শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

গুয়াতেমালায় অগ্ন্যুৎপাতের নতুন আঘাত উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত

৬ জুন, রয়টার্স : গুয়াতেমালার ফুয়েগা আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৫ জনে পৌঁছেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৯২ জন মানুষ। গত রবিবারের সেই ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের পর বিশেষজ্ঞরা ধারণা দিয়েছিলেন, নতুন আর কোনও আঘাতের সম্ভাবনা আপাতত নেই।

 তবে গত মঙ্গলবার নতুন করে অগ্নুৎপাতে লাভার উদগীরণ বেড়ে যায়। ব্যাহত হয় উদ্ধার তৎপরতা।

মধ্য আমেরিকান দেশ গুয়াতেমালায় ৩৪টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এরমধ্যে ফুয়েগো একটি। স্প্যানিশ ভাষায় ‘ফুয়েগো’ শব্দের অর্থ ‘আগুন’। গত রবিবার থেকে গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরিটি থেকে এই বছরেই দ্বিতীয়বারের মতো অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। চার দশকের মধ্যে গুয়াতেমালায় এটি সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত। এতে বহু মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি এখনও নিখোঁজ রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ।

রবিবার ভোরের ওই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আকাশের ৩ হাজার ৭৬৩ মিটার উঁচুতে ছাইমেঘ, উত্তপ্ত কাদামাটি ও পাথরকতা ছড়িয়ে পড়ে। 

ক্ষতিগ্রস্থ হয় এস্কুউনটলা, সাকাটেপেকুয়েজ ও চিমাল্টেনাঙ্গো বিভাগের ১৭ লাখের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৩ হাজার ২৭১ জনকে অন্যত্র চলে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৭৮৭ জন আশ্রয় শিবিরে অবস্থান নিয়েছে।

ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত ও আবহাওয়াবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইনসিভুমেহ’র পরিচালক এডি স্যানশেজকে উদ্ধৃত করে গত সোমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ধ্যা থেকে অগ্ন্যুৎপাতের তীব্রতা কমতে শুরু করেছে। পরবর্তী কয়েকদিনে তা আরও কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে অনুমানকে মিথ্যে প্রমাণ করে মঙ্গলবার আবারও বাড়তে থাকে লাভার উদগীরণ। আক্রান্ত হয় আগ্নেয়গিরিটির দক্ষিণাংশ।

 এমনিতেই তপ্ত লাভায় নিহতদের শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বজনরা। মঙ্গলবারের নতুন অগ্নুৎপাত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

 এছাড়াও এতে এস্কুউনটলা, সাকাটেপেকুয়েজ ও চিমাল্টেনাঙ্গো বিভাগে ১৭ লাখের বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

এদের মধ্যে ৩ হাজার ২৭১ জনকে অন্যত্র চলে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৭৮৭ জন আশ্রয় শিবিরে অবস্থান নিয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ