বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনী ফুটবল ক্লাব

টাকা মানেই কি সাফল্য? সবচেয়ে সফল খেলোয়াড়রাই তো  সবচেয়ে বেশি টাকা কামান। কিন্তু তা সবসময় সত্য না-ও হতে পারে। ফুটবলের বড় বড় ধনী ক্লাবগুলো সবসময় কিন্তু সফল নয়। চলুন শীর্ষ দশ ধনী ক্লাবগুলোকে সফলতার মানদণ্ডে যাচাই করি।
১. ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
লিগ কিংবা ইউরোপ-গেল কয়েক মৌসুমে কোথাও যেন নিজেদের ঠিক মেলে ধরতে পারছিল না রেড ডেভিলরা। এ মৌসুমেও ইউরোপা লিগের শিরোপা ঝুলিতে নিয়ে সান্ত¡না খুঁজছেন কোচ মোরিনিয়ো। ৩.২৮ বিলিয়ন ইউরো বা সাড়ে ২৯ হাজার কোটি টাকা দামের ইংলিশ ক্লাবটি তারপরও সবচেয়ে ধনী।
২. বার্সেলোনা
মেসি, নেইমারদের মতো তারকাদের নিয়েও এ মৌসুমে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বার্সা। লিগে দ্বিতীয় আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ চারে পৌঁছেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। অবশ্য কোপা দেল রে’তে সান্তনার শিরোপা জিতেছে তারা। সব মিলিয়ে কাতালানদের মূল্যমান এখন ৩.২৪ বিলিয়ন ইউরো বা ২৯ হাজার কোটি টাকা।
৩. রেয়াল মাদ্রিদ
অবাক লাগার মতোই ব্যাপার। তারকা খেলোয়াড়দের ভিড়, স্পেন ও ইউরোপসেরা হবার পরও গ্যালাকটিকোদের জন্য তিন নম্বর স্থানটি বরাদ্দ করেছে ফোর্বস। এর একটি কারণ হতে পারে ‘বুড়ো’ খেলোয়াড়দের আধিক্য (গড় বয়স ২৭.৩ বছর)। এছাড়া কম বয়সি যাঁরা আছেন, তাঁদের ট্রান্সফার ফি-ও অনেক বেশি। মাদ্রিদের ক্লাবটির মূল্যমান ৩.১৮ বিলিয়ন ইউরো বা সাড়ে আটাশ হাজার কোটি টাকা।
৪. বায়ার্ন মিউনিখ
মিউনিখের ক্লাবটি শীর্ষ দশ ধনীর তালিকায় একমাত্র জার্মান ক্লাব। টানা পাঁচবার বুন্ডেস লিগার শীর্ষস্থান দখল করে তারা জাতীয় পর্যায়ে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। পাঁচবারের ইউরোপসেরা বায়ার্ন এখন সেরা তিনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ২.৪১ বিলিয়ন ইউরো বা সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা মূল্যমান নিয়ে।
৫. ম্যানচেস্টার সিটি
এক দশক আগে আবুধাবির ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ বদলে দিয়েছে সিটিকে। ক্লাব জড়ো করেছে নামি-দামি খেলোয়াড়দের। যদিও গেল মৌসুমটা বলার মতো কিছু করে দেখাতে পারেনি ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি। লিগে তৃতীয় স্থান আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলতে পৌঁছেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। তারপরও ক্লাবের দাম ধরা হচ্ছে ১.৮৫ বিলিয়ন ইউরো বা সাড়ে ষোল হাজার কোটি টাকা।
৬. আর্সেনাল
এক পয়েন্টের জন্য আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকেট হাতছাড়া হয়ে গেল আর্সেনালের। কারণ, পাঁচ-এ থেকে প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম শেষ করেছে তারা। এর আগে এ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও বিদায় নিয়েছে শেষ ষোল থেকে। ফলে ক্লাবের দাম ৪ ভাগ কমে হয়েছে ১.৭২ বিলিয়ন ইউরো বা সোয়া ১৫ হাজার কোটি টাকা।
৭. চেলসি
দেদারসে টাকা ঢালছেন রাশিয়ান ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ। তাই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এখন বড় বড় তারকাদের মেলা। গেল এক যুগ ধরেই প্রিমিয়ার লিগে সেরা একটি নাম চেলসি। বেড়েছে আয়ও। লেগে আছে স্পন্সরদের ভিড়। ক্লাবের দাম এখন ১.৬৫ বিলিয়ন ইউরো বা সাড়ে চৌদ্দ হাজার কোটি টাকা। সাফল্যও আসছে ক্রমাগত। এক মৌসুম পর আবারো শিরোপা ঘরে তুলেছে দলটি।
৮. লিভারপুল
লিগ টেবিলে চার নম্বরে থেকে কোনোমতে পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিট পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। এফএ কাপেও ছিটকে পড়েছে শুরুতেই। তারপরও ১.৩৩ বিলিয়ন ইউরোর (প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা) অলরেডরা রয়ে গেছে সবচেয়ে ধনী ফুটবল ক্লাবের তালিকার আট নম্বরে।
৯. জুভেন্টাস
এবারো ইউরোপসেরা হওয়া হলো না জুভদের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হয়েছে তাদের। তবে টানা ছয়বারের মতো সিরি আ’তে সেরা হয়েই মৌসুম শেষ করেছে তারা। তবে একটু ভাটা পড়েছে তাদের আয়ে। গেলোবারের চেয়ে কমেছে ৩ ভাগ। ক্লাবের আর্থিক মূল্যমান ১.১২ বিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
১০. টটেনহাম হটস্পার
আগামী মৌসুমে এক লাফে ৩২,০০০ থেকে ৬১,০০০ ধারণ ক্ষমতায় পৌঁছে যাচ্ছে হোয়াইট হার্ট লেনে ইংলিশ ক্লাবটির ঘরের স্টেডিয়ামটি৷ নির্মাণ কাজের জন্য লম্বা সময় ধরে স্টেডিয়ামটি বন্ধ থাকলেও অর্থ কিন্তু কম কামাই করছে না স্পাররা৷ ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেবে ক্লাবটির দাম ৯৪৫ মিলিয়ন ইউরো বা ৮ হাজার কোটি টাকা৷ এ মৌসুমে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে থেকে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করেছে তারা, পৌঁছেছে ইউরোপা লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ