শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

চুয়াডাঙ্গায় কর্মসৃজন কাজে কর্মকর্তাদের তদারকি

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পের (৪০ দিনের কর্মসূচি) কাজে বাড়তি তদারকি করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। ফলে গত চার সপ্তাহে তদারকি কর্মকর্তারা সরেজমিনে গিয়ে ২ হাজার লেবারের অনুপস্থিত পেয়েছে। কাজে উপস্থিত না থাকলে তাদের হাজিরা না করার ব্যাপারে প্রকল্প পিআইসিদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ফলে কাজ না করে হাজিরা তোলা দিন শেষ হয়ে গেছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। বেশি অনিয়ম ধরা পড়েছে তিতুদহ ইউনিয়নে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে গত ২১ এপ্রিল থেকে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলায় ১ হাজার ৫৩৯ জন লেবার ২শ টাকা দিন হাজিরায় কাজ করার সুযোগ পায়। আর এ কাজের টাকা স্ব-স্ব শ্রমিক নিজের একাউন্ট থেকে উত্তোলন করে থাকে। সে মোতাবেক বিভিন্ন ইউনিয়নের শ্রমিকরা ১০ টাকার একাউন্ট খোলে নিজ এলাকার ব্যাংক শাখায়। কাজের শুরু থেকে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। তার মধ্যে অনুপস্থিত থেকেও হাজিরা হওয়া, নির্দিষ্ট প্রকল্পে কাজ না করা, স্বজনপ্রীতি। বিষয়টি আমলে নিয়ে চলতি মওসুমে কাজের শুরু থেকেই তদারকি করতে থাকেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। তাই তো কাজ চলমান অবস্থায় প্রকল্প এবং হাজিরা খাতা অনুযায়ী লেবার উপস্থিতির বিষয়টি সঠিকভাবে দেখা হয়। তাতে করে গত ৪ সপ্তাহে ৭টি উপজেলায় প্রায় ২ হাজার লেবারকে তাদের কাজের জায়গায় পাওয়া যায়নি। ফলে ওইদিন তাদেরকে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত করে দেন তদারিক অফিসার। সবচেয়ে বিশি অনিয়ম হয়েছে তিতুদহ ইউনিয়নে। গত ৪ সপ্তাহে এ ইউনিয়নে ৬৮৮ জন লেবার অনুপস্থিত ধরা পড়ে। যদিও ইউপি চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে ৮৫ জন লেবারের অনুপস্থিত দেখিয়ে গত বুধবার বিল পাঠিয়েছেন। এ ব্যাপারে দায়িত্বরত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, বিগত দিনের মতো কর্মসৃজনে কাজ করার সুযোগ নেই। কাজ দেখতে প্রতিদিনই কোনো না কোনো প্রকল্পে ছুটতে হচ্ছে। যেখানেই গণনা করে লেবার কম পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই অনুপস্থিত করে দেয়া হচ্ছে। এবারের কাজ এনডিসি জেনারেল আব্দুর রাজ্জাক, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফকরুল ইসলাম এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াশীমুল বারী সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ