শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত

১ জুন, ডন : পাকিস্তানের ১৫তম সাধারণ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। সে দেশের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, আগেই সাধারণ নির্বাচনের ২৫ জুলাইকে সাধারণ নির্বাচনের তারিখ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই দিনটিকে সাধারণ নির্বাচনের তারিখ হিসেবে রেখেই বিস্তারিত দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়েছে।নির্ধারিত দিনে পাকিস্তানে নিবন্ধিত সাড়ে দশ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। গতকাল শুক্রবার  আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করা হয়। 

বিট্রিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার ৭১ বছরের মধ্যে এবার দ্বিতীয়বারের মতো গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কোনও নির্বাচিত সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করলো। সাংবিধানিকভাবে এদিন বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে ১৪তম  জাতীয় পরিষদ (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি)। এর আগেই সরকার এবং বিরোধী দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সাবেক প্রধান বিচারপতি নাসির-উল-মুলককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১ জুন তার দায়িত্ব নেওয়ার কথা রয়েছে।বৃহস্পতিবার কার্যালয় প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কমিশন সচিব বাবর ইয়াকুব জানান, এবারের নির্বাচনের ব্যালট পেপারের কাগজ আমদানি হচ্ছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য থেকে। সেনাবাহিনীর পর্যবেক্ষণে ব্যালট পেপার ছাপার কাজ হবে জানালেও নির্বাচনের দিন সেনা মোতায়েন হবে কিনা তা নিশ্চিত করেননি তিনি। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বাধা দেওয়া হবে না জানিয়ে ইয়াকুব বলেন, তাদের জন্য আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

কমিশন সচিব বাবর ইয়াকুব অনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন,  ২ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত সংগ্রহ করা মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের জন্য জমা দেওয়া যাবে। ৭ জুন থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই করা শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। চলবে ১৪ জুন পর্যন্ত। প্রার্থী ও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিরা ১৯ জুন পর্যন্ত প্রার্থীতা নিয়ে কমিশনে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করতে পারবেন। এসমস্ত আবেদনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে জুনের ২৬ তারিখে। ২৭ তারিখে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হলে ২৮ জুন প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারবেন। ২৯ জুন নির্বাচন কমিশন প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। বাবর ইয়াকুব জানান, নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার দিনেই নির্বাচনি তফশিলের বিস্তারিত প্রকাশ্য নোটিশ দিয়ে প্রচার করা হবে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হবে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা। নোটিশ প্রচারের পর থেকেই প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।

তফশিল চূড়ান্ত করার পর কমিশনের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় সচিব বাবর ইয়াকুব বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’ এবারের নির্বাচনের ব্যালট পেপারের কাগজ ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর অর্ধেকটা করাচিতে আনা হবে আর বাকি অর্ধেক রাজধানী ইসলামাবাদে রাখা হবে। ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ সেনাবাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে বলেও জানান তিনি। বাবর ইয়াকুব সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কমিশন সচিব জানান, বিষয়টি নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কমিশন সচিব বলেন, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সংবাদমাধ্যমের ওপরে কোনও বাধা নিষেধ আরোপ করা হবে না। এই বিষয়ে আমরা একটি আচরণবিধি প্রণয়ন করেছি।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ