শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

অর্থসংকটে পড়েছে ভারতের কংগ্রেস পার্টি!

২৮ মে, ব্লুমবার্গ : ভারতের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। স্বাধীনতার পর ৭১ বছরের মধ্যে ৪৯ বছরই দেশ শাসন করা দলটি অর্থসংকটে পড়েছে? ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকে চ্যালেঞ্জ করতে একদল এলিট বুদ্ধিজীবী কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৮৮৫ সালে। দীর্ঘকাল দেশ শাসনের অভিজ্ঞতা লব্ধ দলটি এখনো দেশটির প্রধান বিরোধী দল।

পুরো দেশে ছড়িয়ে আছে এর অসংখ্য সমর্থক। কিন্তু দলটির অফিসিয়াল টুইটার থেকে গত বৃহস্পতিবার সহায়তা চেয়ে বার্তা দেয়া হয়েছে-আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা, বিতর্ক। অনেকেই কংগ্রেসের এমন আবেদনে বিস্মিত হয়েছেÑ কারণ তারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে ভারতের প্রাচীন দলটি অর্থ সংকটে পড়েছে। এটা কি দলটির সমর্থকদের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত একটি স্বচ্ছ সংগঠনে পরিণত করার উদ্যোগ নাকি সত্যিকার অর্থেই দলটি আর্থিক সংকটে পড়েছে- এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

কংগ্রেসের কত অর্থ আছে?

কংগ্রেসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেখভালের দায়িত্বে থাকা দিব্যা স্পন্দনা ব্লুমবার্গকে বলেছেন, আমাদের অর্থ নেই। যদিও পর্যবেক্ষণ সংস্থা এসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) বলছে ২০১৭ সালে কংগ্রেসের আয় ছিলো ৩৩ মিলিয়ন ডলার। যদিও এটাকে কম অর্থ মনে করা হয়না তবে প্রতিপক্ষ ভারতীয় জনতা দলের ঘোষিত অর্থের পরিমাণ ছিলো ১৫১ মিলিয়ন ডলারের বেশি। দলগুলো মূলত সদস্যদের চাঁদা কিংবা ডোনারের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ বা অন্য অর্থনৈতিক উদ্যোগ থেকে অর্থ আয় করে। কিন্তু প্রশ্ন হলো দলগুলোর আদৌ কি অন্য কোন অর্থনৈতিক কর্মকা- আছে যা থেকে তারা আয় করতে পারে?

আবার যদিও দলগুলোকে তাদের আয় ব্যয়ের হিসেব প্রকাশ করতে হয় কিন্তু সেটি কি তারা আসলেই স্বচ্ছতার সাথে করে? এডিআর বলছে ৬৯% শতাংশ পার্টি আয়ের উৎস এখনো অজানা সূত্র। ২০১৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের ওপর প্রভাব পড়বে? এডিআরের একজন কর্মকর্তা কংগ্রেসের আবেদনকে বলছে - পাবলিক স্ট্যান্ট। তার মতে ক্লিন পার্টি হিসেবে পরিচিত লাভের জন্য এটা একটি স্মার্ট পদক্ষেপ। কিন্তু প্রশ্ন হলো ভারতে নির্বাচনী প্রচারণা এখন অনেক ব্যাপ্তি লাভ করেছে। বিমান ভাড়া করা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কৌশল বিদ এমন নানা দিক তৈরি হয়েছে। আর এসব কারণে ২০১৯ সালের নির্বাচন হবে যে কোনো দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দেশটির সবচেয়ে প্রাচীন দলটি সে চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে?

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ