শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হলে দোষী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশও আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হলে তদন্ত কমিটি করে দোষী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জাতীয় কাউন্সিলের সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে কোনও অশুভ শক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সবাই যেন নির্বিঘেœ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে সবার অধিকার সমান।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা)  নীতি গ্রহণ করেছে। মাদক যে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, তাতে আমাদের মেধা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য মাদককে প্রতিহত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।’অভিযানে নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এসব ঘটনার তদন্ত করা হবে। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বড় ধরনের মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার না হলেও গত চার দিনে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ছয়জন। অভিযানে অংশ নেওয়া বাহিনীর একাধিক সদস্য বলেন, মাদক নির্মূলে এখন বন্দুকযুদ্ধকেই ভরসা বলে মনে করা হচ্ছে। কথিত এসব বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের নিহত হওয়ার ঘটনার মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদকের বিষয়ে এ মন্তব্য করলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে খ্রিস্টান, তার কোনো বিচার ছিল না। সব ধর্মের মানুষের আমাদের সবার রক্ত ভেজা দেশ বাংলাদেশ। এখানে সবার সমান অধিকার।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন। বার্ষিক প্রতিবেদন পড়েন সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল। বক্তব্য দেন সাংবাদিক স্বপন কুমার সাহা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা কাজল দেবনাথ, নিমচন্দ্র ভৌমিক, নির্মল চ্যাটার্জি। এ ছাড়া উদ্যাপন পরিষদের জেলা ও উপজেলার ৭২টি কমিটির নেতারাও বক্তব্য দেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ