শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রহমত মাগফিরাত নাজাতের মাস রমযান

মিয়া হোসেন : আজ রমযান মাসের ২৮তম দিন। আর দু’একদিনের মধ্যে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নেবে পবিত্র রমযান। রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের এই পবিত্রতম দিনগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমরা কী অর্জন করলাম। তা-ই এখন হিসাব-নিকাশের পালা। রাসূল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রমযান মাস পেল অথচ নিজের গুনাহগুলো মাফ করাতে পারলো না তার চেয়ে হতভাগা আর কেউ নাই।” রমযানের শেষ পর্যায়ে এসে তাই আমাদের পর্যালোচনা করা দরকার ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে  রোজা রাখতে পেরেছি কি না। রোজা থেকে কতটুকু ফায়দা আমি নিতে পেরেছি।
মানুষ অপরাধ করলে শাস্তি দেয়া হয়। উদ্দেশ্য এ শাস্তিকে ভয় করে সে যেন আর এরকম অপরাধ না করে। অনুরূপভাবে তাকওয়ার গুণ শিখানোর জন্য আল্লাহ রোজা ফরজ করেছেন। দীর্ঘ এক মাস আমরাও প্রচেষ্টা চালিয়েছি, রোজা রেখেছি। এখন প্রশ্ন হলো: পানাহার ইত্যাদি ত্যাগ করে দীর্ঘ একটি মাস রোজা রাখার পরও যদি তাকওয়ার গুণাবলী তৈরি না হয় তাহলে ঐ রোজা কতটুকু কাজে আসবে।
আল্লাহ বলেছেন, “আমি কুরআনকে বুঝা সহজ করে দিয়েছি, আছো কি কোনো গবেষক?” এ রমযান মাসের মর্যাদা, শবে কদরের মর্যাদা আল কুরআনের কারণেই। কিন্তু আমরা অনেক চেষ্টা সাধনা করে জীবনের সফলতার জন্য অনেক কিছু করে থাকি। কিন্তু পবিত্র কুরআন বুঝার জন্য কোনো প্রকার চেষ্টাই করি না। এই কুরআন নাজিলের পবিত্র মাসে পবিত্র কুরআন শিক্ষা ও বুঝার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সূরা আল বাকারাতে বলেছেন, এই কুরআন মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত। মুত্তাকী তারাই যারা কুরআন থেকে হেদায়াত পেতে চায় এবং এ আকাক্সক্ষা থেকেই তারা কুরআন অধ্যয়ন করে। কুরআন নিশ্চয়ই তাদেরকে সঠিক ও সত্য পথ সিরাতাল মুসতাকীমের পথ প্রদর্শন করবে। কিন্তু যারা হেদায়াত পাবার উদ্দেশ্যে পড়বে না তারা হেদায়াত পাবে না। যেমন পাশ্চাত্য জগতে অনেক প-িত ব্যক্তি মুসলমানদের সম্পর্কে জানা, কুরআন সম্পর্কে জানা অথবা কোনো গবেষণার জন্য অথবা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কৌশল তৈরির জন্য কুরআন পড়লে নিঃসন্দেহে কুরআন তাদের হিদায়াত দিবে না, সত্য পথের সন্ধান পাবে না।
এই রমযান মাস কুরআন নাজিলের মাস। কুরআনের কারণেই এ মাসের মর্যাদা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম হয়েছে। আর কুরআনকে যতদিন মুসলমানরা আঁকড়ে ধরেছিল ততদিন তারা সফল হয়েছিল। কেউ তাদের পদানত করতে পারেনি। এজন্য কুরআন মুসলিম জাতির বেঁচে থাকার দলীল। এ রমযানে আমরা কুরআনকে যেভাবে পড়েছি, রমযান শেষে বাকী দিনগুলোতে কুরআনকে বুঝা, মানা ও প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ