শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মুসলিম ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা

আখতার হামিদ খান : ॥ পূর্বপ্রকাশিতের পর ॥
৮১৮ খৃ: ঃ ইমাম আলী রেজা (র:) তুস নগরে শহীদ হন। ইমামের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইমাম মুহাম্মদ আলীতকী।
৮২০ খৃ: ঃ ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদরীস শাফি’ঈ (র:) কায়রো নগরীতে ইন্তেকাল করেন। প্রখ্যাত হাদীসশাস্ত্রবিদ ইমাম আবুল হোসেন মুসলিম জন্মগ্রহণ করেন। খলীফা মামুনের নির্দেশে জ্যোতিবিদ মূসা মসূলের নিকটে অবস্থিত সঞ্জর প্রান্তরে এবং প্রখ্যাত গণিতবিদ মুহাম্মদ ইবনে মূসা আল খাওয়ারিজমী সিরিয়ার পালমিয়া প্রান্তরে পৃথিবীর পরিধি ও দ্রাঘিমার দূরত্ব নির্ধারণ করেন।
৮২৪ খৃ: ঃ ইমাম আবু ঈসা মুহাম্মদ তিরমিযী এবং ইমাম আবু ‘আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ খাজা জন্মগ্রহণ করেন।
৮২৫ খৃ: ঃ মিসরের শাসনকর্তা ‘আবদুল্লাহ ইবনে তাহের নৌপথে ক্রীট দ্বীপ অধিকার করেন।
৮২৬ খৃ: ঃ উত্তর আফ্রিকার স্বাধীন সুলতান জিয়াদাতুল্লাহ সিসিলি দ্বীপ অধিকার করার জন্য একদল সৈন্য প্রেরণ করেন। সেনাপতি আসাদের নেতৃত্বে প্রেরিত এই অভিযান সফলতা অর্জন করে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সমগ্র সিসিলি মুসলমানদের দখলে আসে।
৮৩০ খৃ: ঃ মামুন বাগদাদে বায়তুল হিকমাহ নামক একটি জ্ঞান-বিজ্ঞান-চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন ও শামসিয়া ও কাসিউল নামক স্থানে পৃথক পৃথক দুটি মানমন্দিরও প্রতিষ্ঠিত হয়।
৮৩৬ খৃ: ঃ বাগদাদের ৭০ মাইল উত্তরে আব্বাসীয় শাসক মু’তাসিম বিল্লাহ সামারা নগরের পত্তন করেন।
৮৫০ খৃ: ঃ প্রখ্যাত গণিতবিদ ও প-িত মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল খাওয়ারিজমী ইন্তেকাল করেন। তাঁর হিসাবুল জবর ওয়াল জবর গ্রন্থখানি মশহুর। প্রখ্যাত চিকিৎসাবিগদ আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে যাকারিয়া আর রাযী উত্তর পারস্যের রায়নগরে জন্মগ্রহণ করেন।
৮৫৫ খৃ: ঃ ইমাম আহমদ ইবনে মুহাম্মদ হাম্বল বাগদাদ নগরে ইন্তেকাল করেন। তাঁরই নামে হাম্বলী মযহাব।
৮৫৯ খৃ: ঃ সূফী হযরত যুন্নুন মিসরী (র:) মিসরের গাজাতে ইন্তেকাল করেন।
৮৬১ খৃ: ঃ প্রখ্যাত দার্শনিক, রসায়ন ও চিকিৎসাশাস্ত্রবিদ আবু ইউসুফ ইয়া’কুব ইবনে ইসহাক আর কিন্দি বাগদাদে ইন্তেকাল করেন।
৮৬৭ খৃ: ঃ সূফী হযরত সররি সকতী (র:) ইন্তেকাল করেন।
৮৭০ খৃ: ঃ হযরত ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বুখারী ইন্তেকাল করেন।
৮৭৫ খৃ: ঃ সহীহ মুসলিম হাদীস গ্রন্থের সংকলক হযরত ইমাম আবুল হুসাইন মুসলিম নিশাপুরে ইন্তেকাল করেন।
৮৯২ খৃ: ঃ ঐতিহাসিক আহমদ ইয়াহইয়া আল বালাজুরী ইন্তেকাল করেন।
৯০৬ খৃ: ঃ স্পেনের আমীর আবদুল্লাহ দক্ষিণ ফ্রান্সের মার্মেলিজ ও উত্তর ইতালীর নিগোরিয়া, গিডমন্ট অধিকার করে সুইজারল্যা-ের কনস্টেন্স হ্রদ মুসলিম শাসনে আনেন।
৯১০ খৃ: ঃ হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র:) ইন্তেকাল করেন।
৯১৫ খৃ: ঃ ইমাম নাসা’ঈ (র:) মক্কা শরীফে ইন্তেকাল করেন।
৯১৬ খৃ: ঃ আফ্রিকায় ফাতেমী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ওবায়দুল্লাহ আল মেহদী ভূমধ্য-সাগরের তীরে ‘মেহদীয়া’ নগরের পত্তন করেন। এখানেই ফাতেমীযদের রাজধানী স্থাপিত হয়।
৯২২ খৃ: ঃ সূফী মনসুর হাল্লাজ প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন।
৯২৩ খৃ: ঃ মশহুর চিকিৎসাশাস্ত্রবিশারদ আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে যাকারিয়া আর-রাযী ইন্তেকাল করেন।
৯৩৭ খৃ: ঃ স্পেনের মশহুর ইতিহাসবেত্তা আবু বকর রাযী ইন্তেকাল করেন।
৯৪১ খৃ: ঃ মহাকবি ফেরদৌসী পূর্ব পারস্যের তূস নগরে জন্মগ্রহণ করেন।
৯৪৫ খৃ: ঃ বুহাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা ভ্রাতৃত্রয়- আলী আহমদ ও হাসান- শিরাজ নগরে রাজধানী স্থাপন করে রাজ্য শাসন শুরু করেন। ভ্রাতৃত্রয় আব্বাসীয় শাসক মুক্তাদীর বিল্লাহ যথাক্রমে ইমাজুদ্দৌলা, মঈজুদ্দৌলা ও রুকুনুদ্দৌলা খেতাব প্রদান করেন।
৯৪৮ খৃ: ঃ চিকিৎসাশাস্ত্রবিশারদ, গণিতবিদ ও দার্শনিক আবু নসর মুহাম্মদ আল ফারাবী ইন্তেকাল করেন।
৯৫৬ খৃ: ঃ মশহুর পর্যটক ও ভূগোলবেত্তা কুতবুদ্দীন আবুল হাসান আল মাসয়ূদী ফুস্তাত নগরে ইন্তেকাল করেন।
৯৬৯ খৃ: ঃ ফাতেমীয় খলীফার অনুমতিক্রমে সেনাপতি জওহর নীল নদের তীরে কায়রো নগরে পত্তন করেন এবং আল আজহার মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
৯৭২ খৃ: ঃ আল আজহার মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।
৯৭৫ খৃ: ঃ আজহার এর পার্শ্বেই বিখ্যাত আল আজহার মাদ্রাসা স্থাপিত হয়।
৯৮০ খৃ: ঃ চিকিৎসাশাস্ত্রবিদ ও পন্ডিত আবু আলী ইবনে সীনা পারস্যের শিরাজ নগরের পার্শ্বে অবস্থিত আফসানা নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১০০১ খৃ: ঃ গজনীর সুলতান মাহমুদ প্রথম ভারত অভিযানে আগমন করেন।
১০০৯ খৃ: ঃ মহাকবি ফেরদৌসী শাহনামা মহাকাব্য গ্রন্থ রচনা সমাপ্ত করেন।
১০২০ খৃ: ঃ মহাকবি ফেরদৌসী তুস নগরে ইন্তেকাল করেন।
১০৩৭ খৃ: ঃ দার্শনিক চিকিৎসাশাস্ত্রবিদ ইবনে সীনা বুখারা নগরে ইন্তেকাল করেন।
১০৪৫ খৃ: ঃ বিখ্যাত প-িত, লেখক, দার্শনিক, ঐতিহাসিক ও জ্যোতির্বিদ আবু রায়হান মুহাম্মদ আল বেরুনী গজনী নগরীতে ইন্তেকাল করেন।
১০৫০ খৃ: ঃ কবি উমর খৈয়াম নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
১০৫৩ খৃ: ঃ বাংলাদেশের মোমেনশাহী জেলার নেত্রকোণা মহকুমার মদনপুর নামক স্থানে সূফী শাহ সুলতান রুমী আগমন করেন।
১০৫৮ খৃ: ঃ হযরত ইমাম গাযযালী (র:) ভূস প্রদেশের গাযালা পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন।
১০৬৫-৬৭ খৃ: ঃ বাগদাদে বিখ্যাত নিযামীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১০৬৬ খৃ: ঃ ইমাম আবু বকর আহমদ আল বায়হাকী নিশাপুরে ইন্তেকাল করেন।
১০৭১ খৃ: ঃ রোমান সম্রাট রোমানাম ডাইওজেনাস আরমেনিয়া আক্রমণ করলে সেলজুক বংশীয় সুলতান তা প্রতিহত করতে অগ্রসর হন। মানজিকারত নামক স্থানে সংঘটিত যুদ্ধে রোমানগণ শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় এবং রোমান সম্রাট বন্দী হন। পরে নগদ ১০ লাখ দীনার এবং বার্ষিক তিনলাখ ষাট হাাজর স্বর্ণমুদ্রা প্রদানের অঙ্গীকার করে তিনি মুক্তি পান।
১০৭৪-৭৫ খৃ: ঃ সেলজুক সুলতান জালালউদ্দীন মালিক শাহ নিশাপুরে একটি অবজার্ভেটরী স্থাপন করেন। অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন মহাকবি উমর খৈয়ান।
১০৭৮ খৃ: ঃ গাওসুল আযম আবু মুহাম্মদ মহীউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদীর জিলানী (র:) পারস্যের গিলান বা জিলান জেলার অন্তর্গত কাম্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী নায়ক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১০৮৬ খৃ: ঃ মুসলিম স্পেনকে সমূলে বিনাশের জন্য খৃস্টানগণ উদ্যত হয়। ২৩ অকটোবর ষষ্ঠ আলফানসোর বিশাল সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুলতান ইউসুফের মুসলিম বাহিনীর জালাকা নামে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয়। খৃস্টান বাহিনী ভীষণভাবে পরাজিত হয় এবং আলফানসো কোনমতে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যান।
১০৯০ খৃ: ঃ হাসান বিন সাবাহ উত্তর পারস্যের আল বুরুজ পর্বতে আলামত দুর্গ নামক বাতেনী সম্প্রদায়ের গুপ্ত ঘাঁটি স্থাপন করেন।
১০৯১ খৃ: ঃ নিযাম-উল-মুলক তুসী হিরাতের কাছে নিহাওয়াবন্দ নামক স্থানে জনৈক বাতেনী গুপ্তচরের হাতে শাহাদত বরণ করেন। তাঁকে ইস্পাহান নগরে দাফন করা হয়।
১০৯৪ খৃ: ঃ স্পেনের মশহুর ভূগোলবেত্তা ‘আব্দুল্লাহ ইবনে আবদুল আযীয আল-বাকষী কর্ডোভা নগরে ইন্তেকাল করেন। গ্রীক সম্রাট আলেকসান কমনেন্স পোপ দ্বিতীয় আরবানের কাছে একটি পত্র মারফত সেলজুক মুসলিম বাহিনীর হাতে এশিয়াস্থিত তাদের উপনিবেশগুলো পর্যুদস্ত হয়েছে বিধায় খৃস্টান শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে পরিণত করে মুসলমানদের শক্তি খর্ব করা ও জেরুজালেম উদ্ধারের জন্য আহবান জানান।
১০৯৫ খৃ: ঃ আলেকসাস কমনেন্সের পত্র পেয়ে খৃস্টান যাজক পিটারের পরামর্শে রোমের পোপ দ্বিতীয় আরবান ফ্রান্সের ক্লেরমন্ট নামক স্থানে নভেম্বর মাসে ফ্রান্স, লোরেন, সিসিলি, ইতালী প্রভৃতি অঞ্চল থেকে আগত প্রায় দেড়লক্ষ খৃস্টান সম্মেলনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘পবিত্র যুদ্ধ ঘোষণা করেন এবং বিশাল খৃস্টান জনতা নিয়ে জেরুজালেমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
১০৯৬ খৃ: ঃ খৃস্টান যাজক পিটার ৪০০০০০ সৈন্যসহ এশিয়া মাইনর আক্রমণ করেন ইকনিয়ামের মুসলিম বাহিনী এ আক্রমণ বীরত্বের সাথে প্রতিহত করে।
১১১১ খৃ: ঃ ইমাম গাযযালী (র:) ইন্তেকাল করেন। ইসলামী জ্ঞান চর্চায় তাঁর কালজয়ী অবদান সর্বজনবিদিত।
১১২৩ খৃ: ঃ একটি খৃস্টান সৈন্যদল গালিজী হৃদের তীরে মুসলমানদের হাতে পরাভূত হয়।
১১১৯ খৃ: ঃ সূফী কবি হযরত ফরীদউদ্দীন আত্তার নিশাপুরের উপকণ্ঠে অবস্থিত মেদকান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মুসলমানদের হাতে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে খৃস্টান যোদ্ধারা পর্যুদস্ত হয়। খৃস্টানরা কর্ডোভা আক্রমণ করলে মুসলমানরা তা প্রতিহত করে।
১১২৩ খৃ: ঃ মহাকবি উমর খৈয়াম নিশাপুরে ইন্তেকাল করেন।
১১২৬ খৃ: ঃ ইবনে রুশদ কর্ডোভা নগরে জন্মগ্রহণ করেন।
১১৩৭ খৃ: ঃ গাজী সালাহউদ্দীন আইয়ুবী ইরাকের তাকরিত নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন।
১১৩৮ খৃ: ঃ আল্লামা যামাখশারী ইন্তেকাল করেন।
১১৪২ খৃ: ঃ হযরত খাজা মঈনউদ্দীন চিশতি (র:) সিস্তানের সঞ্জর নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন।
১১৪৪ খৃ: ঃ ইমামউদ্দীন জঙ্গী খৃস্টানদের কবল থেকে সিরিয়ার এডেসা নগরী পুনর্দখল করেন।
১১৪৬ খৃ: ঃ ইমামউদ্দীন জঙ্গী আততায়ীর হাতে শাহাদত বরণ করলে, পুত্র নুরুদ্দীন জঙ্গী পিতার দায়িত্বভার গ্রহণ করে খৃস্টান শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
১১৪৭ খৃ: ঃ ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী জন্মগ্রহণ করেন।
১১৫৩ খৃ: ঃ শেখ শামসুদ্দীন তাবরিযী মালদ্বীপে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন।
১১৫৪ খৃ: ঃ সুলতান নুরুদ্দীন জঙ্গী দামেশক অধিকার করেন।
১১৬৪ খৃ: ঃ নুরুদ্দীন জঙ্গী খৃস্টান সম্মিলিত এক সৈন্যবাহিনীকে হারেম নগরের নিকট এক যু্েদধ শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন। এই যুদ্ধে খৃস্টানদের সেনাপতিসহ বহু সৈন্য নিহত হয়। এন্টিয়ক ও ত্রিপলী মুসলমানদের দখলে আসে। এটাই ছিল ক্রুসেড বলে কথিত যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের সমাপ্তি। মুসলমানগণ হারানো অধিকাংশ অঞ্চল পুনর্দখল করে।
১১৬৫ খৃ: ঃ ইবনুল আরাবী স্পেনের মুসিয়া নগরে জন্মগ্রহণ করেন।
১১৬৭ খৃ: ঃ গাউসূল আযম আবদুল কাদীর জিলানী (র:) বাগদাদে ইন্তেকাল করেন।
১১৭৫ খৃ: ঃ খৃস্টান বাহিনী দামেশূক নগর অবরোধ করে। গাযী সালাহউদ্দীন মাত্র সাতশ সৈন্য নিয়ে এগিয়ে এলে তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পলায়ন করে।
১১৭৭ খৃ: ঃ গাষী সালাহউদ্দীন প্যালেস্টাইনের মাজিয়ান নামক স্থানে সংঘটিত যুদ্ধে খৃস্টান বাহিনীকে পরাজিত করে তাদের সেনাপতিদের বন্দী করেন।
১১৮৭ খৃ: ঃ ২ অক্টোবর পাষী সালাহউদ্দীন জেরুজালেম সম্পূর্ণভাবে খৃস্টান বাহিনীমুক্ত করেন।
১১৯২ খৃ: ঃ তরাইনের যুদ্ধে মুসলিম সেনাপতি শিহাবউদ্দীন মুহম্মদ ঘোরী রাজা পৃথিরাজকে পরাজিত করে ভারতে মুসলিম শাসনের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন।
১১৯৩ খৃ: ঃ গাযী সালাহউদ্দীন দামেশকে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। খাজা মঈনউদ্দীন চিশতী (র:) ভারতের আজমীর শহরে তশরিফ আনেন।
১১৯৮ খৃ: ঃ ইবনে রুশদ মরক্কো নগরে ইন্তেকাল করেন।
১১৯৯ খৃ: ঃ ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী বঙ্গ জয় করেন (মহান্তরে ১২০১ খৃ:)।
১২০২ খৃ: ঃ দিল্লীর সুলতান কুতুবউদ্দীন আইবেক কালিঞ্জর জয় করেন।
১২০৫ খৃ: ঃ মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত দেবকোট নামক স্থানে ইন্তেকাল করেন।
১২০৭ খৃ: ঃ সূফী কবি জালালুদ্দীন রুমী বলখ নগরে জন্মগ্রহণ করেন।
১২০৯ খৃ: ঃ ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী হিরাতে ইন্তেকাল করেন।
১২১৯ খৃ: ঃ খাজা উসমান হারুনী (র:) মক্কা শরীফে ইন্তেকাল করেন।
১২২০ খৃ: ঃ দিল্লীর কুতুব মিনার নির্মিত হয়।
১২২৫ খৃ: ঃ শেখ জালালউদ্দীন তাবরিযী (র:) পা-ুয়াতে ইন্তেকাল করেন।
১২২৯ খৃ: ঃ সূফী কবি ফরিদ উদ্দীন আত্তার (র:) নিশাপুরে মোংগল সৈন্যের হাতে নিহত হন।
১২৩৪ খৃ: ঃ হযরত শিহাবউদ্দীন সোহরাওয়ার্দী (র:) বাগদাদ শরীফে ইন্তেকাল করেন।
১২৩৫ খৃ: ঃ খাজা মঈনউদ্দীন চিশতী (র:) আজমীর শরীফে ইন্তেকাল করেন (৬ রজব)।
১২৩৬ খৃ: ঃ হযরত খাজা কুতুবউদ্দীন বখতিয়ার কাকী (র:) ১৪ রবিউল আউয়াল দিল্লী নগরে ইন্তেকাল করেন।
১২৫৮ খৃ: ঃ হালাকু খাঁ বাগদাদ দখল করে। আব্বাসীয় শাসনের অবসান হয়।
১২৭০ খৃ: ঃ হযরত খাজা ফরিদউদ্দীন গঞ্জেশকর পাঞ্জাবের ভাওয়ালপুর রাজ্যের পাক পটন নামক স্থানে ৫ মুহররম ইন্তেকাল করেন।
১২৭৩ খৃ: ঃ জালালউদ্দীন রূমী ইকনিয়াম নগরে ইন্তেকাল করেন।
১২৮২ খৃ: ঃ দিল্লীর সুলতান গিয়াসউদ্দীন বলবন বাংলাদেশে বিদ্রোহ দমনের জন্য আসেন।
১২৯২ খৃ: ঃ শেখ সা’দী (র:) শিরাজ নগরে ইন্তেকাল করেন।
১৩০৪ খৃ: ঃ দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দীন খিলজী চিতোর দুর্গ অধিকার করেন।
১৩১৫ খৃ: ঃ মহাকবি শামসউদ্দীন হাফিজ শিরাজ নগরে জন্মগ্রহণ করেন।
১৩২৪ খৃ: ঃ সূফী বু আলী কলন্দর পানিপথে ৯ রযমান ইন্তেকাল করেন। হযরত নিযামউদ্দীন আউলিয়া ১৮ রবিউল আউয়াল দিল্লীর উপকণ্ঠে অবস্থিত গিয়াসপুরে ইন্তেকাল করেন।
১৩৩১ খৃ: ঃ দিল্লীর সুলতান মুহাম্মদ তুঘলক তৎকালীন বাংলাদেশকে তিনটি বিভাগে বিভক্ত করেনঃ লক্ষাণাবতী, সোনারগাঁও, সপ্তগ্রাম।
১৩৩২ খৃ: ঃ আধুনিক সমাজতত্ত্ব ও ইতিহাসের জনক ‘আবদুর রহমান ইবনে খলদুন উত্তর আফ্রিকর তিউনিস নগরে জন্ম গ্রহণ করেন।
১৩৩৬ খৃ: ঃ মরক্কোর বিশ্ব পর্যটক ইবনে বতুতা দিল্লী নগরে উপনীত হন।
১৩৩৮ খৃ: ঃ পূর্ব বঙ্গের শাসনকর্তা ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১৩৩৯ খৃ: ঃ পশ্চিম বংগের শাসনকর্তা আলাউদ্দীন আলী শাহ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১৩৪৬ খৃ: ঃ হযরত শাহজালাল (র:) সিলেটে ইন্তেকাল করেন।
১৩৪৭ খৃ: ঃ ৩ আগস্ট দিল্লীর সুলতানের সেনাপতি জাফর খাঁ সুলতান ‘আলাউদ্দীন হাসান’ উপাধি ধারণ করে দাক্ষিণাত্যের স্বাধীন বাহমনী রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।
১৩৫১ খৃ: ঃ সুলতান মুহাম্মদ তুঘলক সিন্ধুদেশেরদ তট্টা নামক স্থানে ইন্তেকাল করেন। ফিরোজ শাহ জৌনপুর নগর স্থাপন করেন।
১৩৫২ খৃ: ঃ হাজী শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ বংগের স্বাধীন রাজ্য লাভ করেন।
১৩৫৩ খৃ: ঃ ফিরোজ শাহ তুঘলক বংগদেশ আক্রমণ করলে হাজী ইলিয়াস শাহ একডালা দুর্গে অবস্থান বেছে নেন। ফিরোজ শাহ দুর্গ অধিকার করতে ব্যর্থ হয়ে ইলিয়াস শাহর সাথে সন্ধি বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দিল্লী ফিরে যান।
১৩৫৯ খৃ: ঃ ফিরোজ শাহ তুঘলক বংগদেশ আক্রমণ করে একডালা দুর্গ অধিকার করতে ব্যর্থ হন।
১৩৬৪ খৃ: ঃ সম্মিলিত খৃস্টান শক্তি তুর্কী মুসলমানদের ইউরোপীয় ভূ-খণ্ড থেকে বিতাড়িত করার পাঁয়তারাকে সুলতান প্রথম মুরাদ খান স্তব্ধ করে দেন। তিনি মেসিডোনিয়া ও রোমানিয়া অধিকার করেন।
১৩৬৫ খৃ: ঃ পা-ুয়ার আদিনা মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
১৩৭৭ খৃ: ঃ ইবনে বতুতা তাঁর জন্মভূমি তাঞ্জির নগরে ইন্তেকাল করেন।
১৩৮০ খৃ: ঃ তৈমুর লঙ খুরাসান, ১৩৮৫ খৃস্টাব্দে জর্জিয়া ও আজারবাইজান প্রদেশ এবং ১৩৮৭ খৃস্টাব্দে ইস্পাহান নগর অধিকার করেন।
১৩৮৮ খৃ: ঃ দিল্লীর সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক ইন্তেকাল করেন। তাঁর পৌত্র গিয়াসুদ্দীন তুঘলকে সিংহাসন লাভ করেন।
১৩৮৯ খৃ: ঃ ওলীয়ে কামেল হযরত বাহাউদ্দীন নকশবন্দ (র:) বুখারা নগরে ইন্তেকাল করেন।
১৩৯৩ খৃ: ঃ গিয়াসউদ্দীন আযম শাহ বাংলার মসনদে আসীন হন।
১৩৯৫ খৃ: ঃ তৈমুর লঙ রাশিয়ার রাজধানী মস্কো নগর দখল করেন।
১৩৯৬ খৃ: ঃ সুলতান গিয়াসুদ্দীন আযম শাহ ইন্তেকাল করেন।
১৩৯৮ খৃ: ঃ তৈমুর লঙ ভারত আক্রমণ করেন। প্রখ্যাত সূফী খাজা আলাউল হক পা-ুয়াতে ইন্তেকাল করেন।
১৩৯৯ খৃ: ঃ জৌনপুর থেকে খান-ই-জাহান উলুঘ খান স্বীয় রাজ্য পরিত্যাগ করে বাংলাদেশে চলে আসেন। এখানে তিনি প্রথমে যশোরের বারোবাজারে আস্তানা স্থাপন করেন। কিছুদিন তিনি মুরলী, পায়গ্রাম, কসবা ইত্যাদি স্থানে থাকেন। অতঃপর বাগেরহাট গিয়ে স্থায়ী আস্তানা স্থাপন করেন। তিনি বহু মসজিদ নির্মাণ, পুকুর খনন ও রাস্তাঘাট তৈরি করেন। তিনি এখানে খলীফাতাবাদ রাজ্যের পত্তন করেন।
১৪০৬ খৃ: ঃ ইবনে খলদুন কায়রো নগরে ইন্তেকাল করেন।
১৪১৪ খৃ: ঃ দিনাজপুরের রাজা গণেশ মুসলমান সুলতানকে গোপনে হত্যা করে বাংলার শাসনকর্তারূপে অধিষ্ঠিত হয়। তখন বাংলাদেশে নুর-কুতবউল আলম নামে একজন ওলীয়ে কামেল বাস করতেন। তিনি গণেশের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন। রাজা গণেশ তাঁর বশ্যাতা। স্বীকার করে স্বীয় পুত্র যদুকে ইসলাম ধর্মে বায়’আত করিয়ে রাজা সিংহাসনে বসান। যদুর মুসলমানী নাম হয় জালালুদ্দীন মুহাম্মদ শাহ।
১৪১৬ খৃ: ঃ সূফী নূর কুতব-উল-আলম ৭জানুয়ারী/৭ জিলকদ পা-ুয়া নগরে ইন্তেকাল করেন।
১৪২৬ খৃ: ঃ মিসরীয় সেনাদল সাইপ্রাস দ্বীপ দখল করে এবং দ্বীপের রাজা জেনাসকে বন্দী অবস্থায় কায়রো নিয়ে আসেন।
১৪২৮ খৃ: ঃ তৈমুর লঙের পৌত্র তুরাগই উলুগ বে সমরকন্দে একটি অবজার্ভেটরী স্থাপন করেন।
১৪৫৯ খৃ: ঃ ২৫ অকটোবর খান জাহান আলী বাগেরহাট ইন্তেকাল করেন।
১৪৬৭ খৃ: ঃ বাহমনী সুলতান মুহাম্মদ শাহ মালব রাজ্যের ক্ষেত্রলা দুর্গ দখল করেন।
১৪৬৯ খৃ: ঃ বাহমনী রাজ্যের উযিরে আযম খাজা জাহান মাহমুদা কাওয়ান কংকন প্রদেশের সারঘাট দূর্গ অবরোধ করেন।
১৪৮৭ খৃ: ঃ বংগের স্বাধীন সুলতান জালালউদ্দীন জনৈক হাবশী গোলাম কর্তৃক নিহত হন।
১৪৮৮ খৃ: ঃ দিল্লীর সুলতান বহলুল লোদী ইন্তেকাল করেন। পুত্র সিকন্দার লোদী সিংহাসন লাভ করেন।
১৪৯০ খৃ: ঃ বারবাক নামক জনৈক খোজার হাতে বাংলার স্বাধীন সুলতান ফতেহ শাহ নিহত হন। বারবাক সুলতান শাহযাদা উপাধি ধারণ করে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। কিন্তু মালিক আন্দিল নামক এক হাবশী সর্দার তাঁকে হত্যা করে দ্বিতীয় ‘ফিরোজ শাহ’ উপাধি ধারণ করে বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৪৯১ খৃ: ঃ বাংলার হাবশী সুলতান দ্বিতীয় ফিরোজ শাহ এর সেনাপতি মজলিশ খান হুমায়ূন ময়মনসিংহের শেরপুর আক্রমণ করেন এবং গড় দলিপার কোচ বংশীয় রাজা দিলীপ সামন্তকে পরাজিত ও নিহত করে ময়মনসিংহ এলাকা মুসলমান শাসনভুক্ত করেন।
১৪৯১ খৃ: ঃ কবি ‘আব্দুর রহমান জামী ২ জানুয়ারী ১৮ মহরম হিরাত নগরে ইন্তেকাল করেন। স্পেনে মুসলমানদের ৭৮০ বছরকাল শাসনের সমাপ্তি ঘটে।
১৪৯৭ খৃ: ঃ বাংলার হাবশী সুলতান মুযাফফর শাহ বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন। আলাউদ্দীন হুসাইন শাহ সিংহাসন লাভ করেন।
১৪৯৮ খৃ: ঃ জৌনপুরে আতালা মসজিদ এবং বাংলার রাজধানী গৌড়ে সোনা মসজিদ নির্মিত হয়।
১৪৯৯ খৃ: ঃ শাহ ইসমাঈল ইরানে সফভী রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
১৫০০ খৃ: ঃ দিল্লীর সুলতান সিকান্দার লোদী দিল্লী হতে আগ্রা নগরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন।
১৫০৪ খৃ: ঃ হযরত জালালউদ্দীন সয়্যূতি রজওয়া নামক স্থানে ইন্তেকাল করেন।
১৫১৯ খৃ: ঃ বাংলার স্বাধীন সুলতান আলাউদ্দীন হুসাইন শাহ ইন্তেকাল করেন।
১৫২২ খৃ: ঃ তুর্কী সুলতান দ্বিতীয় সুলায়মান রোডস দ্বীপ দখল করেন।
১৫২৬ খৃ: ঃ ২১ এপ্রিল পানিপথের যুদ্ধ ২৭ এপ্রিল বাবর দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৫৩৫ খৃ: ঃ তুর্কী সুলতান দ্বিতীয় সুলায়মান বাগদাদ নগরী দখল করেন।
১৫৪৫ খৃ: ঃ দিল্লীর পাঠান সুলতান শেরশাহ ইন্তেকাল করেন।
১৫৫৩ খৃ: ঃ বাংলার শাসনকর্তা মুহাম্মদ খান শূর স্বাধীনতা যোষণা করেন।
১৫৫৬ খৃ: ঃ ২ রবিউল সানী মুঘল স¤্রাট হুমায়ূন ইন্তেকাল করেন।
১৫৭০ খৃ: ঃ সমগ্র আরব দেশ তুর্কী সাম্রাজ্যভুক্ত হয়।
১৫৮১ খৃ: ঃ বাদশাহ আকবরের নির্দেশে ভারতে প্রথম আদমশুমারী অনুষ্ঠিত হয়।
১৬০৩ খৃ: ঃ খাজা বাকীবিল্লাহ দিল্লী নগরে ইন্তেকাল করেন।
১৬০৫ খৃ: ঃ স¤্রাট জাহাঙ্গীর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন।
১৬১৭ খৃ: ঃ আওরংগজেব জন্মগ্রহণ করেন।
১৬২৫ খৃ: ঃ সূফী হযরত মুজাদ্দিদে আলফেসানী শেখ আহমদ সরহিন্দী (র:) ইন্তেকাল করেন।
১৬২৭ খৃ: ঃ স¤্রাট জাহাঙ্গীর ইন্তেকাল করেন।
১৬২৮ খৃ: ঃ শাহজাহান দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৬২৮ খৃ: ঃ শাহজাহান দিল্লীর সিংহাসনে আরোহন করেন।
১৬৩০ খৃ: ঃ তুর্কী সুলতান ৪র্থ মুরাদ খানের আদেশে কা’বা শরীফের পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ হয়।
১৬৪১ খৃ: ঃ শাহযাদা শুজা ঢাকা নগরে বড় কাটারা নির্মাণ করেন।
১৬৪২ খৃ: ঃ ঢাকার মুঘল নৌ-সেনাপতি মীর মুরাদ হুসাইনী দালান নির্মাণ করেন।
১৬৪৭ খৃ: ঃ বাদশাহ শাহজাহান এক কোটি টাকা ব্যয়ে দিল্লীর লাল কেল্লা নির্মাণ সমাপ্ত করেন।
১৬৫০ খৃ: ঃ দিল্লীর বিখ্যাত জুম’আ মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
১৬৫৬ খৃ: ঃ জুম’আ মসজিদ নির্মাণ সমাপ্ত হয়। ব্যয় হয় দশ লাখ টাকা।
১৬৬৪ খৃ: ঃ শায়েস্তা খান মার্চ মাসে বাংলার সুবাদাররূপে ঢাকায় আগমন করেন।
১৬৬৬ খৃ: ঃ ২২ জানুয়ারী বাদশাহ শাহজাহান ৭৪ বছর বয়সে আগ্রা দুর্গে ইন্তেকাল করেন। বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খান আরাকানদের দমন করার জন্য ১২ জানুয়ারী একদল সৈন্য চট্টগ্রাম প্রেরণ করেন। কুমারিয়ার অদূরে অবস্থিত কর্ণফুলী নদীতে দুইটি নৌ-যুদ্ধে আরাকান নৌবাহিনী ২৪ জানুয়ারী পরাজিত হয়।
১৬৬৯ খৃ: ঃ তুর্কী সেনাপতি আহমদ পাশা ২৭ সেপ্টেম্বর ক্রীট দ্বীপ দখল করেন।
১৬৭০ খৃ: ঃ স¤্রাট আওরংগজে শিবাজীকে দমন করার জন্য মহব্বত খানের নেতৃত্বে একটি সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেন। তুর্কী সুলতান চতুর্থ মুহাম্মদ পোল্যান্ড অভিযানে গমন করেন।
১৬৭২ খৃ: ঃ পোল্যা--রাজ মাইকেল তুর্কী সুলতান চতুর্থ মুহাম্মদ খানের নিকট পরাজিত হয়ে পনোলিয়া ও ইউক্রাইড প্রদেশ প্রদান এবং বার্ষিক ২ লক্ষ ২০ হাজার ডুকাত মুদ্রা কর প্রদানে সম্মত হয়ে সন্ধি স্থাপন করেন।
১৬৭৬ খৃ: ঃ বাংলার সুবাদার শায়েস্তা খান পদত্যাগ করেন।
১৬৭৮ খৃ: ঃ শাহজাদা আযম বাংলার সুবাদার হয়ে ঢাকায় আগমন করেন। পরে তিনি পিতা আওরংগজের আদেশে দাক্ষিণাত্যে গমন করেন। শায়েস্তা খান পুনরায় সুবাদার হয়ে ঢাকায় আসেন এবং শাহজাদা আযমের লালবাগ কেল্লা নির্মাণের আরদ্ধ কাজ হাতে নন।
১৬৮৬ খৃ: ঃ শায়েস্তা খান বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কিছু ইংরেজ বণিককে বিতাড়িত করেন।
১৬৮৯ খৃ: ঃ বাংলার সুবেদার আজিম উশ শান ইংরেজ বণিকদের সুতানটি, গোবিন্দুপুর ও কালীঘাট এই তিনটি গ্রাম ইজারা দেন।
১৭০১ খৃ: ঃ মুর্শিদ কুলী খান বাংলার দিওয়ান নিযুক্ত হন।
১৭০৩ খৃ: ঃ ওয়াহাবী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাব আরবের নযদ প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন।
১৭০৭ খৃ: ঃ মোগল বাদশাহ জিন্দাপীর হযরত মহিউদ্দীন আওরংগজের আলমগীর ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দাক্ষিণাত্যে অবস্থিত আওরংগাবাদে ইন্তেকাল করেন।
১৭১৭ খৃ: ঃ নবাব মুর্শিদ কুলী খাঁ বংগ, বিহার ও উড়িষ্যার দিওয়ান-নাযিম পদে অভিষিক্ত হন।
১৭২৫ খৃ: ঃ নবাব মূর্শিদকুলী খাঁ ইন্তেকাল করেন।
১৭৩৮ খৃ: ঃ নাদির শাহ কান্দাহার দখল করেন।
১৭৪০ খৃ: ঃ বিহারের শাসনকর্তা আলীবর্দী খাঁ বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার সুবাদার নিযুক্ত হন। দিল্লীর স¤্রাট মুহাম্মদ শাহ তাঁকে হিশামউদ্দীন শুজা উল মুলক মহব্বত জং উপাধি প্রদান করেন।
১৭৪৬ খৃ: ঃ নাদির শাহ আততায়ীর হাতে নিহত হন।
১৭৪৭ খৃ: ঃ নাদিরের অন্যতম সেনাপতি আহমদ শাহ আবদালী আফগানিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১৭৫৬ খৃ: ঃ বাংলার স্বাধীন নবাব আলীবর্দী খাঁ ১০ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন।
১৭৫৭ খৃ: ঃ ২৩ জুন পলাশীর আ¤্রকাননে বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা ইংরেজ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবতীর্ণ হন। পরে তিনি মুহাম্মদী বেগের অস্ত্রঘাতে নিহত হন।
১৭৭১ খৃ: ঃ মিসরের মামলুক সুলতান আলী বে নিহত হন।
১৭৭৭ খৃ: ঃ বাংলার নবাব মীর কাশেম আলী খান ৬ জুন দিল্লী নগরীর উপকণ্ঠে এক জীর্ণ কুটীরে ইন্তেকাল করেন।
১৭৮১ খৃ: ঃ কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৭৮২ খৃ: ঃ তাম্বজোড় নামক স্থানে সংঘটিত এক যুদ্ধে হায়দার আলীর পুত্র টীপু সুলতান ইংরেজ সেনাপতি ব্রেথওয়েটের সৈন্যদলকে সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত করেন। ষাট বছর বয়সে হায়দার আলী ইন্তেকাল করেন।
১৭৮৭ খৃ: ঃ হযরত সাইয়ীদ আহমদ বেরলভী (র:) উত্তর ভারতের রায়বেরেলী নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন।
১৭৯৯ খৃ: ঃ টীপু সুলতান মে মাসে ইংরেজ সেনাবাহিনীর গুলীর আঘাতে শাহাদত লাভ করেন।
১৮০৩ খৃ: ঃ আরব নেতা আবদুল আযীয মক্কা ও মদীনা শরীফ দখল করেন এবং কিছুদিন পর আততায়ীর হাতে নিহত হলে তাঁর পুত্র সউদ পিতার স্থলাভিষিক্ত হন।
১৮১২ খৃ: ঃ দানবীর হাজী মুহাম্মদ মুহসীন ইন্তেকাল করেন।
১৮২৬ খৃ: ঃ সাইয়ীদ আহমদ বেরলভী (র:) জিহাদ ঘোষণা করেন এবং ২১ ডিসেম্বর তাঁর নেতৃত্বে আকরা যুদ্ধে মুসলিম মুজাহিদ বাহিনী শিখদের পরাজিত করে।
১৮৩০ খৃ: ঃ হযরত সাইয়ীদ আহমদ বেরলভী (র:) এর নেতৃত্বে মুজাহিদ বাহিনী শিখ সেনাপতি শের সিংহকে পরাজিত পেশোয়ার দখল করেন।
১৮৩১ খৃ: ঃ সীমান্ত প্রদেশের অন্তর্গত বালাকোট নামক স্থানে হযরত সাইয়ীদ আহমদ বেরলভী (র:) শাহাদত বরণ করেন। নারকেল বাড়িয়ায় সৈয়দ নিসার আলী তিতুমীর এক বিরাট বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন। বৃটিশ সৈন্যবাহিনী বাঁশের কেল্লা আক্রমণ করে। তিতুমীর শাহাদাত বরণ করেন।
১৮৩৫ খৃ: ঃ লর্ড বেন্টিং অফিস আদালতে ফার্সীর পরিবর্তে ইংরেজী ভাষা প্রচলন করেন।
১৮৩৮ খৃ: ঃ আফগানিস্তারে হামাদানের নিকটবর্তী আসাদাবাদ নামক স্থানে সিংহ পুরুষ প্যান-ইসলামী আন্দোলনের প্রবক্তা সৈয়দ জামালউদ্দীন আফগানী জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৫৩ খৃ: ঃ তুকা সেনাপতি উমর পাশা দানিয়ূর নদীর তীরে রুশ সৈন্যের গতিরোধ করেন।
১৮৫৭ খৃ: ঃ ইংরেজের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহ নামে প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক স্বাধীনতা যুদ্ধ ২৯ মার্চ বারাকপুরে ইউরোপীয় অফিসারদের হত্যা করার মধ্য দিয়ে সূচিত হয়। দিল্লীর মোগল বাদশাহ দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতের সম্রাট ঘোষণা করা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর প্রচ- সংঘর্ষের পর ইংরেজ বাহিনী দিল্লী অধিকার করে। মোগল স¤্রাট দ্বিতীয় বাহাদু শাহ গ্রেফতার হন। তাঁর দুই পুত্র ও এক পৌত্রকে বাদশাহের সম্মুখে গুলী করে হত্যা করা হয়। (চলবে)

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ