শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ব্রয়লার মুরগী আদা ও সবজির দামে অস্থিরতা

স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পরদিনই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বেড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগী, আদা ও সবজির দাম। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজেটের প্রভাব নয়, সরবরাহ কম থাকার কারণে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি মুরগি ১০-১৫ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে। সে হিসেবে মুরগীর দাম বাড়িয়ে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। এছাড়া প্রতিটি সবজির কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা দাম বেড়েছে। আদার দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগীর দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ছাড়া দেশি মোরগ বড় প্রতিটি ৫০০ টাকা, মাঝারি ৩০০ টাকা, ছোট ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং কক মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগি ব্যবসায়ীরা বলেন, সামনে ঈদ তাই এখন আর মুরগির দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এখন প্রতিদিন বাড়তেই থাকবে।
এদিকে আদার দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। ৭০ টাকার আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৩০ টাকায়। শুধু ব্রয়লার মুরগী ও আদাই নয়, দাম বেড়েছে বিভিন্ন সবজিরও। সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিটি সবজির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। বাজারে ৫০ টাকার কমে কোন সবজি নেই।
কাঁচা বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শশা, পোটল, কচুর লতি, চিচিঙ্গা ও বরবটি ৪৫-৫০ টাকা, করলা, টমেটো, কচুরমুখি ৫০-৬০ টাকা, পেপে, ঢেঁড়স ও কাকরোল ৪০-৫০ টাকা, ধনেপাতা ৮০ টাকা, আলুর কেজি বগুড়া ৩০ টাকা এবং বড় হল্যান্ড ২৫ টাকা, লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং জালি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মুদি দোকানে দেখা গেছে, ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, ১ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা আর ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪৮৫ থেকে ৫৩০ টাকা। মশুর ডাল বিক্রি  হচ্ছে ১০০ থেকে ১১৫ টাকা, মুগ ডাল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও রসুন ৯০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে চালের দামের কোন পরিবর্তন হয়নি বলে দাবি করেছে ব্যবসায়ীরা। গুটি স্বর্ণা ৩৮-৪০ টাকা, মিনিকেট মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল মানভেদে ৫০ থেকে ৭৪ টাকা এবং পোলাও চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজারে কেজি প্রতি পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, নলা ১৮০ টাকা, চিংড়ি বড় ৭৫০ টাকা, ছোট ৪০০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ টাকা, রুপচাঁদা ১ হাজার টাকা, আইড় ৫০০ টাকা, ইলিশ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং চাষের কৈ মাছ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে গরুর গোশত বিক্রি করছেন অনেক ব্যবসায়ী। বেশি দামে গরু কিনে কম দামে গোশত বিক্রি করা অসম্ভব বলে দাবি করছেন তারা। বাজারভেদে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর গোশত । খাসির গোশত ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং দেশী মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ