ড ডকিন্স সোমবার তার টুইটে লিখেন, ‘আমাদের মধ্যযুগীয় মহান ক্যাথেড্রালগুলির একটি হচ্ছে উইনচেস্টার ক্যাথেড্রাল। এর ঘন্টাধ্বনি শুনা আক্রমনাত্মক-শব্দ ‘আল্লাহু আকবার’ এর তুলনায় অনেক বেশি শ্রুতিমধুর। অথবা এটা কি শুধুই আমাদের সাংস্কৃতিকে লালন করছে?’
৭৭ বছর বয়সী এই ইংরেজের পোস্ট করা ছবি ও ছবির শিরোনাম অনেককে আহত করেছে। একটি নির্দিষ্ট ধর্মের সমালোচনা ‘পক্ষপাত’ অথবা কেবলই একটি চ্যালেঞ্জিং মতামত কিনা তা নিয়ে তীব্র বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।
লন্ডন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগ ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অমরনাথ অমরসিংহাম ডকিংসের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আপনি কি ইসলামফোবিক কোনো মন্তব্য ছাড়া একটি রৌদ্রোজ্জ¦ল দিনে পার্কের বেঞ্চে বসতে পারেন না?’
আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী অমরনাথের এই মতের সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘ ফোবিয়া হচ্ছে কোনো কিছুর একটা অযৌক্তিক ভয়।‘ইসলামোফোবিয়া’ শব্দটি কোনো অর্থ প্রকাশ করে না। বরং ইসলামের সমালোচনা বন্ধ করতেই ইসলামোফোবিয়া শব্দটির জন্ম।’
ওযাটারম্যান নামে একজন লিখেছেন, ‘তিনি (রিচার্ড ডকিন্স) কেবল বলেছিলেন যে তিনি কোনো কিছুকে অপছন্দ করেন যা তার কাছে আক্রমনাত্মক বলে মনে হয়। এটা তার স্বাধীনতা। এটা পক্ষপাতদুষ্ট নয়। এটা সমালোচনা।’
অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ডিয়ার রিচার্ড, অ্যারাবিক আমার মাতৃভাষা। আল্লাহু আকবার শব্দের যথাযথ অনুবাদ হচ্ছে-আমরা সব মানুষকে ভালবাসি। চিন্তা করবেন না-এটা হচ্ছে ভালবাসা, সহনশীলতা এবং উদারনীতির একটি বার্তা।’