শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চেয়ারম্যানকে ফাঁসাতে ডিসি’র নিকট মিথ্যা অভিযোগ

সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজানুল ইসলাম বাবু ও সদস্য মনজু মিয়াকে ফাঁসানোর জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন ইদ্রিস আলী চেংটু নামের এক সদস্য। শুধু তায় নয়, চেংটু মেম্বর সাংবাদিককে এই মিথ্যা তথ্য দিয়ে রেজানুল ইসলাম বাবু ও মনজু মিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশও করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই পরিষদের ১১ জন সদস্য সম্প্রতি ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। 
ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মনজু মিয়া তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস আলী চেংটু একজন স্বার্থান্বেষী লোক। নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান রেজানুল ইসলাম বাবু সহ অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করে আসছে। এমন কি পরিষদের নিয়ম বিরোধী কাজ অব্যাহত রেখে উন্নয়ন কাজে বাধাগ্রস্ত করে আসছেন ইদ্রিস আলী।
এদিকে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে অত্র ইউনিয়নের অসহায় মানুষদের জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বরাদ্দ হয়। চেয়ারম্যান রেজানুল ইসলাম বরাদ্দকৃত চাল সকল সদস্য/সদস্যাদের মাঝে সমান হারে বন্টন অনুযায়ী ইদ্রিস আলীকে ১৩৩ জনের স্লিপ দেন। এতে সন্তুষ্ট নন তিনি। ইদ্রিস আলী আরো ৫০টি স্লিপ দাবী করেন। চেয়ারম্যান অপারগতা জানালে তার সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করেন ইদ্রিস আলী।  গত ৭ জুন সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ মোতাবেক পরিষদের চাল রিলিফ অফিসারের উপস্থিতিতে বিতরণ করা হয়। বিতরণ শেষে কয়েক বস্তা চাল অবশিষ্ট দেখা দেয়। পরে চেয়ারম্যান রেজানুল ইসলাম খোঁজ নিয়ে দেখেন যে, ইদ্রিস আলী ১৩৩টি স্লিপ গরীবদের মাঝে প্রদান করেননি। ফলে ওইসব চাল অবশিষ্ট রয়েছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান রেজানুল ইসলাম অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। এর পর বিষয়টি ইউএনও এবং পিআইও’কে অবহিত করেন। সংশ্লিষ্টদের পরামর্শক্রমে অবশিষ্ট চালগুলো অন্যান্য গরীব মানুষের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করা হয়। এতে ইদ্রিস আলী চেয়ারম্যানের সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন এবং সাংবাদিককে এই ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। ইদ্রিস আলীর বানোয়াট অভিযোগ ও সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে ওই পরিষদের ১১জন সদস্য একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ