শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কেশবপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য বকুলতলা বাজারে ৪ দোকানঘর প্রকাশ্যে দখল

কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা: কেশবপুরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে উপজেলার কোমরপোল বাজারে প্রকাশ্যে ৪ টি দোকান ঘরের মালামাল লুটপাটসহ জবর দখল করে নিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ভয়ে ওই পরিবারটি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৫০ বছর আগে উপজেলার কোমরপোল গ্রামের আব্দুস সামাদ মোল্যা বকুলতলা বাজারে তার পিতা ছলেমান মোল্যার কাছ থেকে হাল ৪৩৪ ও ৪৩৯ দাগের ১৪ শতক জলাশয়ের জমি পাশ উল্লেখ করে ক্রয় করেন। এরপর নিজ নামে ওই জমির নামপত্তন করা হয়। ২০০৫ সালে তিনি লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ওই জলাশয় ভরাট করে সেখানে ৪ টি দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে জবর দখলে রেখেছেন। একই গ্রামের ইমান আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম ও আব্দুল হাকিম বিভিন্ন সময়ে ওই জমি দাবি করে দখলের হুমকি দিলে আব্দুস সামাদ তার জমির ওপর বিজ্ঞ সহকারি জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা করেন। যার নং- ৬৮/১৭। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ওই জমির ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এদিকে, গত ১৯ মে গভীর রাতে রবিউল ইসলাম ও আব্দুল হাকিম আদালতের এ নিষেধাজ্ঞার আদেশ ভঙ্গ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ধশত সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে ওই জমির ওপর অবস্থিত ৪টি দোকান ঘরের ভাড়াটিয়াদের নামিয়ে দিয়ে তাদের মালামাল লুটপাটসহ জবর দখল কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।
আব্দুস সামাদ অভিযোগ করে বলেন, তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. নূরুল আমীন সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তার পক্ষেই রায় দেয়। গত শনিবার রাত থেকে পুলিশের সহযোগিতায় প্রতিপক্ষরা প্রকাশ্যে দখল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমরা বাধা দিতে সাহস পাচ্ছি না।  
এ ব্যাপারে রবিউল ইসলাম বলেন, শরিক সম্পত্তি হিসেবে সামনের পজিশন আমার পাওনা। সে ছেড়ে দিতে রাজি না হওয়ায় দখলে নিয়েছি।
কেশবপুর থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ বলেন, ওই জমি দখলের বিষয়ে আমার কাছে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ