শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পলাশীর মতো আজও দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে

স্টাফ রিপোর্টার : নানা আয়োজনে পলাশী ট্রাজেডি দিবস পালিত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি সংগঠন আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ ন্যাপের আয়োজনে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় আজও পলাশীর পদধ্বনী শোনা যাচ্ছে। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন মুর্শিদাবাদের পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধের নামে হয়েছিল যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। আর এই খেলার মাধ্যমেই পলাশীতে অস্তমিত হয়েছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য্য। সেদিন শাসকগোষ্ঠী ও দেশবাসী শুধু যার যা দায়িত্ব তা পালন না করার কারণে এবং সিরাজ-উদ-দৌলার মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের সীমাহীন দুর্নীতি-লোভ ও দুর্বৃত্তায়নের কারণেই ইংরেজ বেনিয়াদের কাছে পরাজিত হয়েছিল জাতি। আজও শাসকগোষ্ঠী ও রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার কারণে দেশ সেই দিকেই ধাবিত হচ্ছে। শনিবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ঐতিহাসিক পলাশী দিবসের ২৬১তম বার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, পলাশীর মতো আজও বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে চলছে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত। সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তিগুলো বন্ধুবেশে বাংলাদেশকে পরিণত করতে চাচ্ছে করদরাজ্যে। পলাশীর বিপর্যয় তখনই ঘটেছিল যখন অর্থনীতির উপর থেকে তৎকালীন সরকারের নিয়ন্ত্রণ অন্যের হাতে চলে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাণিজ্যের নামে এদেশে প্রবেশ করে অবশেষে দেশের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। কেউ যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে ব্যাপারে বর্তমান সরকারসহ সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সজাগ থাকতে হবে।
ন্যাপ নগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু'র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মুহম্মদ মফিজুর রহমান লিটন, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল ভূঁইয়া, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।
এদিকে পলাশী দিবসে মুসলীম লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, এ অঞ্চলে ৫৫২ বছরের মুসলিম শাসনের পতন ঘটানোর জন্য মীর জাফর-জগত শেঠরা ইষ্ট ই-িয়া কোম্পানির সাথে ষড়যন্ত্র করে ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীর যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলাকে পরাজিত করে বাংলার স্বাধীনতা ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিয়েছিল। অনুরূপভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব লুণ্ঠনের জন্য মীর জাফর-জগত শেঠদের বংশধররা আজো অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ প্রেসিডিয়ামের সিনিয়র সদস্য আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্ট্যান্ডিং কমিটির অন্যতম সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এইচ খান আসাদ, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক কাজী এ.এ কাফী, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতা মামুনুর রশিদ প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ