শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের মাহে রমযান

মিয়া হোসেন : মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিলের মাস পবিত্র রমযান উপলক্ষে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মোমিন বান্দাদের গুনাহ মাফ করে থাকেন। তবে এ জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। তাকে অবশ্যই ঈমান ও ইহতেসাবের সহিত রোযা পালন করতে হবে। এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীস শরিফে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতেসাব সহকারে রোযা রাখে তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। এখানে দুটি শর্ত দেয়া হয়েছে। যারা শর্ত দুটি পালন করবে তাদের গুনাহ আল্লাহ মাফ করবেন। শর্ত দুটি হলো, ঈমান থাকতে হবে এবং ইহতেসাব বা মনে মনে হিসাব করে দেখতে হবে যে মূল শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য আল্লাহ রোযা ফরয করেছেন সে শিক্ষা আমি গ্রহণ করেছি কি না।
পবিত্র রমযানের রহমত ও মাগফিরাতের দশক অতিক্রম করে এখন নাজাতের দশক চলছে। আমাদের উচিত এখনো আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে জীবনের গুনাহ মাফ করিয়ে নেয়া। কেননা রমযানের সুবর্ণ সুযোগ লাভ করেও জীবনের জানা অজানা অপরাধসমূহ ক্ষমা করিয়ে না নিতে পারলে জীবনে অনেক দুর্ভোগ রয়েছে। এমন কী রাসূল (সাঃ) এমন ব্যক্তি ধ্বংস হওয়ার পক্ষে আমিন বলেছেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘মাহে রমযানে সিয়াম সাধনার সুবর্ণ সুযোগ লাভ করা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি নিজেকে জাহান্নামের আগুন বিমুক্ত হতে সক্ষম হল না সে প্রকৃতপক্ষেই দুর্ভাগা।' এ দুর্ভাগ্যের বোঝা মাথায় নিয়ে যারা নিজেদের জীবনকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিতে চায় তাদেরকে আজ এ কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া দরকার যে, সকলেরই মহান আল্লাহ পাকের নিকটে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। এ সীমাহীন যাত্রাপথের সম্বল সিয়াম সাধনার মাধ্যমে অর্জন করে নেয়াই শ্রেয়। জ্ঞান ও বিবেক সম্পন্ন মানুষ ন্যায় কল্যাণ এবং মঙ্গলময় জীবন যাপনেই আনন্দ পায়, শান্তি পায়। এ শান্তিই হোক সকলের কামনার ধন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ