শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শিশু শর্মিলার লাশ বস্তাবন্দী করে রাখা হয় ঘরের বাক্সে

চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা: যশোরের চৌগাছায় স্কুল ছাত্রী হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকার তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যার পর লাশ বাড়িতে এনে পেট কেটে নাড়ি ভুড়ি বের করে ফেলা হয়। লাশের মাথার চুলসহ অনেক কিছুই কেটে তা মাটিতে পুতে ফেলা হয়। এরপর লাশ বস্তা বন্দি করে ঘরের বারন্দায় থাকা বড় টিনের সাব-বাক্সে লুকিয়ে রাখা হয়। হত্যার চার দিন পর লাশ ওই বাক্স থেকে বের করে শিশুটির বাড়ির অদুরে আমবাগানে ফেলে রেখে আসে হত্যাকরীরা। নিহত শিশুর বড় বোন হত্যাকারীর প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ছোট বোনকে জীবন দিতে হয়েছে বলে জানান স্বজনরা। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৬ জন গ্রেফতার হলেও ১ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। তবে মামলার বাদী নিহত শিশুর পিতার দাবি তিনি গ্রেফতারকৃত ছয়জনকেই আসামী করে মামলা করেছেন।
সূত্র জানায়, স্কুল ছাত্রী শর্মিলা খাতুন (১০) নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর তার গলিত লাশ বাড়ির অদুরে একটি আমবাগান থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনার একদিন পর বুধবার বিকেলে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বিলধরা গ্রামের তবির উদ্দিনের ছেলে এ ঘটনার প্রধন অভিযুক্ত তজিবর রহমানকে আটক করে গ্রামবাসী। তার স্বীকারোক্তিতে চৌগাছার ফকিরাবাদ গ্রামের আবু বক্করের ছেলে জাহাঙ্গীর (৪৮), তার পুত্র রাজু (১৪), জাহাঙ্গীরের জামাই ও জলিল ওরফে ভাষনের ছেলে সুমন (৩২), জাহাঙ্গীরের বোন-জামাই ও রফিকুলের ছেলে তুষার (৩২) এবং তুষারের ছেলে নাহিদকে (১৩) গ্রামবাসি ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। ওই রাতেই নিহত শিশুর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলা নং ২৪, তারিখ-২৭-০৬-২০১৮। মামলায় মেহেরপুরের তজিবর রহমানকে আসামী করা হয়। গ্রেফতার বাকি পাঁচজনকে আসামী করা হয়নি। বৃহস্পতিবার আসামী তজিবর রহমানকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে নিহত শিশুর পিতা হাফিজুর রহমান ওরফে কালু বলেন, পুলিশ রাতে আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে থানায় নিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়, বলে মামলা করা হচ্ছে। মামলায় একজনকে আসামী করা হয়েছে তা আমাকে জানানো হয়নি। আমি অভিযুক্ত সকলকেই আসামী করেছি বলে জানি।
এদিকে নির্মম এই হত্যাকান্ডের ৭ দিন পর চাঞ্চল্যকার সব তথ্য বের হতে শুরু করেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ